শিরোনাম :
Logo প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ Logo ঢাকায় হামলার প্রতিবাদে চাঁবিপ্রবিতে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে বিক্ষোভ Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ গঠনে ১১ সদস্যের কমিটি Logo দিনাজপুরের বীরগঞ্জ শহীদ মিনার চত্বরে ২৭ই আগস্ট বুধবার দুপুর ১২ টায় পশ্চিম ভোগডোমায় খেলার মাঠ রক্ষায় মানববন্ধন করেন স্থানীয় জনগণ Logo উল্লাপাড়ায় বিএনপি নেতার ওপর প্রতিপক্ষের হামলার অভিযোগ Logo ঢাকায় প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে যোগ দিতে বাসের ব্যবস্থা করল যবিপ্রবি প্রশাসন Logo আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোষরদের শান্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা Logo সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৪ দিন পর রাজমিস্ত্রির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার Logo সাজিদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা ও মাসিক সাধারণ সভা

ক্ষোভ থেকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন ইরফান: র‍্যাব

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০১:২৬:৩২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৪৫ বার পড়া হয়েছে

চাঁদপুরের হাইমচরের মাঝিরচরে মেঘনা নদীতে সার বহনকারী এমভি আল বাখেরা জাহাজে সাত জন খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। তাকে বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১১ এর সদস্যরা।

র‍্যাব-১১ জানিয়েছে, এ বিষয়ে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ১২টার দিকে বিস্তারিত ব্রিফ করা হবে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে হাইমচর থানায় মামলা ‘অজ্ঞাত ডাকাত দলকে’ আসামি করে মামলা করেন জাহাজের মালিক মাহাবুব মোর্শেদ।

ওই মামলার এজাহারে জাহাজ মালিক নবম ব্যক্তি হিসেবে ঠিকানাবিহীন জনৈক ইরফান নামের ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেন। এজাহারে জাহাজ মালিক উল্লেখ করেন, আহত জুয়েল তার সঙ্গে থাকা ৯ জনের মধ্যে ইরফান ছিল বলে হাতে লিখে জানান। সে সুস্থ হলে ডাকাতদের দেখলে চিনবে বলে ইশারায় জানিয়েছেন।

মামলার বাদি এজাহারে জাহাজে থাকা সাত জন খুন ও এক আহতের কথা উল্লেখ করেন। খুন হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, গ্রিজার সজিবুল ইসলাম, লস্কর মাজেদুল ইসলাম, শেখ সবুজ, আমিনুর মুন্সী, ইঞ্জিন চালক সালাউদ্দিন ও বাবুর্চি রানা কাজী। এ ছাড়া আহত ব্যক্তি হলেন- সুকানি জুয়েল (২৮)। তিনি ফরিদপুর সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের সেকান্দর প্রকাশ সেকেন্ড খালাসীর ছেলে।

ঘটনার পর পুলিশ ওই জাহাজ পরিদর্শনকালে একটি রক্তাক্ত চাইনিজ কুড়াল, একটি ফোল্ডিং চাকু, দুটি স্মার্টফোন, দুটি বাটন ফোন, একটি মানিব্যাগ, নগদ ৮ হাজার টাকা, একটি বাংলা খাতা, একটি সিল, একটি হেডফোন, এক মুঠো ভাত ও এক টেবিল চা চামচ তরকারি জব্দ করে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

নৌ পুলিশ জানিয়েছে, আহত জুয়েল বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

হাইমচর থানার ওসি মহিউদ্দিন সুমন বলেন, রাতে ৩৯৬/৩৯৭ ধারায় মামলাটি করেন জাহাজের মালিক মাহাবুব মোর্শেদ। মামলা নম্বর (১৭/১৬৬)

