সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
কোনো রকম ছুটি ছাড়াই অফিসে অনুপস্থিত থাকেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মফিজুর রহমান। এতে করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারসহ সেবা প্রত্যাশিত জনসাধারণ হয়রানীর শিকার হচ্ছেন।
অথচ সরকারের পক্ষ থেকে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর সাধারণ মানুষের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ প্রকল্প ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা নির্মানসহ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করে থাকে। কিন্ত দেখা যায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মফিজুর রহমানের মত কিছু অসৎ কর্মকর্তারা সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয় ওই সব প্রকল্প লুটপাট হচ্ছে।
সদর উপজেলার ফিংড়ি গ্রামের নজরুল ইসলাম ও গোবিন্দ মন্ডল জানান, পর পর দু‘দিন এসে দেখা পাওয়া যায়নি উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মফিজুর রহমান। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে অবশেষে ফিরে গেছেন তারা। তবে ফিরে যাওয়ার আগে অফিসের এক কর্মচারীর নিকট জানতে চান তারা উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাহেব কোথায় আছেন বা কখন আসবেন? এসময় তাদেরকে বলা হয় স্যার জেলা অফিসে আছেন। কখন ফিরবেন তা বলতে পারবো না। এভাবেই প্রতিদিন দুরদুরন্ত থেকে আসা সাধারণ মানুষ উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মফিজুর রহমানকে না পেয়ে কাঙ্কিত সরকারী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
অন্যদিকে সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নিয়মিত কাজ করেন এমন কয়েকজন ঠিকারদার জানান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মফিজুর রহমান বাস্তবে তিনি ঠিকাদারী করেন। বে-নামে নিয়ে তা নিজেই করেন। কাজের মানও ভালো করেন না। টিউবয়েলগুলোর যে পরিমান গভীরে বসানোর কথা তা না করে স্বল্প গভীরে স্থাপন করে সরকারী অর্থ লুটপাট করেন। এতে করে তিনি ঠিকাদারদের সাথেও দুর্ব্যবহার করেন।
তাছাড়া শোনা যাচ্ছে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মফিজুর রহমান সাড়ে ৫ বছরের চাকরী জীবনে তিনি কয়েকটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ইতিমধ্যে যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় তার গ্রামে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা দিয়ে আলিশান বাড়ি নির্মান করেছেন। অনেকের প্রশ্ন কি এমন আলাদ্বীনের চেরাগ হাতে পেয়েছেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মফিজুর রহমান? অনেকের ধারনা দূর্নীতি দমন ব্যুরো কর্তৃক উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মফিজুর রহমানের আয়ের সাথে অসঙ্গতিপুর্ন অর্থের খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
উল্লেখ্য, ঠিকাদারের কাছে ঘুষ দাবির অভিযোগে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মফিজুর রহমান সদর উপজেলা থেকে প্রত্যাহার করে নেয় সংশ্লিষ্ট জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্ত ওই বদলীর মাত্র ৫ মাসের মাথায় মোটা অংকের লেনদেনের মাধ্যমে পুনরায় সদর উপজেলাতে। কিন্তু পুনরায় যোগদান করার পর তিনি আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। রীতিমত ছাড়া কোনো করছেন না।
এব্যাপারে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জেলা অফিস বা প্রকল্পের কাজ দেখতে এলাকাতে যাওয়া লাগে। ফলে সব সময় অফিসে থাকা হয় না।