শিরোনাম :
Logo শ্যামনগরে ৪৫ কেজি হরিণের মাংস ও ১২টি পা জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড Logo খুবিতে জুলাই বিপ্লব বিরোধীদের তথ্য সংগ্রহে তদন্ত কমিটি গঠন Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলনের বিশাল গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত  পিআর নিয়ে কোনোপ্রকার টালবাহানা দেশের মানুষ বরদাশত করবে না -মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম Logo বাবুরহাটে গোলাপ ফুলের সমর্থনে জাকের পার্টির “জনসভা ও র‍্যালী” Logo সুবিদপুরে মাদক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে ফুটবল ম্যাচ মাদক সেবনে মানুষের শারীরিক ও মানসিক উভয়প্রকার ক্ষতিসাধন হয় সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান Logo তুরস্কের চানকিরি কারাতেকিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইবি উপাচার্যের বিশেষ সংবর্ধনা Logo খুবিতে ইনোভেশন ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো “ইনভেনটাম ৪.০” Logo সিরাজগঞ্জে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর পক্ষে ধানের শীষে ভোট চেয়ে অমর কৃষ্ণ দাসের গণসংযোগ Logo জুলাই সনদে এনসিপির পরেও অংশগ্রহণের সুযোগ আছে : ধর্ম উপদেষ্টা Logo নারী টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন নাভগির

ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে জবি শিবির সেক্রেটারিকে মারতে আসলেন সোহরাওয়ার্দী ছাত্রদল

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১০:১১:৫৪ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৮১ বার পড়া হয়েছে

জবি প্রতিনিধি,

সূত্রাপুর থানায় সভা চলাকালীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারিকে( রিয়াজুল ইসলাম) ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন। পরবর্তীতে নিজের ভুল বুঝতে পেরে শাখা শিবির সেক্রেটারির নিকট ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সূত্রাপুর থানায় আয়োজিত এক নাগরিক সভা চলাকালীন এই ঘটনা ঘটে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সূত্রাপুর থানা পুলিশের আহ্বানে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা চলছিল। সভা চলাকালীন উপস্থিত জবি শিবির সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলামকে জেরা করতে থাকেন সোহরাওয়ার্দী কলেজে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন। এ সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা চেয়ার ভাঙচুর করতে থাকেন ও মারতে তেড়ে আসেন। পরে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে জবি শাখা শিবির সেক্রেটারিকে রিয়াজুল ইসলামকে সরিয়ে ওসির কক্ষে নিয়ে আসেন।

এ জবি শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আমার সঙ্গে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি-সেক্রেটারির একটা ছবি দেখিয়ে তারা তেড়ে আসে। ছবিটা আমি যখন জবি আবৃত্তি সংসদের সেক্রেটারি ছিলাম তখনকার। আমি জীবনে ছাত্রলীগ করিনি। কোনো মিছিল, মিটিং, শো-ডাউন কিছুই করিনি। কিন্ত তারা একটা ছবি দেখিয়ে কোনো কিছু যাচাই-বাছাই না করে তারা হঠাৎ এগ্রেসিভ হয় তিনজন মিলে হামলা করার জন্য আগায়ে আসে। পেছনে তাদের লোকজন চেয়ার ছোড়াছুড়ি করতে থাকে। পুলিশের একটা টিম আমাকে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে যেন আমার উপর হামলা না করে।

তিনি আরো বলেন, আমার সঙ্গে স্থানীয় একজন মুরুব্বি ছিলো, তাকেও মারতে আসে। পুলিশও বলছিলো যে, তারা আশঙ্কা করছিল মুরুব্বির উপরও হামলা করতে পারে। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে। তারা আমাকে চেনে। তারা জবি ছাত্রদলের সাথে যোগাযোগ না করে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।

এ ঘটনা উদ্দেশ্য প্রণোদিত কিনা জানতে চাইলে জবি শিবির সেক্রেটারি রিয়াজুল বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে সবার সাথে আমরা বন্ধুভাবাপন্ন আছি। হঠাৎ করে বাইরের কেউ থেকে এসে ঝামেলা করছে।

উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে। তবে আমরা ঐদিকে যাবো না। আমরা ভুল বোঝাবুঝি হিসেবে নেবো। এটাকেকেন্দ্র করে কোনো স্থিতিশীল না হয় তার আহ্বান জানাচ্ছি।
সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, আমি বিষয়টি বুঝতে পারিনি। পূর্বের একটি ছবিকে কেন্দ্র করে ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেছে। এটার জন্য আমি দুঃখিত।

সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, সভা চলাকালীন শাখা শিবিরের সেক্রেটারির একটি ছবিকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হট্টগোল সৃষ্টি করে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে তাৎক্ষণিক আমরা শিবিরিরে সেক্রেটারিকে ব্যারিকেড দিয়ে আমার কক্ষে নিয়ে আসি। ছাত্রদল সভাপতি জসিম উদ্দিন নিজের ভুল বুঝতে পারায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তায় বিষয়টি মিমাংসা করা হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শ্যামনগরে ৪৫ কেজি হরিণের মাংস ও ১২টি পা জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে জবি শিবির সেক্রেটারিকে মারতে আসলেন সোহরাওয়ার্দী ছাত্রদল

আপডেট সময় : ১০:১১:৫৪ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫

জবি প্রতিনিধি,

সূত্রাপুর থানায় সভা চলাকালীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারিকে( রিয়াজুল ইসলাম) ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন। পরবর্তীতে নিজের ভুল বুঝতে পেরে শাখা শিবির সেক্রেটারির নিকট ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সূত্রাপুর থানায় আয়োজিত এক নাগরিক সভা চলাকালীন এই ঘটনা ঘটে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সূত্রাপুর থানা পুলিশের আহ্বানে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা চলছিল। সভা চলাকালীন উপস্থিত জবি শিবির সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলামকে জেরা করতে থাকেন সোহরাওয়ার্দী কলেজে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন। এ সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা চেয়ার ভাঙচুর করতে থাকেন ও মারতে তেড়ে আসেন। পরে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে জবি শাখা শিবির সেক্রেটারিকে রিয়াজুল ইসলামকে সরিয়ে ওসির কক্ষে নিয়ে আসেন।

এ জবি শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আমার সঙ্গে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি-সেক্রেটারির একটা ছবি দেখিয়ে তারা তেড়ে আসে। ছবিটা আমি যখন জবি আবৃত্তি সংসদের সেক্রেটারি ছিলাম তখনকার। আমি জীবনে ছাত্রলীগ করিনি। কোনো মিছিল, মিটিং, শো-ডাউন কিছুই করিনি। কিন্ত তারা একটা ছবি দেখিয়ে কোনো কিছু যাচাই-বাছাই না করে তারা হঠাৎ এগ্রেসিভ হয় তিনজন মিলে হামলা করার জন্য আগায়ে আসে। পেছনে তাদের লোকজন চেয়ার ছোড়াছুড়ি করতে থাকে। পুলিশের একটা টিম আমাকে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে যেন আমার উপর হামলা না করে।

তিনি আরো বলেন, আমার সঙ্গে স্থানীয় একজন মুরুব্বি ছিলো, তাকেও মারতে আসে। পুলিশও বলছিলো যে, তারা আশঙ্কা করছিল মুরুব্বির উপরও হামলা করতে পারে। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে। তারা আমাকে চেনে। তারা জবি ছাত্রদলের সাথে যোগাযোগ না করে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।

এ ঘটনা উদ্দেশ্য প্রণোদিত কিনা জানতে চাইলে জবি শিবির সেক্রেটারি রিয়াজুল বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে সবার সাথে আমরা বন্ধুভাবাপন্ন আছি। হঠাৎ করে বাইরের কেউ থেকে এসে ঝামেলা করছে।

উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে। তবে আমরা ঐদিকে যাবো না। আমরা ভুল বোঝাবুঝি হিসেবে নেবো। এটাকেকেন্দ্র করে কোনো স্থিতিশীল না হয় তার আহ্বান জানাচ্ছি।
সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, আমি বিষয়টি বুঝতে পারিনি। পূর্বের একটি ছবিকে কেন্দ্র করে ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেছে। এটার জন্য আমি দুঃখিত।

সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, সভা চলাকালীন শাখা শিবিরের সেক্রেটারির একটি ছবিকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হট্টগোল সৃষ্টি করে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে তাৎক্ষণিক আমরা শিবিরিরে সেক্রেটারিকে ব্যারিকেড দিয়ে আমার কক্ষে নিয়ে আসি। ছাত্রদল সভাপতি জসিম উদ্দিন নিজের ভুল বুঝতে পারায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তায় বিষয়টি মিমাংসা করা হয়।