তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে ইরানের পরমাণু ইস্যু সমাধানে কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তুরস্কের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিউনিকেশনস ডিরেক্টরেট। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
এরদোয়ান বলেন, ‘পরমাণু বিরোধ নিষ্পত্তিতে কূটনৈতিক পথই একমাত্র টেকসই উপায়। তুরস্ক এই প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত।’ ইরান-ইসরায়েলের মধ্যকার উত্তেজনা চরমে ঠেকার পর গত ৪৮ ঘণ্টায় এটি ছিল এরদোয়ান-ট্রাম্পের দ্বিতীয় ফোনালাপ।
ফোনালাপে তুর্কি প্রেসিডেন্ট ইসরায়েল-ইরান সংঘাত অবসানে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে স্বাগত জানান এবং বলেন, ‘পুরো অঞ্চলকে আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো বিপর্যয় ঠেকাতে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের হামলার কারণে ইরান ও গোটা অঞ্চলে যে সহিংসতা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে দুই পক্ষই অপূরণীয় বেসামরিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই ঝুঁকিপূর্ণ পথ বন্ধ করতেই হবে।’
এদিকে, ট্রাম্প নিজেও রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ পোস্ট করে বলেছেন, ‘ইরান ও ইসরায়েলের একটি চুক্তি হবে এবং তা হবেই।’ তিনি জানান, শান্তি প্রতিষ্ঠায় বহু ফোনালাপ ও বৈঠক চলছে।
গত শুক্রবার ভোরে ইসরায়েল ইরানের একাধিক সামরিক ও পরমাণু স্থাপনায় আঘাত হানে এবং ইরানের একাধিক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন। এরপর থেকে উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি হামলায় লিপ্ত রয়েছে।
এই সংঘাতের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র দাবি জানিয়েছে, ইরান যেন তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়, যেটিকে পশ্চিমা বিশ্ব পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে একটি সম্ভাব্য পদক্ষেপ হিসেবে দেখে।
তবে ইরান বরাবরই বলে আসছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রোববার ওমানের মাসকটে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ষষ্ঠ দফার পরোক্ষ পারমাণবিক আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও ইসরায়েলের হামলার কারণে তা বাতিল হয়ে গেছে।