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া দাফন সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসন ২০ হাজার এবং নৌ পুলিশ ১০ হাজার টাকার সহায়তা দেয়। নিহতদের মধ্যে দুজনের বাড়ি ফরিদপুর, দুজনের নড়াইল, দুজনের মাগুরা এবং একজনের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের কাফকো সার কারখানার জেটি থেকে ইউরিয়া সার নিয়ে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করে। জাহাজে ৯ জন স্টাফ ছিলেন। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে হাইমচর উপজেলার ঈশানবালা খালের মুখে জাহাজটি দেখতে পান এমভি মুগনির মাষ্টার বাচ্চু মিয়া। সেখানে তিনি জাহাজের সাতজনকে মৃত অবস্থায় এবং একজনকে অর্ধমৃত অবস্থায় পান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

ক্ষোভ থেকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন ইরফান: র‍্যাব

আপডেট সময় : ০১:২৬:৩২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

চাঁদপুরের হাইমচরের মাঝিরচরে মেঘনা নদীতে সার বহনকারী এমভি আল বাখেরা জাহাজে সাত জন খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। তাকে বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১১ এর সদস্যরা।

র‍্যাব-১১ জানিয়েছে, এ বিষয়ে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ১২টার দিকে বিস্তারিত ব্রিফ করা হবে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে হাইমচর থানায় মামলা ‘অজ্ঞাত ডাকাত দলকে’ আসামি করে মামলা করেন জাহাজের মালিক মাহাবুব মোর্শেদ।

ওই মামলার এজাহারে জাহাজ মালিক নবম ব্যক্তি হিসেবে ঠিকানাবিহীন জনৈক ইরফান নামের ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেন। এজাহারে জাহাজ মালিক উল্লেখ করেন, আহত জুয়েল তার সঙ্গে থাকা ৯ জনের মধ্যে ইরফান ছিল বলে হাতে লিখে জানান। সে সুস্থ হলে ডাকাতদের দেখলে চিনবে বলে ইশারায় জানিয়েছেন।

মামলার বাদি এজাহারে জাহাজে থাকা সাত জন খুন ও এক আহতের কথা উল্লেখ করেন। খুন হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, গ্রিজার সজিবুল ইসলাম, লস্কর মাজেদুল ইসলাম, শেখ সবুজ, আমিনুর মুন্সী, ইঞ্জিন চালক সালাউদ্দিন ও বাবুর্চি রানা কাজী। এ ছাড়া আহত ব্যক্তি হলেন- সুকানি জুয়েল (২৮)। তিনি ফরিদপুর সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের সেকান্দর প্রকাশ সেকেন্ড খালাসীর ছেলে।

ঘটনার পর পুলিশ ওই জাহাজ পরিদর্শনকালে একটি রক্তাক্ত চাইনিজ কুড়াল, একটি ফোল্ডিং চাকু, দুটি স্মার্টফোন, দুটি বাটন ফোন, একটি মানিব্যাগ, নগদ ৮ হাজার টাকা, একটি বাংলা খাতা, একটি সিল, একটি হেডফোন, এক মুঠো ভাত ও এক টেবিল চা চামচ তরকারি জব্দ করে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

নৌ পুলিশ জানিয়েছে, আহত জুয়েল বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

হাইমচর থানার ওসি মহিউদ্দিন সুমন বলেন, রাতে ৩৯৬/৩৯৭ ধারায় মামলাটি করেন জাহাজের মালিক মাহাবুব মোর্শেদ। মামলা নম্বর (১৭/১৬৬)

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া দাফন সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসন ২০ হাজার এবং নৌ পুলিশ ১০ হাজার টাকার সহায়তা দেয়। নিহতদের মধ্যে দুজনের বাড়ি ফরিদপুর, দুজনের নড়াইল, দুজনের মাগুরা এবং একজনের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের কাফকো সার কারখানার জেটি থেকে ইউরিয়া সার নিয়ে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করে। জাহাজে ৯ জন স্টাফ ছিলেন। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে হাইমচর উপজেলার ঈশানবালা খালের মুখে জাহাজটি দেখতে পান এমভি মুগনির মাষ্টার বাচ্চু মিয়া। সেখানে তিনি জাহাজের সাতজনকে মৃত অবস্থায় এবং একজনকে অর্ধমৃত অবস্থায় পান।