শিরোনাম :

মিয়ানমার উপকূলে চীনা যুদ্ধজাহাজ, উদ্বেগে ভারত !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৩০:১৬ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০১৭
  • ৭৪১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মিয়ানমারের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় নামতে যাচ্ছে চীনা নৌবাহিনী। আর সেই লক্ষ্যেই চীনা নৌবাহিনীর তিনটি যুদ্ধজাহাজ ভিড়েছে মিয়ানমার উপকূলে। আগামী চারদিন ধরে চলবে এই মহড়া। আর এতে উদ্বেগে রয়েছে ভারত।

চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) নৌবহরে রয়েছে মিসাইল ডেস্ট্রয়ার চাংচুন, মিসাইল ফ্রিগেট জিংঝু ও সাপ্লাইশিপ চাওহু।  জাহাজগুলো রেঙ্গুন বন্দরে নোঙ্গর করা হয়েছে। যদিও এই চীনের দাবি, পিএলএ’র নৌবাহিনী এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা ও ওশানিয়া অঞ্চরের ২০টি দেশে ১৮০ দিনব্যাপী যে শুভেচ্ছা সফর চালানোর পরিকল্পনা করেছে মিয়ানমার সফর তারই অংশ। এই বহর ইতোমধ্যে ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়া সফর করেছে।

বেজিংয়ের নৌবাহিনী বিশেষজ্ঞ লি জিয়ে বলেন, চীনের এই রণতরীগুলো তুলনামূলক অত্যাধুনিক এবং এসকর্ট, মহড়া ও টহল অভিযানে বেশ অভিজ্ঞ।  মিয়ানমারের এফ১১ অং জাইয়া ও ইউএমএস আরাওরাথা (৭৭১) এই মহড়ায় অংশ নেয়।  এই দু’টি জাহাজেরও মিয়ানমার নৌবাহিনীতে বেশ সুনাম রয়েছে।

মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উ কুইয়ান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান যে ফ্লিট ফরমেশন, ফ্লিট কমিউনিকেশন ও জয়েন্ট সার্চ এন্ড রেসকিউ অপরাশেনের ওপর এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।  দুই দেশ পরস্পরের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা সুরক্ষার জন্য যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এই সফর তারই অংশ বলে উল্লেখ করেন। যদিও পুরো বিষয়টির উপর কড়া নজর রেখেছে ভারত।

সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টিফোর।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জামায়াতের ব্যানারে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বললেন আমির

মিয়ানমার উপকূলে চীনা যুদ্ধজাহাজ, উদ্বেগে ভারত !

আপডেট সময় : ১১:৩০:১৬ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

মিয়ানমারের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় নামতে যাচ্ছে চীনা নৌবাহিনী। আর সেই লক্ষ্যেই চীনা নৌবাহিনীর তিনটি যুদ্ধজাহাজ ভিড়েছে মিয়ানমার উপকূলে। আগামী চারদিন ধরে চলবে এই মহড়া। আর এতে উদ্বেগে রয়েছে ভারত।

চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) নৌবহরে রয়েছে মিসাইল ডেস্ট্রয়ার চাংচুন, মিসাইল ফ্রিগেট জিংঝু ও সাপ্লাইশিপ চাওহু।  জাহাজগুলো রেঙ্গুন বন্দরে নোঙ্গর করা হয়েছে। যদিও এই চীনের দাবি, পিএলএ’র নৌবাহিনী এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা ও ওশানিয়া অঞ্চরের ২০টি দেশে ১৮০ দিনব্যাপী যে শুভেচ্ছা সফর চালানোর পরিকল্পনা করেছে মিয়ানমার সফর তারই অংশ। এই বহর ইতোমধ্যে ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়া সফর করেছে।

বেজিংয়ের নৌবাহিনী বিশেষজ্ঞ লি জিয়ে বলেন, চীনের এই রণতরীগুলো তুলনামূলক অত্যাধুনিক এবং এসকর্ট, মহড়া ও টহল অভিযানে বেশ অভিজ্ঞ।  মিয়ানমারের এফ১১ অং জাইয়া ও ইউএমএস আরাওরাথা (৭৭১) এই মহড়ায় অংশ নেয়।  এই দু’টি জাহাজেরও মিয়ানমার নৌবাহিনীতে বেশ সুনাম রয়েছে।

মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উ কুইয়ান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান যে ফ্লিট ফরমেশন, ফ্লিট কমিউনিকেশন ও জয়েন্ট সার্চ এন্ড রেসকিউ অপরাশেনের ওপর এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।  দুই দেশ পরস্পরের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা সুরক্ষার জন্য যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এই সফর তারই অংশ বলে উল্লেখ করেন। যদিও পুরো বিষয়টির উপর কড়া নজর রেখেছে ভারত।

সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টিফোর।