ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৪ জুন) এক টেলিফোন আলাপে দুই নেতা এ অঙ্গীকার করেন।
সৌদি ও ইরানি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, আলাপে যুবরাজ সালমান উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘাতকে উত্তেজনার দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি যুদ্ধে জড়ানো যায়।’
তিনি তেহরানকে সতর্ক ও বিবেচনার সাথে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে, ইরান পরিস্থিতি সামলাতে ‘বুদ্ধিদীপ্ত ও পরিমিত’ পদক্ষেপ নেবে।
আলাপে সৌদি যুবরাজ বলেন, ‘পুরো ইসলামি বিশ্ব ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে ইরানের পাশে রয়েছে। মুসলিম উম্মাহ আজ নজর রাখছে। আমরা ইরানের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করি, তবে চাই না সংঘাত আরও বিস্তৃত হোক।’
ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে সিনিয়র ইরানি কর্মকর্তারা নিহত হওয়ার পর তেহরান ‘ট্রু প্রমিজ থ্রি’ নামে ব্যাপক পাল্টা হামলা চালায়। এতে শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এতে বহু হতাহত এবং বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
ফোনালাপে প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান বলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই আমাদের লক্ষ্য ইসলামি অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা।’ তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতিবার সংলাপ ও অগ্রগতির পথে আমরা যখন এগোই, তখনই ইসরায়েল তা সহিংসতার মাধ্যমে বানচাল করে।’
তিনি সৌদি যুবরাজকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পর সৌদি আরব আঞ্চলিক কূটনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
চীন সরকারের মধ্যস্থতায় গত বছর সৌদি-ইরান কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পর এই উচ্চপর্যায়ের আলাপকে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।