শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকীতে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo অব্যাহত সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত Logo ওয়েব পোর্টাল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ইবির আইসিটি বিভাগে নবীনবরণ Logo পলাশবাড়ীতে ভিডাব্লিউ ডি প্রকল্পে অনিয়মসহ স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। Logo যবিপ্রবি ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা: নিষিদ্ধ সংগঠনের দুই কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ Logo তেকানী ইউনিয়নের সচিব হালিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ Logo কচুয়ার শিক্ষা ও পরিবেশ উন্নয়নে ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমানের অনন্য উদ্যোগ Logo কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অক্টোবর থেকে: বেবিচক চেয়ারম্যান” Logo মাদকসহ সাতক্ষীরা শহরের চিহ্নিত চোরাকারবারি আটক Logo দুর্নীতি ও অপচয়ের কারণে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করতে পারছি না: জ্বালানি উপদেষ্টা

হাবিপ্রবিতে নষ্ট হচ্ছে আবাসিক হলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী 

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৩:৪৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৮১৬ বার পড়া হয়েছে
আবজাল হোসেন তোফায়েল
হাবিপ্রবি প্রতিনিধি :
করোনাকালে হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রশাসন ২০২২ সালের ২৩ জানুয়ারি সকল হলের হল সুপারগণের হাতে চিকিৎসা সামগ্রী তুলে দেন।
চিকিৎসা সামগ্রীর মধ্যে ছিল ওজন মাপার যন্ত্র- ওয়েট মেশিন, প্রেসার মাপার যন্ত্র  স্ফিগমোম্যানোমিটার , শ্বাসনালি ও ফুসফুসে অক্সিজেন ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার যন্ত্র  নেবুলাইজার, থার্মোমিটার, ব্যান্ডেজ , হৃৎস্পন্দন ও শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা মাপার যন্ত্র অক্সিমিটার)।
তবে হল অফিসে যোগাযোগ করে জানা যায় ২টির বেশি সামগ্রী পায়নি তারা। একইসাথে হল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সঠিক ব্যবহার না জানায় ব্যবহৃত হয়না সেসব যন্ত্রপাতি। কোনো কোনো হলে সেগুলো আবার নষ্ট হয়ে পরে রয়েছে।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হলের হল সুপার প্রফেসর ড. আবু খায়ের মোহা. মুক্তাদিরুল বারী চৌধুরী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি অবগত নই। সরেজমিনে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো’।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্র ও হল অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, ‘যন্ত্রগুলোর ব্যবহার তারা জানেন না। তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়নি। ফলে ব্যবহার করাও সম্ভব হয়না। দীর্ঘদিন পড়ে থেকে প্রায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেগুলো। অহেতুক দেওয়ার কোনো মানে ছিল’।
আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘অসুস্থ হলে আমরা প্রাথমিকভাবে মেডিকেল সেন্টারে যাই। আমরা তো জানতামই না যে এগুলো হল অফিসে রয়েছে। হল অফিসে এসব স্বাস্থ্য সুরক্ষার সামগ্রী সম্পর্কে অবগত থাকলে তা ব্যবহার করতাম। তবে যেগুলো ব্যবহৃত হয় না সেগুলো মেডিকেল সেন্টারে ফেরত দেওয়া উচিত’।
তবে দুয়েকটি হলে এর বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। সেখানে শিক্ষার্থীরা জ্বর এবং প্রেশার মাপার যন্ত্রগুলো ব্যবহার করেন। এ বিষয়ে কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রেজিনা ইসলাম বলেন, ‘আমাদের হলের কিছু ছাত্রী এগুলোর ব্যবহার জানে। তারাই সেগুলো নিয়ে ব্যবহার করছে।’
অব্যবহৃত যন্ত্রাংশের বিষয়ে হল সুপার কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোঃ আবু সাঈদ মন্ডল বলেন, ‘এ বিষয় আমার জানা ছিলনা। তবে যেসব হলে এসব যন্ত্রাংশ ব্যবহৃত হয় না, সেখানে সেগুলো ফেলে না রেখে মেডিকেল সেন্টারে দেওয়াই সমীচীন’।
এদিকে চীনে আতঙ্ক ছড়ানো হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত রোগী দেশে শনাক্তের পর এ নিয়ে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একইসঙ্গে ভাইরাসটির সংক্রমণ প্রতিরোধে ৭ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন হাবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসকবৃন্দ।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকীতে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

