দূনীর্তিবাজ কর্মচারীর ক্ষমতা ও আয়ের উৎস কোথায় ফ্যাসিবাদি সরকারের দোসর কচুয়ার দুর্নীতির আরেক নাম মোহাম্মদ কাউসার

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারি কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মোহাম্মদ কাউছারকে ঘুষ গ্রহন সহ নানা অনিয়মের অভিযোগে বদলী করা হয়েছে। চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিনের ১২ মে স্বাক্ষরিত বদলী আদেশে তাকে কচুয়া থেকে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে একই পদে বদলী করা হয়। যার স্বারক নং-৩৮.০১.১৩০০.০০০.১৯.০২৯.২২।

জানা গেছে, কচুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসে লোকবল কম থাকায় মো. কাউছার একাই শিক্ষকদের ছুটি, বদলী, পদোন্নতিসহ সকল দাপ্তরিক কাজ করতেন।
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকগন জানান, কাউছার টাকা ছাড়া কোন কাজ করতেন না। টাকাই যেন তার কাছে ছিল সকল উৎস, সব শিক্ষক তার কাছে ছিলেন জিম্মি।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার পারভীন সুলতানার দাপটে কাউছার বিভিন্ন শিক্ষকদের নিকট থেকে ছুটি, বদলী ও পদোন্নতিসহ সকল ক্ষেত্রে টাকার বিনিময়ে কাজ করতেন। তাকে টাকা না দিলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে শিক্ষকদের হয়রানী করতেন। তার বিরুদ্ধে অফিসে বসে শিক্ষকের নিকট থেকে প্রকাশ্যে ঘুষ নেয়া ও নিজ চেয়ারে বসে ধুমপানের ১মিনিট ১ সেকেন্ড এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সেবাগ্রহীতা বলেন, বিভিন্ন কাজে প্রায়ই তার কক্ষে যেতে হয়। অফিসে বসেই একের পর এক সিগারেট ধরান তিনি। তার একহাতে থাকে সিগারেট, অন্যহাতে সেবাগ্রহীতাদের ফাইলে স্বাক্ষর করেন। দুর্গন্ধে তার কক্ষে যাওয়া কষ্টকর। অফিসে যত লোকই থাকুক না কেন তিনি সবার সামনেই ধূমপান করেন। এটা তার নিত্যদিনের অভ্যাস। ধূমপানের বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে সচেতন মহলের মধ্যে।

তার পূর্বের কর্মস্থল হাজীগঞ্জ থেকেও দুনীর্তির দায়ে বিভাগীয় মামলা এবং শাস্তিমূলক বদলী হয়েছিলেন কচুয়ায়। বর্তমানে কচুয়া শিক্ষা অফিস থেকে একই জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে তাকে বদলী করায় সকল শিক্ষক ও কর্মচারীদের মাঝে স্বস্তির নি:স্বাস দেখা দিয়েছে এবং অনেকে আনন্দিত হয়েছেন। একই সাথে দুনীর্তিবাজ কাউছারের বিভিন্ন অনিয়মের তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক ও কর্মচারীগন।

এই বিষয়ে চাঁদপুরের জেলা শিক্ষা অফিসার বলেছিলেন তদন্ত কমিটি করে তার বিরুদ্দ্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তুু আদৌ পযর্ন্ত তার বিরুদ্দে কোন বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।

এদিকে ফরিদগন্জ উপজেলা অফিস জেনে-শুনে একজন দূনীর্তিবাজ কর্মচারীকে যোগদান করতে দেননি। ফলে চাঁদপুর জেলা শিক্ষা অফিসার তাকে চাদঁপুর জেলা শিক্ষা অফিসে রাখতে চান বলে বিশ্বস্ত সূএের মাধ্যমে জানা গেছে। একজন তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী কি করে হাজীগঞ্জে দুইটা পাচঁ তলা বাড়ী এবং তার নিজ গ্রামের আধুনিক ডিজাইন করে বিল্ডিং করেছেন ও অনেক অনৈতিক টাকার মালিক। তার এতো কোটি টাকার সম্পদের আয়ের উৎস কি। এই ব্যাপারে দুদকের প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহনপূবর্ক আইনগত ব্যবস্থা ও অনুসন্ধন করা উচিত। তাহলে কি আমরা ধরে নেবো তার এই ক্ষমতা ও দূনীর্তির প্রকৃত উৎস জেলা শিক্ষা অফিস চাঁদপুর।

এছাড়াও তদন্ত কমিটির বিষয়ে চাঁদপুর জেলা শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিনে সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা সহকারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজমা বেগমকে বিষয়টি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দিয়েছি। ঈদের পরপর তিনি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

এদিকে বিভিন্ন অনিয়ম, প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহন ও ধূমপানের বিষয়ে জানতে তার ব্যবহৃত ০১৮২৫০০৬০৮৭ নাম্বারে একাধিকবার ফোন করে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

ট্যাগস :

