মঙ্গল শোভাযাত্রা হিন্দুদের জন্মাষ্টমীর ধর্মাচার: হেফাজত

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৬:০১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭১০ বার পড়া হয়েছে

হেফাজতে ইসলাম জানিয়েছে, পহেলা বৈশাখ উদযাপনে মঙ্গল শোভাযাত্রা ‘হিন্দুদের জন্মাষ্টমীর ধর্মাচার’। সংগঠনটি জানিয়েছে, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ‘সর্বজনীনতা’র নামে সবার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।

হেফাজতের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজিদুর রহমান বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ‘পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রাকে পরবর্তীকালে মঙ্গল শোভাযাত্রায় রূপ দেওয়াকে তারা ভারতীয় ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যা ‌দেন।’

‘সেজন্য তারা ইউনেস্কোর স্বীকৃতির পুনর্বিবেচনা ও ভুল সংশোধনের জন্য সংস্থাটির কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার’ প্রতি জোর আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘১৯৮৯ সালের পহেলা বৈশাখে প্রথম পালিত আনন্দ শোভাযাত্রাকে পরবর্তীকালে মঙ্গল শোভাযাত্রায় রূপ দেওয়াকে আমরা ভারতীয় ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখি। ঢাবির চারুকলা সব সময় মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করলেও পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আবেদনের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে জাতিসংঘের ইউনেস্কো পহেলা বৈশাখের বানোয়াট মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ‘অধরা সাংস্কৃতিক ঐহিত্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।’

‘তাই ইউনেস্কোর স্বীকৃতির পুনর্বিবেচনা ও ভুল সংশোধনের জন্য সংস্থাটির কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিতে আমরা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার প্রতি জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মঙ্গল শোভাযাত্রা হিন্দুদের জন্মাষ্টমীর ধর্মাচার: হেফাজত

আপডেট সময় : ০৬:৫৬:০১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

হেফাজতে ইসলাম জানিয়েছে, পহেলা বৈশাখ উদযাপনে মঙ্গল শোভাযাত্রা ‘হিন্দুদের জন্মাষ্টমীর ধর্মাচার’। সংগঠনটি জানিয়েছে, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ‘সর্বজনীনতা’র নামে সবার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।

হেফাজতের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজিদুর রহমান বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ‘পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রাকে পরবর্তীকালে মঙ্গল শোভাযাত্রায় রূপ দেওয়াকে তারা ভারতীয় ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যা ‌দেন।’

‘সেজন্য তারা ইউনেস্কোর স্বীকৃতির পুনর্বিবেচনা ও ভুল সংশোধনের জন্য সংস্থাটির কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার’ প্রতি জোর আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘১৯৮৯ সালের পহেলা বৈশাখে প্রথম পালিত আনন্দ শোভাযাত্রাকে পরবর্তীকালে মঙ্গল শোভাযাত্রায় রূপ দেওয়াকে আমরা ভারতীয় ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখি। ঢাবির চারুকলা সব সময় মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করলেও পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আবেদনের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে জাতিসংঘের ইউনেস্কো পহেলা বৈশাখের বানোয়াট মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ‘অধরা সাংস্কৃতিক ঐহিত্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।’

‘তাই ইউনেস্কোর স্বীকৃতির পুনর্বিবেচনা ও ভুল সংশোধনের জন্য সংস্থাটির কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিতে আমরা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার প্রতি জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’