খাবার চাওয়ায় সন্তানকে গলা টিপে হত্যা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:৪২:১৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মোবাইলে গল্পগুজবে মেতেছিলেন। এসময় বারবার খাবার চেয়ে বিরক্ত করছিল তিন বছরে ছেলেটি। খাবার চাওয়ার অপরাধে নিজের সন্তানকে গলা টিপে হত্যা করেছেন এক মা। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের ঘাটালের চন্দ্রকোনায় ঘটেছে এ মর্মান্তিক ঘটনা।

টুম্বা ঘোষ (৩০) নামের ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চন্দ্রকোনার থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে টুম্পা ঘোষ মোবাইলে কথা বলছিলেন। ওই সময়ই তার বছর তিনেকের ছেলে খোকন খাবার চেয়েছিল বলে প্রতিবেশীরা জানান। খাবার না পেয়ে একসময় কাঁদতে শুরু করে দেয় ছোট্ট খোকন। ক্ষুব্ধ, বিরক্ত টুম্পা দেবী ছেলেকে মারতে মারতে ঘরের মধ্যে নিয়ে যায়। সন্তানের গলা টিপে চিরদিনের মতো খাবার চাওয়া বন্ধ করে দেয় টুম্পা।

প্রতিবেশীরা জানান, কান্না বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ফের মোবাইলে কথা বলা শুরু করে দেয় ওই টুম্পা ঘোষ। কথা বলা শেষে একসময় ঘরে গিয়ে ছেলেকে ডাকতে শুরু করে। কিন্তু কোনও সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি শুরু করে দেয়। প্রতিবেশীরাই শিশুটিকে চন্দ্রকোনা হাসপাতালে গিয়ে যান। সেখানে ডাক্তার শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খাবার চাওয়ায় সন্তানকে গলা টিপে হত্যা !

আপডেট সময় : ০২:৪২:১৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

মোবাইলে গল্পগুজবে মেতেছিলেন। এসময় বারবার খাবার চেয়ে বিরক্ত করছিল তিন বছরে ছেলেটি। খাবার চাওয়ার অপরাধে নিজের সন্তানকে গলা টিপে হত্যা করেছেন এক মা। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের ঘাটালের চন্দ্রকোনায় ঘটেছে এ মর্মান্তিক ঘটনা।

টুম্বা ঘোষ (৩০) নামের ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চন্দ্রকোনার থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে টুম্পা ঘোষ মোবাইলে কথা বলছিলেন। ওই সময়ই তার বছর তিনেকের ছেলে খোকন খাবার চেয়েছিল বলে প্রতিবেশীরা জানান। খাবার না পেয়ে একসময় কাঁদতে শুরু করে দেয় ছোট্ট খোকন। ক্ষুব্ধ, বিরক্ত টুম্পা দেবী ছেলেকে মারতে মারতে ঘরের মধ্যে নিয়ে যায়। সন্তানের গলা টিপে চিরদিনের মতো খাবার চাওয়া বন্ধ করে দেয় টুম্পা।

প্রতিবেশীরা জানান, কান্না বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ফের মোবাইলে কথা বলা শুরু করে দেয় ওই টুম্পা ঘোষ। কথা বলা শেষে একসময় ঘরে গিয়ে ছেলেকে ডাকতে শুরু করে। কিন্তু কোনও সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি শুরু করে দেয়। প্রতিবেশীরাই শিশুটিকে চন্দ্রকোনা হাসপাতালে গিয়ে যান। সেখানে ডাক্তার শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।