শিরোনাম :
Logo হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ Logo কচুয়ায় টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পুরস্কার পেল ১০ শিশু-কিশোর Logo চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০ Logo দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের মতো কিছুই ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার

মালয়েশিয়ায় পাচার হওয়া ৫৯ বাংলাদেশি উদ্ধার!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৩৫:৪১ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৬৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশি  শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় পাচারের চেষ্টা এখনো অব্যাহত রেখেছে মানবপাচারকারীরা।

সোমবার মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৪টায় দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে ৫৯ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। কুয়ালালামপুরের ডেসা পেতালিং এলাকায় দুটি এপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে পাচারকারীদের হাতে আটক এসব বাংলাদেশিদের উদ্ধার করা হয়।

এ সময় প্রাথমিক তদন্তের জন্য এক বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। এছাড়াও মানবপাচার চক্রের সন্দেহভাজন মহিলাসহ আরো তিন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে কম্পিউটার, কালার প্রিন্টার, পাসপোর্ট ও বিভিন্ন ভিসা স্টিকারের জাল সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম মালশিয়া কিনি জানিয়েছে এ খবর।

ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মুস্তাফার আলী জানিয়েছেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় মালয়েশিয়ায় সরাসরিভাবে শ্রমিক আসা বন্ধ হয়েছে। ফলে পাচারকারীরা  নতুন কৌশল ব্যবহার করছেন। এখন নতুন রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে মালয়েশিয়ার পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্দোনেশিয়াকে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশিদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা থাকায় ঢাকা থেকে শ্রমিকদের ভ্রমণ ভিসায় দেশটিতে লোক পাঠান মানবপাচারকারীরা।

অপহরণকারীরা নিজেদের চাকরিদাতার এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দিয়ে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে শ্রমিকদের বাংলাদেশ থেকে জাকার্তায় পাচার করে। সেখান থেকে স্থানীয় দালালরা মিলে নৌ-পথে তাদেরকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর চেষ্টা করে। মালয়েশিয়ায় পৌঁছে দিতে জনপ্রতি ১৮ থেকে ২০ হাজার রিঙ্গিত আদায় করে পাচারকারীরা।

মালয়েশিয়ায় আসার পর বাংলাদেশিরদের  দুটি কন্ডোতে আটকে রাখা হতো। কেউ পালানোর চেষ্টা করলেই পাচারকারীরা মারধর করতো। উদ্ধার বাংলাদেশিদের অনেকেরই শারীরিক অবস্থা নাজুক বলেও জানায় ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মুস্তাফার আলী।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ

মালয়েশিয়ায় পাচার হওয়া ৫৯ বাংলাদেশি উদ্ধার!

আপডেট সময় : ১২:৩৫:৪১ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশি  শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় পাচারের চেষ্টা এখনো অব্যাহত রেখেছে মানবপাচারকারীরা।

সোমবার মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৪টায় দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে ৫৯ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। কুয়ালালামপুরের ডেসা পেতালিং এলাকায় দুটি এপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে পাচারকারীদের হাতে আটক এসব বাংলাদেশিদের উদ্ধার করা হয়।

এ সময় প্রাথমিক তদন্তের জন্য এক বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। এছাড়াও মানবপাচার চক্রের সন্দেহভাজন মহিলাসহ আরো তিন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে কম্পিউটার, কালার প্রিন্টার, পাসপোর্ট ও বিভিন্ন ভিসা স্টিকারের জাল সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম মালশিয়া কিনি জানিয়েছে এ খবর।

ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মুস্তাফার আলী জানিয়েছেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় মালয়েশিয়ায় সরাসরিভাবে শ্রমিক আসা বন্ধ হয়েছে। ফলে পাচারকারীরা  নতুন কৌশল ব্যবহার করছেন। এখন নতুন রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে মালয়েশিয়ার পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্দোনেশিয়াকে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশিদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা থাকায় ঢাকা থেকে শ্রমিকদের ভ্রমণ ভিসায় দেশটিতে লোক পাঠান মানবপাচারকারীরা।

অপহরণকারীরা নিজেদের চাকরিদাতার এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দিয়ে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে শ্রমিকদের বাংলাদেশ থেকে জাকার্তায় পাচার করে। সেখান থেকে স্থানীয় দালালরা মিলে নৌ-পথে তাদেরকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর চেষ্টা করে। মালয়েশিয়ায় পৌঁছে দিতে জনপ্রতি ১৮ থেকে ২০ হাজার রিঙ্গিত আদায় করে পাচারকারীরা।

মালয়েশিয়ায় আসার পর বাংলাদেশিরদের  দুটি কন্ডোতে আটকে রাখা হতো। কেউ পালানোর চেষ্টা করলেই পাচারকারীরা মারধর করতো। উদ্ধার বাংলাদেশিদের অনেকেরই শারীরিক অবস্থা নাজুক বলেও জানায় ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মুস্তাফার আলী।