মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে এক হাজার দুই জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও কমপক্ষে দুই হাজার ৩৭৬ জন। নিখোঁজ রয়েছে আরও ৩০ জন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আজ শনিবার (২৯ মার্চ) মিয়ানমারের জান্তা সরকার এই তথ্য জানিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) আশঙ্কা করে বলেছে, মিয়ানমারের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াতে পারে।
ব্যাপক হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির ইঙ্গিত দিয়ে ইউএসজিএস লাল সতর্কতা জারি করেছে।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সময় বেলা ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার এই ভূমিকম্প হয়। এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের কেন্দ্র মিয়ানমারের মান্দালয় শহর থেকে প্রায় ১৭ দশমিক ২ কিলোমিটার দূরে। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের পর থেকে দেশটিতে কমপক্ষে ১৪টি আফটারশক আঘাত হেনেছে।
এসব আফটারশক ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ওই ভূমিকম্প আঘাত হানার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আঘাত হানে, যার মাত্রা ছিল ৩ থেকে ৫। সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প, যা বড় ভূমিকম্পের প্রায় ১০ মিনিট পরে আঘাত হানে।
এর মধ্যে দুটি ৪ দশমিক ৯ এবং ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আফটারশক মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় থেকে প্রায় ২০ মাইল দূরে ঘটেছিল, যেখানে যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্যগুলো প্রধান ভূমিকম্পের উত্তর এবং দক্ষিণে আঘাত হানে। সূত্র: বিবিসি