শিরোনাম :
Logo বাগেরহাটে জামায়াত কর্মীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo ঝালকাঠিতে হিউম্যান এ্যাকর্ড ডেভলপমেন্ট সোসাইটি’র উদ্যোগে “ঈদ উপহার” বিতরণ-২০২৫ অনুষ্ঠিত  Logo কয়রায় ৩ তিন ব্যাপী ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন Logo চুয়াডাঙ্গায় জেলা কারাগারে অসুস্থ হয়ে হাজতির মৃত্যু Logo নিজেই ঠিকাদার! আসেন না অফিসে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী মফিজুর রহমান Logo শ্যামনগর পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাকির হোসেনর বিরুদ্ধে নানাবিধ দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ Logo বাজেট আরও ছোট হওয়া উচিত ছিল: আমীর খসরু Logo দূনীর্তিবাজ কর্মচারীর ক্ষমতা ও আয়ের উৎস কোথায় ফ্যাসিবাদি সরকারের দোসর কচুয়ার দুর্নীতির আরেক নাম মোহাম্মদ কাউসার Logo কচুয়ায় ইটবোঝাই ট্রলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে, নিহত ১ Logo রাবিতে শিবিরের দেওয়া কোরবানির জব্দ করে তৎকালীন প্রশাসন ; ৩ বছরেও মেলেনি হদিস

কুবির সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটির নিন্দা ও প্রতিবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (কুবিসাস) সদস্যদের ওপর ছাত্রদলের হামলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি

রবিবার (১ জুন) এক যৌথ বিবৃতিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ফারহানা নওশীন তিতলী ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার কবির রিমন এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত বুধবার (২৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তমঞ্চে আয়োজিত কনসার্ট চলাকালীন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ এবং মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কালবেলার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও কুবিসাসের কোষাধ্যক্ষ আবু শামাকে ধাক্কা দেন শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান শুভ। একই সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত দৈনিক সংবাদের কুবি প্রতিনিধি ও কুবিসাসের দপ্তর সম্পাদক চৌধুরী মাছাবিহ এবং দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের কুবি প্রতিনিধি ও কুবিসাসের সদস্য আকাশ আল মামুনের ওপর চড়াও হোন শুভ ও তার অনুসারীরা। শাখা ছাত্রদল কর্মী সাইফুল মালেক আকাশ (বাংলা-১৫), জহিরুল ইসলাম জয় (ইংরেজী-১৬), তাওহীদ রহমান সাকিব (মার্কেটিং-১৭) ও তাজওয়ার তাজসহ (মার্কেটিং-১৭) ২০-২৫ জন ছাত্রদল কর্মী ও শিক্ষার্থীসহ “আগে সাংবাদিক মার” বলে তাদের ওপর হামলা করেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের ধাক্কাতে ধাক্কাতে মুক্তমঞ্চ থেকে গোল চত্বরের দিক নিয়ে যান তারা। এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে সংবাদ কর্মী চৌধুরী মাছাবিহার ফোন কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেন ছাত্রদল কর্মী সাইফুল মালেক আকাশ।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাংবাদিকের সাথে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা উদ্বেগজনক। এমন আচরণ স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকিস্বরূপ এবং আইনশৃঙ্খলার পরিপন্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ বজায় রাখা, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।”

ট্যাগস :

বাগেরহাটে জামায়াত কর্মীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

কুবির সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটির নিন্দা ও প্রতিবাদ

আপডেট সময় : ০৫:৪২:২৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (কুবিসাস) সদস্যদের ওপর ছাত্রদলের হামলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি

রবিবার (১ জুন) এক যৌথ বিবৃতিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ফারহানা নওশীন তিতলী ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার কবির রিমন এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত বুধবার (২৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তমঞ্চে আয়োজিত কনসার্ট চলাকালীন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ এবং মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কালবেলার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও কুবিসাসের কোষাধ্যক্ষ আবু শামাকে ধাক্কা দেন শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান শুভ। একই সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত দৈনিক সংবাদের কুবি প্রতিনিধি ও কুবিসাসের দপ্তর সম্পাদক চৌধুরী মাছাবিহ এবং দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের কুবি প্রতিনিধি ও কুবিসাসের সদস্য আকাশ আল মামুনের ওপর চড়াও হোন শুভ ও তার অনুসারীরা। শাখা ছাত্রদল কর্মী সাইফুল মালেক আকাশ (বাংলা-১৫), জহিরুল ইসলাম জয় (ইংরেজী-১৬), তাওহীদ রহমান সাকিব (মার্কেটিং-১৭) ও তাজওয়ার তাজসহ (মার্কেটিং-১৭) ২০-২৫ জন ছাত্রদল কর্মী ও শিক্ষার্থীসহ “আগে সাংবাদিক মার” বলে তাদের ওপর হামলা করেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের ধাক্কাতে ধাক্কাতে মুক্তমঞ্চ থেকে গোল চত্বরের দিক নিয়ে যান তারা। এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে সংবাদ কর্মী চৌধুরী মাছাবিহার ফোন কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেন ছাত্রদল কর্মী সাইফুল মালেক আকাশ।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাংবাদিকের সাথে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা উদ্বেগজনক। এমন আচরণ স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকিস্বরূপ এবং আইনশৃঙ্খলার পরিপন্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ বজায় রাখা, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।”