চাঁদপুরের কচুয়ায় রাস্তার দু’পাশ কিংবা গ্রামীণ আনাচে-কানাচে প্রকৃতিতে মুগ্ধতা ছড়িয়ে ফুটেছে চোখজুড়ানো ভাটফুল। ভাটের সৌন্দর্যে মুহ্যমান হওয়া প্রকৃতি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। এ ফুলের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে ফুলপ্রেমী ও প্রকৃতিপ্রেমীসহ সব বয়সী মানুষ বিমুগ্ধ হচ্ছেন। তবে বিলুপ্তির পথে এ ভাটফুল।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা দেখা গেছে, কচুয়া-সাচার সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে ও গ্রামীণ প্রকৃতিতে অনাদর ও অবহেলায় বেড়ে ওঠা চিরচেনা গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ ভাটফুল তার অপরূপ সৌন্দর্যের পসরা সাজিয়েছে। সড়ক ও গ্রামীণ মেঠোপথের দুপাশে, খাল-দিঘি ও জলাশয়ের পাড়ে, গ্রামীণ পরিবেশের আনাচে-কানাচে ভাটফুল থোকায় থোকায় ফুটে আছে। এ ফুলের সৌন্দর্যে যেন চোখজুড়িয়ে যায়। মন কেড়ে নেওয়ার মতো সুন্দর হওয়ায় এ ফুল শোভা পাচ্ছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া তরুণ-তরুণীদের হাতে।
তাছাড়া ভাটফুল সাদার মধ্যে হালকা বেগুনি মিশ্রিত স্নিগ্ধ সুন্দর। এ ফুল পাঁচটি পাপড়ি নিয়ে ফুটে থোকায় থোকায়। এ ফুলের গন্ধ রাতে তীব্র হয়ে ওঠে। অঞ্চলভেদে এটিকে বনজুঁই, ঘেটু ফুল, ভাইটা ফুল, ঘণ্টাকর্ণ নামেও পরিচিত। তবে ভাটফুল নামেই এ ফুলের পরিচিতি বেশি।
স্থানীয় অধিবাসারী বলেন, ভাট ফুটলেই নিশ্চিত হওয়া যায় প্রকৃতিতে বসন্ত প্রবেশ করেছে। শীত শেষে ভাটফুল ফুটলে প্রকৃতির চেহারায় সতেজতার ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। রাস্তার পথে ভাটফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। গ্রামীণ পরিবেশে এ ফুলের সৌন্দর্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর।
ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ইয়ার আহমেদ ও জীববিদ্যা বিভাগের প্রদর্শক বিধান চন্দ্র সরকার বলেন, সবরকম ফুলই মানুষকে আকৃষ্ট করে। বসন্তের শুরুতে এ সময়টায় ভাটফুল প্রকৃতিতে রাজত্ব করছে। আমাদের পরিবেশের বিভিন্ন জায়গায় ফোটা এ ফুলের সৌন্দর্যে প্রকৃতি অলংকৃত হয়ে আছে। তারা আরও বলেন, দিন দিন গ্রামীণ প্রকৃতি থেকে ভাট গাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভাটসহ বিভিন্ন ঔষুধী গাছ হিুমকিতে থাকা এ গাছ রক্ষায় আমাদের সবার এগিয়ে আসা উচিত।
ছবি: কচুয়ার পালাখাল এলাকায় রাস্তার পাশে মুগ্ধতা ছড়িয়ে ফুটেছে চোখজুড়ানো ভাটফুল।