জমঁকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের মিলনমেলা’

0
8

আল মাহমুদ দোলন

গত ২৪ জানুয়ারি, গাজীপুর জেলার রাজেন্দ্রপুরে অবস্থিত গাজীপুর বাঁশরী রিসোর্টে আয়োজিত এই জমকালো অনুষ্ঠানে ৭৫০ জন প্রকৌশলী অংশগ্রহণ করেন। এটি ছিলো শুধু একটি পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান নয়, বরং রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট (আরপিআই) এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সম্প্রদায়ের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
এদিন, ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবেগপূর্ণ পুনর্মিলনী ছিলো, যেখানে তারা নিজেদের পুরনো সহপাঠী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করেন। পুরো অনুষ্ঠানটি পরিণত হয়েছিলো এক গর্বিত ইঞ্জিনিয়ার পরিবারের মিলনমেলায়, যেখানে ছিলো পুরনো স্মৃতি, হাসি-ঠাট্টা এবং পুনর্মিলনীর উচ্ছ্বাস।

‘আরপিআই’র বর্তমান এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) শিক্ষকবৃন্দ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।
ইঞ্জিনিয়ার আসাদুজ্জামান সরকার (চিফ ইন্সট্রাক্টর – সিভিল টেকনোলজি) শহিদুল ইসলাম শাওন (চিফ ইন্সট্রাক্টর – মেকানিক্যাল টেকনোলজি) ইঞ্জিনিয়ার নাজমুস সাকিব (চিফ ইন্সট্রাক্টর – পাওয়ার টেকনোলজি) ইঞ্জিনিয়ার হাসানুজ্জামান (সিটি)
ইঞ্জিনিয়ার সাইদুল ইসলাম (এমটি)
রুহুল আমিন (সিএমটি)। এসময়
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন,
ইঞ্জিনিয়ার শামীম (ভাইস প্রিন্সিপাল – ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট), ডুয়েট-এর অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী (যন্ত্রকৌশল বিভাগ)
অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান (এমই)।

এদিনে অনুষ্ঠানের বড় চমক ছিলো আরপিআই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা। এবং এই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন  ইঞ্জি. তৌহিদুর রহমান (তৌহিদ)।

বিশিষ্টজনরা বলেন, সংগঠনটি প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি, পেশাগত নেটওয়ার্ক গঠন, এবং ইঞ্জিনিয়ারিং জ্ঞানের আদান-প্রদান সহজতর করবে।
তারা তাদের মূল্যবান বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ারিং পেশার ভবিষ্যত এবং রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভূমিকা তুলে ধরেন। এতে বিশেষভাবে গুরুত্ব পায় জীবনের প্রতি একাগ্রতা, শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, এবং পেশাদার জীবনে অগ্রগতি নিশ্চিত করতে আরপিআই-র অবদান।

এ অ্যাসোসিয়েশনটির মাধ্যমে পুরনো শিক্ষার্থীরা একে অপরকে সহযোগিতা, পরামর্শ এবং উন্নয়নের সুযোগ দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায় নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়াও, এই অ্যাসোসিয়েশন ভবিষ্যতে বিভিন্ন একাডেমিক ও শিল্প অংশীদারিত্বের জন্য ভিত্তি তৈরি করবে, যা আরপিআই-র শিক্ষা এবং গবেষণার ক্ষেত্রেও নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে আলোচনায় উঠে আসে, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার গুরুত্ব। বিশেষত পেশাদার জীবনে সফলতা অর্জনে সদা নতুন কিছু শেখার তাগিদ। একইসঙ্গে, শিক্ষকরা যেভাবে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়তা করেন, তা-ও তুলে ধরা হয়। এমনটি প্রকাশ করা হয় যে, প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের একত্রিত করে একে অপরকে সহযোগিতার হাত বাড়ানো রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চিরন্তন মূল্যবোধ।
এ মিলন মেলার বার্তা ছিলো একতা, সহযোগিতা এবং সম্পর্কের শক্তি। এটি শুধু একটি উৎসব ছিলো না, বরং এটি আরপিআই-র ইতিহাসের একটি নতুন অধ্যায় তৈরি করেছে, যা প্রতিষ্ঠানটির অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে আরো একত্রিত ও শক্তিশালী করেছে। যেখানে পুরনো বন্ধন নতুন করে স্থাপন করা হয়েছে, আর ভবিষ্যতে এই সম্মিলনীগুলোর মাধ্যমে আরপিআই-র নাম আরও উজ্জ্বল হবে, এমনটাই আশা করছেন সবাই।