অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হলে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাতে হবে: বিজিএমইএ !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৪:২৩:৪২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৩৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশ পোশাকশিল্পের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাবে বলে জানিয়েছে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

গতকাল সোমবার রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনে চট্টগ্রাম বন্দরে পোশাকশিল্পের আমদানিকৃত মালামাল খালাস ও রপ্তানি পণ্য জাহাজিকরণে জটিলতা এবং পোশাকশিল্প খাতের সার্বিক পরিস্থিতিবিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানায় সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ কমেছে। দেশীয় পোশাকশিল্পকে নিয়ে দেশে-বিদেশে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। নেতিবাচক প্রচারণার ফলে এ শিল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং এই শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তৈরি পোশাক খাতের ৪৪ লাখ শ্রমিকের কথা চিন্তা করে এসব অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, নানা ধরনের জটিলতায় আমরা সময় মতো অর্ডার ডেলিভারি দিতে পারছি না। ফলে অন্য দেশগুলো আমাদের অর্ডার নিয়ে যাচ্ছে। এদিকে ভারতের পার্লামেন্টে বলা হয়েছে বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এবং তারা ২০১৮ সালের মধ্যে আমাদের অবস্থানে যেতে চায়।

চট্টগাম বন্দরের অব্যবস্থাপনার কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, চট্টগাম বন্দরের বিভিন্ন ধরনের অব্যবস্থাপনার কারণে বছরে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অর্ডার অন্য দেশে চলে যাচ্ছে। তাই সেখান থেকে অযোগ্যদের সরিয়ে যারা কাজ করতে চায় তাদের এসব জায়গার বসিয়ে সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনাসহ আগামী দুই বছর ৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তারও আহ্বান জানান সিদ্দিকুর রহমান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হলে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাতে হবে: বিজিএমইএ !

আপডেট সময় : ০৪:২৩:৪২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশ পোশাকশিল্পের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাবে বলে জানিয়েছে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

গতকাল সোমবার রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনে চট্টগ্রাম বন্দরে পোশাকশিল্পের আমদানিকৃত মালামাল খালাস ও রপ্তানি পণ্য জাহাজিকরণে জটিলতা এবং পোশাকশিল্প খাতের সার্বিক পরিস্থিতিবিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানায় সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ কমেছে। দেশীয় পোশাকশিল্পকে নিয়ে দেশে-বিদেশে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। নেতিবাচক প্রচারণার ফলে এ শিল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং এই শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তৈরি পোশাক খাতের ৪৪ লাখ শ্রমিকের কথা চিন্তা করে এসব অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, নানা ধরনের জটিলতায় আমরা সময় মতো অর্ডার ডেলিভারি দিতে পারছি না। ফলে অন্য দেশগুলো আমাদের অর্ডার নিয়ে যাচ্ছে। এদিকে ভারতের পার্লামেন্টে বলা হয়েছে বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এবং তারা ২০১৮ সালের মধ্যে আমাদের অবস্থানে যেতে চায়।

চট্টগাম বন্দরের অব্যবস্থাপনার কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, চট্টগাম বন্দরের বিভিন্ন ধরনের অব্যবস্থাপনার কারণে বছরে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অর্ডার অন্য দেশে চলে যাচ্ছে। তাই সেখান থেকে অযোগ্যদের সরিয়ে যারা কাজ করতে চায় তাদের এসব জায়গার বসিয়ে সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনাসহ আগামী দুই বছর ৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তারও আহ্বান জানান সিদ্দিকুর রহমান।