চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে নির্যাতনে নিহতের ১২ দিন পর বাংলাদেশীর মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৪:৪১:৪৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭২৭ বার পড়া হয়েছে
মোঃ সিফাত রানা চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় সীমান্তে বিএসএফ’র নির্যাতনে নিহত ওপারে ভারতে নিহত মো. বারিকুল ইসলামের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
মঙ্গলবার বিকাল ৫টার সময় সোনামসজিদ সীমান্তের শুন্যরেখায়  মরদেহ হস্তান্তর হয় বলে জানিয়েছেন ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনির-উজ-জামান।
নিহত মো. বারিকুল  দুর্লভপুর ইউপির নামো জগন্নাথপুর গ্রামের সেতাউর রহমানের ছেলে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তিনি দুর্লভপুর ইউপির ফতেপুরে সীমান্তে গম ক্ষেতে কাজ করার সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ নিয়ে যায়।
মরদেহ হস্তান্তরের সময় বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত শিবগঞ্জ থানার এসআই মো. হাসান আলী বলেন, হস্তান্তরের সময় নিহত বারিকুলের বাবা-মা, এক ভাই ও গ্রামের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বিএসএফ-বিজিবি ও দুদেশের পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মরদেহটি ভারতের সুতি থানার একটি হাসপাতালের মর্গে ছিল। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তা ফেরত দেওয়া হয়েছে। লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে বলেও জানান এসআই হাসান আলী।
বিজিবির লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনির-উজ-জামান বলেন, “কীভাবে কার হাতে বারিকুল নিহত হয়েছে সে তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে ভারত সীমান্তের দুই কিলোমিটার ভিতরে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।”
এ ঘটনায় বিএসএফের কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল বলেও জানান এ বিজিবি কর্মকর্তা।
ট্যাগস :

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে নির্যাতনে নিহতের ১২ দিন পর বাংলাদেশীর মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।

আপডেট সময় : ০৪:৪১:৪৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মোঃ সিফাত রানা চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় সীমান্তে বিএসএফ’র নির্যাতনে নিহত ওপারে ভারতে নিহত মো. বারিকুল ইসলামের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
মঙ্গলবার বিকাল ৫টার সময় সোনামসজিদ সীমান্তের শুন্যরেখায়  মরদেহ হস্তান্তর হয় বলে জানিয়েছেন ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনির-উজ-জামান।
নিহত মো. বারিকুল  দুর্লভপুর ইউপির নামো জগন্নাথপুর গ্রামের সেতাউর রহমানের ছেলে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তিনি দুর্লভপুর ইউপির ফতেপুরে সীমান্তে গম ক্ষেতে কাজ করার সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ নিয়ে যায়।
মরদেহ হস্তান্তরের সময় বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত শিবগঞ্জ থানার এসআই মো. হাসান আলী বলেন, হস্তান্তরের সময় নিহত বারিকুলের বাবা-মা, এক ভাই ও গ্রামের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বিএসএফ-বিজিবি ও দুদেশের পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মরদেহটি ভারতের সুতি থানার একটি হাসপাতালের মর্গে ছিল। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তা ফেরত দেওয়া হয়েছে। লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে বলেও জানান এসআই হাসান আলী।
বিজিবির লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনির-উজ-জামান বলেন, “কীভাবে কার হাতে বারিকুল নিহত হয়েছে সে তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে ভারত সীমান্তের দুই কিলোমিটার ভিতরে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।”
এ ঘটনায় বিএসএফের কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল বলেও জানান এ বিজিবি কর্মকর্তা।