উল্লাপাড়ায় ঈদের নামাজ আদায় করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২ আহত ১৫

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৯:১৮ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৮ জুন ২০১৭
  • ৭৪৪ বার পড়া হয়েছে

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ঈদ-উল ফিতরের নামাজ আদায় করা কে কেন্দ্র করে ঈদগাঁ মাঠে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ২জন নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে ।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমাবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঈদের নামাজ শেষে নলসোন্দা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে তোফাজ্জল ও মইনুল গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তখন এক পক্ষ মইনুল গংদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ঘর-দরজা ভাংচুর সহ তাঁর ৩৫ মন ধান বোঝাই নৌকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। বিষয়টি উভয় পক্ষ জানতে পেরে দুপুরে লাঠি-সোটা ও ধাড়ালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় নলসোন্দা গ্রামের মৃত আঃ হাকিমের ছেলে লাল মিয়া (২৭), আলহাজ আব্দুস সামাদের দুই ছেলে আব্দুল মোমিন (৪৮), সবুজ (৩২), শাহিদুল ইসলামের ছেলে সাজেদুল ইসলাম (২০), আব্দুল খালেকের তিন ছেলে খাইরুল ইসলাম (৪০), আখেরুল  (২৩), আব্দুল হালিম (১৬), ময়নুল হকের ছেলে তৌফিকুর, মোকবুলের ছেলে ইব্রাহীম (২৩), মৃত বাবু লালের ছেলে ছানোয়ার (৫০), মৃত মহসিনের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৪০) ইসমাইল হোসেনের ছেলে স্বাধীন, মৃত ছোরহাব আলীর ছেলে শহিদুল (৭০) সহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। এদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া গুরুতর আহত ছানোয়ারকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও খাইরুলকে মুমর্ষ অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হলে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোর রাতে মারা যায়। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জামাত অধ্যুসিত তোফাজ্জল গংরা এলাকায় জামাতের নেতা হওয়ায় আধিপত্য বিস্তার করে নানা বিশৃঙ্খলা করে আসছে। আর এ কারনেই তাদের মধ্যে কিছু দিন পরপরই সংঘর্ষ হচ্ছে। যা এখন মৃত্যু পর্যায়ে গড়িয়েছে।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষ উল্লাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে এসআই পবিত্র কুমার জানান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

উল্লাপাড়ায় ঈদের নামাজ আদায় করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২ আহত ১৫

আপডেট সময় : ০৯:৪৯:১৮ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৮ জুন ২০১৭

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ঈদ-উল ফিতরের নামাজ আদায় করা কে কেন্দ্র করে ঈদগাঁ মাঠে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ২জন নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে ।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমাবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঈদের নামাজ শেষে নলসোন্দা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে তোফাজ্জল ও মইনুল গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তখন এক পক্ষ মইনুল গংদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ঘর-দরজা ভাংচুর সহ তাঁর ৩৫ মন ধান বোঝাই নৌকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। বিষয়টি উভয় পক্ষ জানতে পেরে দুপুরে লাঠি-সোটা ও ধাড়ালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় নলসোন্দা গ্রামের মৃত আঃ হাকিমের ছেলে লাল মিয়া (২৭), আলহাজ আব্দুস সামাদের দুই ছেলে আব্দুল মোমিন (৪৮), সবুজ (৩২), শাহিদুল ইসলামের ছেলে সাজেদুল ইসলাম (২০), আব্দুল খালেকের তিন ছেলে খাইরুল ইসলাম (৪০), আখেরুল  (২৩), আব্দুল হালিম (১৬), ময়নুল হকের ছেলে তৌফিকুর, মোকবুলের ছেলে ইব্রাহীম (২৩), মৃত বাবু লালের ছেলে ছানোয়ার (৫০), মৃত মহসিনের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৪০) ইসমাইল হোসেনের ছেলে স্বাধীন, মৃত ছোরহাব আলীর ছেলে শহিদুল (৭০) সহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। এদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া গুরুতর আহত ছানোয়ারকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও খাইরুলকে মুমর্ষ অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হলে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোর রাতে মারা যায়। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জামাত অধ্যুসিত তোফাজ্জল গংরা এলাকায় জামাতের নেতা হওয়ায় আধিপত্য বিস্তার করে নানা বিশৃঙ্খলা করে আসছে। আর এ কারনেই তাদের মধ্যে কিছু দিন পরপরই সংঘর্ষ হচ্ছে। যা এখন মৃত্যু পর্যায়ে গড়িয়েছে।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষ উল্লাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে এসআই পবিত্র কুমার জানান।