আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে কচুয়ায় বিভিন্ন হাটে পশু কেনাবেচা শুরু হয়েছে। দাম বেশি হাকায় এখন এ কেনাবেচা জমে উঠছে না। তবে কচুয়া উপজেলার পাথৈর গ্রামের ষাঁড় কালা মানিকের দাম হাঁকা হয়েছে ৮ লাখ টাকা। পাথৈর গ্রামের কাজী দিঘির দক্ষিন পাড়া মসজিদ বাড়ির অধিবাসী মিজানুর রহমান প্রায় ৪ বছর ধরে লালন পালন করে আসছেন এ কালা মানিক।
ওই গ্রামের মিজানুর রহমান ৮০০ কেজি ওজনের বিশাল আকৃতির ষাঁড় কালা মানিকের দাম হাঁকা হয়েছে ৮ লাখ টাকা এবং এ ষাঁড়ের পা থেকে মাথা পর্যন্ত গায়ের রং কুচকুচে কালো। এ কারণে তার নাম রাখা হয়েছে আদরের কালা মানিক।
মালিক মিজানুর রহমান বলেন, প্রায় ৪ বছর ধরে দেশীয় প্রজাতির ঘাস ও ফল-ফলাদি দিয়ে কালা মানিককে খাওয়ানো হয়েছে। অন্যরকম আদর করে কালা মানিককে লালন-পালন করছি। দিনরাত এ খামার পরিচর্যাসহ দেখাশোনা করছি। কোনো প্রকার ওষুধ ছাড়াই ষাঁড়কে খেতে দেওয়া হয়। এদিকে এ কালা মানিককে কেউ কিনতে চাইলে কচুয়া উপজেলার পাথৈর গ্রামের অধিবাসী মিজানুর রহমান এর নাম্বার ০১৮৯২৭৩৮৩০১ নাম্বারে যোগাযোগ করার আহ্বান করা গেল।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সাওকাত হোসেন সুমন বলেন, এ উপজেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড় কালা মানিক। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে এ ষাঁড় বড় করা করেছে এবং এ ষাঁড় দেখতেও কালা কুচকুচে। এ কারণে নাম রাখা হয়েছে কালা মানিক। কোরবানির পশুর হাটে এ কালা মানিক ভালো দামে বিক্রি করবে বলে জানান তিনি ।
ছবি: কচুয়ার পাথৈর গ্রামে কালা মানিকের সাথে মালিক মিজানুর রহমান।