শিরোনাম :

৪০ তরুণের মৃতদেহের সাথে তরুণীর যৌন সঙ্গম !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৩১:৩৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৪৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ক্যারেন গ্রিনলে ক্যালিফর্নিয়ার একজন মর্গ-কর্মী। কাজ করতেন এমবামার হিসেবে। ১৯৭৯ সালে ধরা পড়েন ২২ বছর বয়সী ক্যারেন। তখন প্রমাণ হয়‚ তিনি ৩৩ বছর বয়সী এক যুবকের দেহ নিয়ে পালিয়ে যান। মর্গ থেকে শেষকৃত্যে নিয়ে যাওয়ার বদলে ক্যারেনের গন্তব্য হয়ে যায় পাশের গ্রাম। সেখানে বেশ ক’দিন তিনি সঙ্গম করেন ওই শবের সঙ্গে।

পুলিশ তাঁকে জেরা করে জানতে পারে ততদিনে অন্তত ৪০ টি শবের সঙ্গে সঙ্গম হয়ে গেছে তাঁর! সবকটি ক্ষেত্রেই শবগুলো ছিল তরুণদের। ক্যারেন অপেক্ষায় থাকতেন কবে মর্গে আসবে তরুণ সুপুরুষ কারও দেহ। এলেই কামতাড়িত হয়ে পড়তেন ক্যারেন।

কিন্তু কেন ? জানতেন না ক্যারেন নিজেই। চার পাতার এক স্বীকারোক্তিতে তিনি বলেছেন‚ শবকাম তাঁর কাছে নেশার মতো। তিনি থাকতে পারেন না ওটি ছাড়া। মৃতদেহের গন্ধ তাঁর খুব ইরোটিক বলে মনে হয়। নিজেকে তিনি বলতেন মর্গের ইঁদুর। আর নিথর দেহগুলো সেই ইঁদুরের গর্ত।

ক্যারেন যে সময় ধরা পড়েন তখন ক্যালিফর্নিয়ায় শবকাম দণ্ডনীয় অপরাধ ছিল না। ফলে শুধু মৃতদেহ চুরির দায়ে আর্থিক জরিমানা এবং ক’দিনের কারাদণ্ড হয় ক্যারেনের।

জেল থেকে বেরিয়ে ক্যারেন তখন কর্মহীন। তাঁর দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নিয়ে বই লেখেন জিম মর্টন। বইটির নাম দেন Apocalypse Culture। তার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয় কয়েকটি সিনেমাও। কিন্তু হারিয়ে যান ক্যারেন। শোনা যায়‚ নাম পাল্টে তিনি চলে যান ক্যালিফর্নিয়া শহর ছেড়ে আমেরিকার অন্য কোথাও, লোকচক্ষুর অন্তরালে। নিজের অতীত নিয়ে তিনি অনুতপ্ত ছিলেন। কিন্তু ব্যাখ্যা করতে পারেননি কেন ওই প্রবণতা থেকে বের হতে পারেননি। এমনকী‚ ভবিষ্যতে ওই বিকৃতির হাত থেকে মুক্তি পাবেন কি না‚ তা নিয়েও নিশ্চিত হতে পারেননি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সংবাদপত্রের মানোন্নয়নে হচ্ছে টাস্কফোর্স

৪০ তরুণের মৃতদেহের সাথে তরুণীর যৌন সঙ্গম !

আপডেট সময় : ১২:৩১:৩৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ক্যারেন গ্রিনলে ক্যালিফর্নিয়ার একজন মর্গ-কর্মী। কাজ করতেন এমবামার হিসেবে। ১৯৭৯ সালে ধরা পড়েন ২২ বছর বয়সী ক্যারেন। তখন প্রমাণ হয়‚ তিনি ৩৩ বছর বয়সী এক যুবকের দেহ নিয়ে পালিয়ে যান। মর্গ থেকে শেষকৃত্যে নিয়ে যাওয়ার বদলে ক্যারেনের গন্তব্য হয়ে যায় পাশের গ্রাম। সেখানে বেশ ক’দিন তিনি সঙ্গম করেন ওই শবের সঙ্গে।

পুলিশ তাঁকে জেরা করে জানতে পারে ততদিনে অন্তত ৪০ টি শবের সঙ্গে সঙ্গম হয়ে গেছে তাঁর! সবকটি ক্ষেত্রেই শবগুলো ছিল তরুণদের। ক্যারেন অপেক্ষায় থাকতেন কবে মর্গে আসবে তরুণ সুপুরুষ কারও দেহ। এলেই কামতাড়িত হয়ে পড়তেন ক্যারেন।

কিন্তু কেন ? জানতেন না ক্যারেন নিজেই। চার পাতার এক স্বীকারোক্তিতে তিনি বলেছেন‚ শবকাম তাঁর কাছে নেশার মতো। তিনি থাকতে পারেন না ওটি ছাড়া। মৃতদেহের গন্ধ তাঁর খুব ইরোটিক বলে মনে হয়। নিজেকে তিনি বলতেন মর্গের ইঁদুর। আর নিথর দেহগুলো সেই ইঁদুরের গর্ত।

ক্যারেন যে সময় ধরা পড়েন তখন ক্যালিফর্নিয়ায় শবকাম দণ্ডনীয় অপরাধ ছিল না। ফলে শুধু মৃতদেহ চুরির দায়ে আর্থিক জরিমানা এবং ক’দিনের কারাদণ্ড হয় ক্যারেনের।

জেল থেকে বেরিয়ে ক্যারেন তখন কর্মহীন। তাঁর দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নিয়ে বই লেখেন জিম মর্টন। বইটির নাম দেন Apocalypse Culture। তার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয় কয়েকটি সিনেমাও। কিন্তু হারিয়ে যান ক্যারেন। শোনা যায়‚ নাম পাল্টে তিনি চলে যান ক্যালিফর্নিয়া শহর ছেড়ে আমেরিকার অন্য কোথাও, লোকচক্ষুর অন্তরালে। নিজের অতীত নিয়ে তিনি অনুতপ্ত ছিলেন। কিন্তু ব্যাখ্যা করতে পারেননি কেন ওই প্রবণতা থেকে বের হতে পারেননি। এমনকী‚ ভবিষ্যতে ওই বিকৃতির হাত থেকে মুক্তি পাবেন কি না‚ তা নিয়েও নিশ্চিত হতে পারেননি।