গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো উচিত

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৮:১৩:১৪ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭৩৫ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি নেতাদের প্রতিহিংসামূলক বক্তব্য বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরবঙ্গের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শনিবার দুপুরে পঞ্চগড়ের ধাক্কামাড়া ইউনিয়নের মিড়গড় জেলা প্রশাসন ইকোপার্ক পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, রাজনীতীতে তারা আমাদের সিনিয়র। আমরা তাদের কাছে শিখব। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যদি প্রতিহিংসামূলক বা কাওকে ছোট করে বক্তব্যের কালচারটা আবার তৈরি করেন যেটা আমরা দেখতাম শেখ হাসিনা- ড. ইউনূসকে ছোট করে বা খালেদা জিয়াকে ছোট করে বিভিন্ন কথা বলতেন। এটা কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে সৌহার্দ্যপুর্ণ সম্পর্ক নষ্ট করে ফেলেছিল। আমরা সিনিয়র রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে একই কালচার বা একই আচরণ দেখতে চাইনা। সেই যায়গায় আমরা মনে করি আমাদের জন্য যদি তাদের কোন পরামর্শ থাকে সেই পরামর্শ দেবেন এবং এই পরামর্শও একটি শ্রদ্ধাপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে দেয়া উচিত। এটাই আমরা তাদের কাছে প্রত্যাশা করবো।

সারজিস বলেন, বিএনপি এক নেতা বলেছেন যে আন্দোলনের কারণে বাংলাদেশে শিক্ষা বা শিক্ষার যে পরিবেশ সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে এটা সত্যি যে কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে। কিন্তু আমরা শেষ হয়ে গিয়েছে বা নষ্ট হয়ে গিয়েছে এটা আসলে বলতে পারি না। একটা কথা হচ্ছে কি এই যে এখন বাংলাদেশের রাজনীতির পরিমন্ডলে কথা বলছে এই মানুষগুলো কিন্তু আর স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে কিনা এটারও কিন্তু নিশ্চয়তা ছিল না। আমরা দেখেছি কিভাবে বিএনপির- যারা অনেক বেশি স্ট্রাগল করেছিল গত ১৬ বছর ধরে। তাদের বড় বড় নেতৃবৃন্দ কিভাবে কান্নাকাটি করেছে সোস্যাল  মিডিয়ার সামনে এসে যে তারা তাদের পরিবারের সামনে যেতে পারছে না, তার পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য তার ভাই মারা যাচ্ছে দাফন করতে যেতে পারছে না এবং এই ছাত্রদের এতবড় ত্যাগ, এতো রক্তের পরেই কিন্তু এতো বড় একটি অভ্যুত্থান। এই মানুষগুলো এভাবে এখন মিডিয়ার সামনে এসে কিংবা বুক ফুলিয়ে তাদের যায়গা থেকে স্বাধীনভাবে কথা বলছে।

সারজিস আলম আরও বলেন, বাংলাদেশ-ভারত পাশাপাশি দুটি দেশ কখনো এ দুটি দেশের সম্পর্ক এমন অবস্থায় যাবে না যে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যাবে। আমরা এটা প্রত্যাশা করি না। কিন্তু ভারতের কাজ বা তারা বাংলাদেশকে কিভাবে ডিল করবে বা কোন চোখে দেখছে এই জিনিসগুলি ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কগুলি নির্ধারণ করবে। কোন কিছু থেমে থাকে না। আমরা মনে করি আমাদেরকে কেউ যদি অনৈতিকভাবে বা অযৌক্তিভাবে বঞ্চিত করে দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিকল্প অপসন খুঁজে নেবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো উচিত

আপডেট সময় : ০৮:১৩:১৪ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

বিএনপি নেতাদের প্রতিহিংসামূলক বক্তব্য বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরবঙ্গের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শনিবার দুপুরে পঞ্চগড়ের ধাক্কামাড়া ইউনিয়নের মিড়গড় জেলা প্রশাসন ইকোপার্ক পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, রাজনীতীতে তারা আমাদের সিনিয়র। আমরা তাদের কাছে শিখব। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যদি প্রতিহিংসামূলক বা কাওকে ছোট করে বক্তব্যের কালচারটা আবার তৈরি করেন যেটা আমরা দেখতাম শেখ হাসিনা- ড. ইউনূসকে ছোট করে বা খালেদা জিয়াকে ছোট করে বিভিন্ন কথা বলতেন। এটা কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে সৌহার্দ্যপুর্ণ সম্পর্ক নষ্ট করে ফেলেছিল। আমরা সিনিয়র রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে একই কালচার বা একই আচরণ দেখতে চাইনা। সেই যায়গায় আমরা মনে করি আমাদের জন্য যদি তাদের কোন পরামর্শ থাকে সেই পরামর্শ দেবেন এবং এই পরামর্শও একটি শ্রদ্ধাপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে দেয়া উচিত। এটাই আমরা তাদের কাছে প্রত্যাশা করবো।

সারজিস বলেন, বিএনপি এক নেতা বলেছেন যে আন্দোলনের কারণে বাংলাদেশে শিক্ষা বা শিক্ষার যে পরিবেশ সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে এটা সত্যি যে কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে। কিন্তু আমরা শেষ হয়ে গিয়েছে বা নষ্ট হয়ে গিয়েছে এটা আসলে বলতে পারি না। একটা কথা হচ্ছে কি এই যে এখন বাংলাদেশের রাজনীতির পরিমন্ডলে কথা বলছে এই মানুষগুলো কিন্তু আর স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে কিনা এটারও কিন্তু নিশ্চয়তা ছিল না। আমরা দেখেছি কিভাবে বিএনপির- যারা অনেক বেশি স্ট্রাগল করেছিল গত ১৬ বছর ধরে। তাদের বড় বড় নেতৃবৃন্দ কিভাবে কান্নাকাটি করেছে সোস্যাল  মিডিয়ার সামনে এসে যে তারা তাদের পরিবারের সামনে যেতে পারছে না, তার পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য তার ভাই মারা যাচ্ছে দাফন করতে যেতে পারছে না এবং এই ছাত্রদের এতবড় ত্যাগ, এতো রক্তের পরেই কিন্তু এতো বড় একটি অভ্যুত্থান। এই মানুষগুলো এভাবে এখন মিডিয়ার সামনে এসে কিংবা বুক ফুলিয়ে তাদের যায়গা থেকে স্বাধীনভাবে কথা বলছে।

সারজিস আলম আরও বলেন, বাংলাদেশ-ভারত পাশাপাশি দুটি দেশ কখনো এ দুটি দেশের সম্পর্ক এমন অবস্থায় যাবে না যে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যাবে। আমরা এটা প্রত্যাশা করি না। কিন্তু ভারতের কাজ বা তারা বাংলাদেশকে কিভাবে ডিল করবে বা কোন চোখে দেখছে এই জিনিসগুলি ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কগুলি নির্ধারণ করবে। কোন কিছু থেমে থাকে না। আমরা মনে করি আমাদেরকে কেউ যদি অনৈতিকভাবে বা অযৌক্তিভাবে বঞ্চিত করে দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিকল্প অপসন খুঁজে নেবে।