শিরোনাম :

বোকো হারামের কবলে এখনও ১৯৫ ছাত্রী বন্দি !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৪২:৩১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০১৭
  • ৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

নাইজিরিয়ার বার্নো রাজ্যের চিবক শহরের একটি সরকারি স্কুলে ২০১৪ সালে হামলা চালায় বোকো হারাম জঙ্গি গোষ্ঠী। বন্দুকের মুখে জোর করে অপহরণ করে অসংখ্য ছাত্রীকে। তিন মাসের মধ্যে ৫৭ জন এবং গত বছর আরও ২১ জন ছাত্রী জঙ্গিদের ডেরা থেকে পালিয়ে আসলেও বোকো হারামের কবলে এখনও আটকে রয়েছেন অন্তত ১৯৫ জন।

আগামী মাসে ওই ভয়াবহ ঘটনার তিন বছর পূর্তি। সম্প্রতি দুবাইতে সেই নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করেছিল আন্তর্জাতিক একটি সংগঠন। অভিজ্ঞতার

কোনো ভাবে জঙ্গিদের কবল থেকে পালিয়ে আসা সায়া জানালেন তার অভিজ্ঞতার কথা। নিজের পরিচয় গোপন রাখতে আসল নাম আর ব্যবহার করেন না। ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়ার সময় কোনো মতে জঙ্গিদের চোখ ফাকি দিয়ে চলন্ত ট্রাক থেকে নেমে পড়েছিলেন সায়া ও তাঁর আরও কয়েক জন বান্ধবী। তার পর গভীর জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে গা ঢাকা দিয়েছিলেন গোটা রাত। যে কোনো মুহূর্তে যা কিছু হতে পারত, এমনকী মৃত্যুও। সায়া জানালেন, ওই ভাবে ঝুঁকি নিয়ে না ঝাঁপাতে পারলে আজ ওকেও হয়তো পরিবারের থেকে দূরে, বন্দি হয়ে থাকতে হত জঙ্গিদের ডেরায়।

নিজে বাঁচলেও বন্ধু-সহপাঠীদের কথা ভেবে এখনো একই রকম শঙ্কিত সায়া। তার আশঙ্কা, বোকো হারামের হাতে বন্দি বাকি বন্ধুদের জীবনে আর কোনও স্বপ্ন পূরণের জায়গা অক্ষত নেই। তিনি আরও জানালেন, র‌্যাচেল নামে তাঁর আর এক বন্ধুর কথা, যাঁর বাবা ও দাদাকে তাঁর চোখের সামনেই গুলি করে খুন করে বোকো হারাম জঙ্গিরা। সায়া ও র‌্যাচেলের এখন একটাই প্রার্থনা- যে ভাবেই হোক, সুস্থ ভাবে পরিবারের কাছে, স্বাভাবিক জীবনে ফিরুক বন্ধু-সহপাঠীরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সংবাদপত্রের মানোন্নয়নে হচ্ছে টাস্কফোর্স

বোকো হারামের কবলে এখনও ১৯৫ ছাত্রী বন্দি !

আপডেট সময় : ১১:৪২:৩১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

নাইজিরিয়ার বার্নো রাজ্যের চিবক শহরের একটি সরকারি স্কুলে ২০১৪ সালে হামলা চালায় বোকো হারাম জঙ্গি গোষ্ঠী। বন্দুকের মুখে জোর করে অপহরণ করে অসংখ্য ছাত্রীকে। তিন মাসের মধ্যে ৫৭ জন এবং গত বছর আরও ২১ জন ছাত্রী জঙ্গিদের ডেরা থেকে পালিয়ে আসলেও বোকো হারামের কবলে এখনও আটকে রয়েছেন অন্তত ১৯৫ জন।

আগামী মাসে ওই ভয়াবহ ঘটনার তিন বছর পূর্তি। সম্প্রতি দুবাইতে সেই নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করেছিল আন্তর্জাতিক একটি সংগঠন। অভিজ্ঞতার

কোনো ভাবে জঙ্গিদের কবল থেকে পালিয়ে আসা সায়া জানালেন তার অভিজ্ঞতার কথা। নিজের পরিচয় গোপন রাখতে আসল নাম আর ব্যবহার করেন না। ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়ার সময় কোনো মতে জঙ্গিদের চোখ ফাকি দিয়ে চলন্ত ট্রাক থেকে নেমে পড়েছিলেন সায়া ও তাঁর আরও কয়েক জন বান্ধবী। তার পর গভীর জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে গা ঢাকা দিয়েছিলেন গোটা রাত। যে কোনো মুহূর্তে যা কিছু হতে পারত, এমনকী মৃত্যুও। সায়া জানালেন, ওই ভাবে ঝুঁকি নিয়ে না ঝাঁপাতে পারলে আজ ওকেও হয়তো পরিবারের থেকে দূরে, বন্দি হয়ে থাকতে হত জঙ্গিদের ডেরায়।

নিজে বাঁচলেও বন্ধু-সহপাঠীদের কথা ভেবে এখনো একই রকম শঙ্কিত সায়া। তার আশঙ্কা, বোকো হারামের হাতে বন্দি বাকি বন্ধুদের জীবনে আর কোনও স্বপ্ন পূরণের জায়গা অক্ষত নেই। তিনি আরও জানালেন, র‌্যাচেল নামে তাঁর আর এক বন্ধুর কথা, যাঁর বাবা ও দাদাকে তাঁর চোখের সামনেই গুলি করে খুন করে বোকো হারাম জঙ্গিরা। সায়া ও র‌্যাচেলের এখন একটাই প্রার্থনা- যে ভাবেই হোক, সুস্থ ভাবে পরিবারের কাছে, স্বাভাবিক জীবনে ফিরুক বন্ধু-সহপাঠীরা।