দূনীর্তিবাজ কর্মচারীর ক্ষমতা ও আয়ের উৎস কোথায় ফ্যাসিবাদি সরকারের দোসর কচুয়ার দুর্নীতির আরেক নাম মোহাম্মদ কাউসার

আপডেট সময় : ০৪:৪০:৫৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারি কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মোহাম্মদ কাউছারকে ঘুষ গ্রহন সহ নানা অনিয়মের অভিযোগে বদলী করা হয়েছে। চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিনের ১২ মে স্বাক্ষরিত বদলী আদেশে তাকে কচুয়া থেকে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে একই পদে বদলী করা হয়। যার স্বারক নং-৩৮.০১.১৩০০.০০০.১৯.০২৯.২২।

জানা গেছে, কচুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসে লোকবল কম থাকায় মো. কাউছার একাই শিক্ষকদের ছুটি, বদলী, পদোন্নতিসহ সকল দাপ্তরিক কাজ করতেন।
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকগন জানান, কাউছার টাকা ছাড়া কোন কাজ করতেন না। টাকাই যেন তার কাছে ছিল সকল উৎস, সব শিক্ষক তার কাছে ছিলেন জিম্মি।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার পারভীন সুলতানার দাপটে কাউছার বিভিন্ন শিক্ষকদের নিকট থেকে ছুটি, বদলী ও পদোন্নতিসহ সকল ক্ষেত্রে টাকার বিনিময়ে কাজ করতেন। তাকে টাকা না দিলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে শিক্ষকদের হয়রানী করতেন। তার বিরুদ্ধে অফিসে বসে শিক্ষকের নিকট থেকে প্রকাশ্যে ঘুষ নেয়া ও নিজ চেয়ারে বসে ধুমপানের ১মিনিট ১ সেকেন্ড এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সেবাগ্রহীতা বলেন, বিভিন্ন কাজে প্রায়ই তার কক্ষে যেতে হয়। অফিসে বসেই একের পর এক সিগারেট ধরান তিনি। তার একহাতে থাকে সিগারেট, অন্যহাতে সেবাগ্রহীতাদের ফাইলে স্বাক্ষর করেন। দুর্গন্ধে তার কক্ষে যাওয়া কষ্টকর। অফিসে যত লোকই থাকুক না কেন তিনি সবার সামনেই ধূমপান করেন। এটা তার নিত্যদিনের অভ্যাস। ধূমপানের বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে সচেতন মহলের মধ্যে।

তার পূর্বের কর্মস্থল হাজীগঞ্জ থেকেও দুনীর্তির দায়ে বিভাগীয় মামলা এবং শাস্তিমূলক বদলী হয়েছিলেন কচুয়ায়। বর্তমানে কচুয়া শিক্ষা অফিস থেকে একই জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে তাকে বদলী করায় সকল শিক্ষক ও কর্মচারীদের মাঝে স্বস্তির নি:স্বাস দেখা দিয়েছে এবং অনেকে আনন্দিত হয়েছেন। একই সাথে দুনীর্তিবাজ কাউছারের বিভিন্ন অনিয়মের তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক ও কর্মচারীগন।

এই বিষয়ে চাঁদপুরের জেলা শিক্ষা অফিসার বলেছিলেন তদন্ত কমিটি করে তার বিরুদ্দ্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তুু আদৌ পযর্ন্ত তার বিরুদ্দে কোন বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।

এদিকে ফরিদগন্জ উপজেলা অফিস জেনে-শুনে একজন দূনীর্তিবাজ কর্মচারীকে যোগদান করতে দেননি। ফলে চাঁদপুর জেলা শিক্ষা অফিসার তাকে চাদঁপুর জেলা শিক্ষা অফিসে রাখতে চান বলে বিশ্বস্ত সূএের মাধ্যমে জানা গেছে। একজন তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী কি করে হাজীগঞ্জে দুইটা পাচঁ তলা বাড়ী এবং তার নিজ গ্রামের আধুনিক ডিজাইন করে বিল্ডিং করেছেন ও অনেক অনৈতিক টাকার মালিক। তার এতো কোটি টাকার সম্পদের আয়ের উৎস কি। এই ব্যাপারে দুদকের প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহনপূবর্ক আইনগত ব্যবস্থা ও অনুসন্ধন করা উচিত। তাহলে কি আমরা ধরে নেবো তার এই ক্ষমতা ও দূনীর্তির প্রকৃত উৎস জেলা শিক্ষা অফিস চাঁদপুর।

এছাড়াও তদন্ত কমিটির বিষয়ে চাঁদপুর জেলা শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিনে সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা সহকারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজমা বেগমকে বিষয়টি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দিয়েছি। ঈদের পরপর তিনি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

এদিকে বিভিন্ন অনিয়ম, প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহন ও ধূমপানের বিষয়ে জানতে তার ব্যবহৃত ০১৮২৫০০৬০৮৭ নাম্বারে একাধিকবার ফোন করে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।