হাবিপ্রবিতে নষ্ট হচ্ছে আবাসিক হলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী 

আপডেট সময় : ০৩:৫৩:৪৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫
আবজাল হোসেন তোফায়েল
হাবিপ্রবি প্রতিনিধি :
করোনাকালে হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রশাসন ২০২২ সালের ২৩ জানুয়ারি সকল হলের হল সুপারগণের হাতে চিকিৎসা সামগ্রী তুলে দেন।
চিকিৎসা সামগ্রীর মধ্যে ছিল ওজন মাপার যন্ত্র- ওয়েট মেশিন, প্রেসার মাপার যন্ত্র  স্ফিগমোম্যানোমিটার , শ্বাসনালি ও ফুসফুসে অক্সিজেন ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার যন্ত্র  নেবুলাইজার, থার্মোমিটার, ব্যান্ডেজ , হৃৎস্পন্দন ও শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা মাপার যন্ত্র অক্সিমিটার)।
তবে হল অফিসে যোগাযোগ করে জানা যায় ২টির বেশি সামগ্রী পায়নি তারা। একইসাথে হল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সঠিক ব্যবহার না জানায় ব্যবহৃত হয়না সেসব যন্ত্রপাতি। কোনো কোনো হলে সেগুলো আবার নষ্ট হয়ে পরে রয়েছে।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হলের হল সুপার প্রফেসর ড. আবু খায়ের মোহা. মুক্তাদিরুল বারী চৌধুরী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি অবগত নই। সরেজমিনে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো’।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্র ও হল অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, ‘যন্ত্রগুলোর ব্যবহার তারা জানেন না। তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়নি। ফলে ব্যবহার করাও সম্ভব হয়না। দীর্ঘদিন পড়ে থেকে প্রায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেগুলো। অহেতুক দেওয়ার কোনো মানে ছিল’।
আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘অসুস্থ হলে আমরা প্রাথমিকভাবে মেডিকেল সেন্টারে যাই। আমরা তো জানতামই না যে এগুলো হল অফিসে রয়েছে। হল অফিসে এসব স্বাস্থ্য সুরক্ষার সামগ্রী সম্পর্কে অবগত থাকলে তা ব্যবহার করতাম। তবে যেগুলো ব্যবহৃত হয় না সেগুলো মেডিকেল সেন্টারে ফেরত দেওয়া উচিত’।
তবে দুয়েকটি হলে এর বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। সেখানে শিক্ষার্থীরা জ্বর এবং প্রেশার মাপার যন্ত্রগুলো ব্যবহার করেন। এ বিষয়ে কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রেজিনা ইসলাম বলেন, ‘আমাদের হলের কিছু ছাত্রী এগুলোর ব্যবহার জানে। তারাই সেগুলো নিয়ে ব্যবহার করছে।’
অব্যবহৃত যন্ত্রাংশের বিষয়ে হল সুপার কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোঃ আবু সাঈদ মন্ডল বলেন, ‘এ বিষয় আমার জানা ছিলনা। তবে যেসব হলে এসব যন্ত্রাংশ ব্যবহৃত হয় না, সেখানে সেগুলো ফেলে না রেখে মেডিকেল সেন্টারে দেওয়াই সমীচীন’।
এদিকে চীনে আতঙ্ক ছড়ানো হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত রোগী দেশে শনাক্তের পর এ নিয়ে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একইসঙ্গে ভাইরাসটির সংক্রমণ প্রতিরোধে ৭ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন হাবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসকবৃন্দ।