ব্যর্থ বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারে সাজছে জাদুঘর!

  • আপডেট সময় : ০৩:২৩:৩৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৩৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

অপচয় করবেন না আর কোনো জিনিসই। বাজারে চলেনা এমন যেকোনো জিনিসই এখন সযত্নে রাখা হবে জাদুঘরে। গ্রীষ্ণের মৌসুমে সুইডেনে আসছে এমনই এক জাদুঘর। যার নাম ‘মিউজিয়াম অফ ফেইলয়োর’। এই জাদুঘরের সঞ্চয়ে রয়েছে মেয়েদের একটি পেন, মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি বোর্ড গেম এবং নিত্যনতুন অদ্ভুত সব মুখোশের সম্ভার৷ এছাড়াও রয়েছে ঠান্ডা পানীয় কোকাকলার কফি ফ্লেভার। এই সমস্ত প্রোডাক্টগুলিকেই সঞ্চয়ের কথা ভাবছে এই জাদুঘরটি।

এই জাদুঘরটির প্রতিষ্ঠাতা ড. স্যামুয়েল ওয়েস্ট জানিয়েছেন, যেকোনো জিনিস আবিষ্কার করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বেশিরভাগ মানুষই এই বিষয়ে পাশ করতে পারেন না৷ কিন্তু এর পিছনে জড়িয়ে থাকে গভীর চিন্তাভাবনা৷ সেই সাহস, বুদ্ধি এই সমস্ত কিছুকেই সম্মান জানাতেই এই জাদুঘরের প্রতিষ্ঠা করেন এই ব্যক্তি৷ তিনি বিশ্বাস করেন, এক একটি ব্যর্থতাই প্রতিটি ব্যক্তিকে সাফল্যের শীর্ষে উঠতে সাহায্য করে।

এই জাদুঘরের এক অন্যতম সদস্য ড. ওয়েস্ট৷ তিনিও এই জাদুঘরের সদস্য৷ পেশায় এই ব্যক্তি একজন মনোবিদ৷ এখনো পর্যন্ত তাঁর আবিষ্কৃত ৫০টি জিনিস বাতিলের খাতায় রয়েছে৷ সেই সমস্ত জিনিসগুলিই এই জাদুঘরে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে৷

তিনি আরও জানিয়েছেন, এই সমস্ত সংস্থাগুলির উদ্ভাবনীর ভূমিকা যথেষ্ট উল্লখ্য৷ তবে প্রতিটি ব্যর্থতার পিছনেই লুকিয়ে থাকে সাফল্যের রসদ৷ সেক্ষেত্রে প্রকাশ্যে আনার প্রয়োজন এই ব্যর্থতা গুলি। কিন্তু লোকলজ্জা কিংবা কাজের জিনিস নয় বলে এই সমস্ত জিনিসগুলিকে লুকিয়ে চুরিয়ে রাখেন আবিষ্কারকর্তারা। কিন্তু ওয়েস্ট বিশ্বাস করেন যে মানুষ ভুল করতে করতেই শেখে। এই জাদুঘর তৈরির উদ্দেশ্য সেটিই।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্যর্থ বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারে সাজছে জাদুঘর!

আপডেট সময় : ০৩:২৩:৩৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

অপচয় করবেন না আর কোনো জিনিসই। বাজারে চলেনা এমন যেকোনো জিনিসই এখন সযত্নে রাখা হবে জাদুঘরে। গ্রীষ্ণের মৌসুমে সুইডেনে আসছে এমনই এক জাদুঘর। যার নাম ‘মিউজিয়াম অফ ফেইলয়োর’। এই জাদুঘরের সঞ্চয়ে রয়েছে মেয়েদের একটি পেন, মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি বোর্ড গেম এবং নিত্যনতুন অদ্ভুত সব মুখোশের সম্ভার৷ এছাড়াও রয়েছে ঠান্ডা পানীয় কোকাকলার কফি ফ্লেভার। এই সমস্ত প্রোডাক্টগুলিকেই সঞ্চয়ের কথা ভাবছে এই জাদুঘরটি।

এই জাদুঘরটির প্রতিষ্ঠাতা ড. স্যামুয়েল ওয়েস্ট জানিয়েছেন, যেকোনো জিনিস আবিষ্কার করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বেশিরভাগ মানুষই এই বিষয়ে পাশ করতে পারেন না৷ কিন্তু এর পিছনে জড়িয়ে থাকে গভীর চিন্তাভাবনা৷ সেই সাহস, বুদ্ধি এই সমস্ত কিছুকেই সম্মান জানাতেই এই জাদুঘরের প্রতিষ্ঠা করেন এই ব্যক্তি৷ তিনি বিশ্বাস করেন, এক একটি ব্যর্থতাই প্রতিটি ব্যক্তিকে সাফল্যের শীর্ষে উঠতে সাহায্য করে।

এই জাদুঘরের এক অন্যতম সদস্য ড. ওয়েস্ট৷ তিনিও এই জাদুঘরের সদস্য৷ পেশায় এই ব্যক্তি একজন মনোবিদ৷ এখনো পর্যন্ত তাঁর আবিষ্কৃত ৫০টি জিনিস বাতিলের খাতায় রয়েছে৷ সেই সমস্ত জিনিসগুলিই এই জাদুঘরে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে৷

তিনি আরও জানিয়েছেন, এই সমস্ত সংস্থাগুলির উদ্ভাবনীর ভূমিকা যথেষ্ট উল্লখ্য৷ তবে প্রতিটি ব্যর্থতার পিছনেই লুকিয়ে থাকে সাফল্যের রসদ৷ সেক্ষেত্রে প্রকাশ্যে আনার প্রয়োজন এই ব্যর্থতা গুলি। কিন্তু লোকলজ্জা কিংবা কাজের জিনিস নয় বলে এই সমস্ত জিনিসগুলিকে লুকিয়ে চুরিয়ে রাখেন আবিষ্কারকর্তারা। কিন্তু ওয়েস্ট বিশ্বাস করেন যে মানুষ ভুল করতে করতেই শেখে। এই জাদুঘর তৈরির উদ্দেশ্য সেটিই।