শিরোনাম :
Logo সদ্য নির্বাচিত বোদা উপজেলা বিএনপির সভাপতিকে শোকজ Logo রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যেয়ে হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী Logo ইবিতে রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব Logo অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি জিরো টলারেন্স ;বেরোবি উপাচার্য Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে পাবিপ্রবিতে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন Logo খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি নির্বাচন ২০২৫ এর কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণা Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অনশন Logo কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশন—ইবি শিক্ষার্থীদের একাত্মতা Logo জাবিতে “সংগ্রামের শত রঙ” নামে জুলাই-বিপ্লবের আলোকচিত্র প্রদর্শনী Logo শ্রীবরদীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় ছাত্রদল

লাদেন এখনো জীবিত, দাবি স্নোডেনের !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:১১:১৫ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৫ মে ২০১৭
  • ৭৪১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নানা দাপ্তরিক নথি ফাঁসকারী এডওয়ার্ড স্নোডেন এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন এখন জীবিত আছেন; এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে তিনি বিলাসবহুল জীবন-যাপন করছেন। তার এ দাবির পক্ষে প্রমাণও আছে বলে জানিয়েছেন।

‘ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেইলি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্নোডেনের কাছে স্পষ্ট প্রমাণ আছে যে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র অর্থায়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণ-পূর্বের বাহামা দ্বীপে বিলাসবহুল জীবন-যাপন করছেন লাদেন।

রাশিয়ার প্রভাবশালী দৈনিক মস্কো ট্রিবিউন বলছে, স্নোডেন দাবি করেছেন যে, আল-কায়েদার সাবেক নেতা ওসামা বিন লাদেন আসলে এখনো জীবিত আছেন। মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) তাকে নগদ অর্থায়ন করছে।

স্নোডেনের এ দাবি যুক্তরাষ্ট্র উড়িয়ে দিলেও অনেকেই বিশ্বাস করছেন। কারণ মার্কিন গোপন নথি ফাঁস করে সারা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিলেন দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির (এনএসএ) সাবেক চুক্তিভিত্তিক এ কর্মী। তথ্য ফাঁসের অপরাধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। এরপরই রাশিয়ায় আশ্রয় নেন তিনি।

স্নোডেনের দাবি, অামার কাছে নথি আছে, বিন লাদেন এখনো সিআইএ’র তত্ত্বাবধানে আছে। ‘তিনি (লাদেন) এখনো মাসে এক লাখ ডলার পাচ্ছেন; যা নাসাউ ব্যাংকে তার অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করছে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন তা আমি নিশ্চিত নই।

তার দাবি, লাদেনকে হত্যার যে খবর ছড়ানো হয়েছিল তা ভুয়া। মৃত্যুর খবর প্রচারের পর লাদেন ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে বাহামা দ্বীপের গোপন স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়।

এদিকে নাইজাপিকস বলছে, বিতর্কিত এই দাবি ২০১৫ সালে প্রকাশিত তার বইয়ে স্থান পেয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পলাতক এই এজেন্টকে ক্ষমার দাবিতে ২০১৫ সালে অন্তত এক লাখ ৬৮ হাজার মানুষ একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেন। তবে ওই বছরের ২৮ জুলাই হোয়াইট হাউস পিটিশনটি প্রত্যাখ্যান করে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সদ্য নির্বাচিত বোদা উপজেলা বিএনপির সভাপতিকে শোকজ

লাদেন এখনো জীবিত, দাবি স্নোডেনের !

আপডেট সময় : ১১:১১:১৫ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৫ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নানা দাপ্তরিক নথি ফাঁসকারী এডওয়ার্ড স্নোডেন এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন এখন জীবিত আছেন; এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে তিনি বিলাসবহুল জীবন-যাপন করছেন। তার এ দাবির পক্ষে প্রমাণও আছে বলে জানিয়েছেন।

‘ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেইলি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্নোডেনের কাছে স্পষ্ট প্রমাণ আছে যে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র অর্থায়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণ-পূর্বের বাহামা দ্বীপে বিলাসবহুল জীবন-যাপন করছেন লাদেন।

রাশিয়ার প্রভাবশালী দৈনিক মস্কো ট্রিবিউন বলছে, স্নোডেন দাবি করেছেন যে, আল-কায়েদার সাবেক নেতা ওসামা বিন লাদেন আসলে এখনো জীবিত আছেন। মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) তাকে নগদ অর্থায়ন করছে।

স্নোডেনের এ দাবি যুক্তরাষ্ট্র উড়িয়ে দিলেও অনেকেই বিশ্বাস করছেন। কারণ মার্কিন গোপন নথি ফাঁস করে সারা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিলেন দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির (এনএসএ) সাবেক চুক্তিভিত্তিক এ কর্মী। তথ্য ফাঁসের অপরাধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। এরপরই রাশিয়ায় আশ্রয় নেন তিনি।

স্নোডেনের দাবি, অামার কাছে নথি আছে, বিন লাদেন এখনো সিআইএ’র তত্ত্বাবধানে আছে। ‘তিনি (লাদেন) এখনো মাসে এক লাখ ডলার পাচ্ছেন; যা নাসাউ ব্যাংকে তার অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করছে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন তা আমি নিশ্চিত নই।

তার দাবি, লাদেনকে হত্যার যে খবর ছড়ানো হয়েছিল তা ভুয়া। মৃত্যুর খবর প্রচারের পর লাদেন ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে বাহামা দ্বীপের গোপন স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়।

এদিকে নাইজাপিকস বলছে, বিতর্কিত এই দাবি ২০১৫ সালে প্রকাশিত তার বইয়ে স্থান পেয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পলাতক এই এজেন্টকে ক্ষমার দাবিতে ২০১৫ সালে অন্তত এক লাখ ৬৮ হাজার মানুষ একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেন। তবে ওই বছরের ২৮ জুলাই হোয়াইট হাউস পিটিশনটি প্রত্যাখ্যান করে।