মানিকগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধের কারণে মেহরাব খান নামের এক সমন্বয়ককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠেছে ওমর ফারুক ওরফে দাড়ি ওমমের গ্রুপের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধায় মানিকগঞ্জ পৌরসভার বেউথা এলাকার মারকাজ মসজিদের অদূরে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত মেহরাব খান মানিকগঞ্জ পৌরসভার উত্তর সেওতা এলাকার মতিউর রহমান ছেলে। তিনি শহরের খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন খান কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র।
সমন্বয়ক মো.রাজু মোল্লা ওরফে আশরাফুল ইসলাম রাজু বলেন, শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সহ-সমন্বয়ক ইসমাইল হোসেন রুদ্র মানিকগঞ্জে আসেন এবং শহরের বেউথা এলাকার ক্যাসেল রেস্টুরেন্টে মানিকগঞ্জ জেলার সকল সমন্বয়কদের নিয়ে আলোচনা বা মিউচুয়ালের কথা ছিল। কিন্তু আমাদের পৌছাতে দেরি হওয়ায় সেখানে গিয়ে দেখি ইসমাইল হোসেন রুদ্র ভাইয়ের সাথে ভূয়া সমন্বয়ক ওমর ফারুক ওরফে দাড়ি ওমর তার লোকজন নিয়ে বসে আছেন। তখন ভূয়া সমন্বয়ক আর ছাত্রলীগের লোকজন দেখে, আমিসহ মেহরাব খান, রমজান মাহমুদ ও ওমর ফারুকসহ আমরা আলাদা করে আমাদেরকে (সমন্বয়ক) নিয়ে আলাদা বসার কথা বলে চলে আসি।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু বেশ কয়েকঘন্টার অপেক্ষার পর ইসমাইল হোসেন রুদ্র ভাই আমাদের কাছে না আসায় পুনরায় আমরা আবার সেখানে চলে যাই। ইসমাইল হোসেন রুদ্র ভাইয়ের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমরা রাগারাগি করে চলে আসি।
এরপর স্থানীয় মারকাজ মসজিদে মাগরিবের নামাজ শেষে ফেরার একটু পর ওমর ফারুক ওরফে দাড়ি ওমর ফারুকের নেতৃত্বে শিশির-সোহাগসহ কয়েকজন মেহরাব খানের উপর হামলা চলায়। পরে আমরা ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আমাদের কয়েকজন সমন্বয়কে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে দাড়ি ওমর, শিশির ও সোহাগরা চলে যায়। পরে দ্রুত মেহরাব খানকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এবিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.সালাউদ্দিন জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়কদের মধ্যে একটু মতবিরোধের ঘটনা ঘটেছিল। আমাদের সদর থানার ওসি সেখানে গিয়ে পরিস্থিত স্বভাবিক করেছেন। তবে এক সমন্বয়ক যে আহত হয়েছে, সেটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত সমন্বয়ক ওমর ফারুক ওরফে দাড়ি ওমরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয় নি।