১ম বারের মতো চিরিরবন্দর উপজেলা সমিতির “সূচনা বৃত্তি” প্রদান

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:৪৪:১৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭২৩ বার পড়া হয়েছে

জুবাইর হোসেন (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়)

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলা সমিতি তিন শিক্ষার্থীকে প্রথম বারের মতো সূচনা বৃত্তি প্রদান করে।

২৪ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের(রাবি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনে উপজেলা সমিতির পক্ষ থেকে রাবি উপাচার্য প্রফেসর ড সালেহ হাসান নকীব এ বৃত্তি প্রদান করেন।

এরারে এ বৃত্তি পেয়েছে, আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আদিবা ইবনাত বর্ষা, ফলিত গনিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মজিদুল ইসলাম এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী জুবাইর হোসেন। বৃত্তি প্রাপ্ত সকলেই ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এ বৃত্তির মূল উদ্দেশ্য এখানে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের থাকা সহ বিভিন্ন সমস্যায় পাশে দাড়ানো।

সূচনা বৃত্তির প্রধান উদ্যোক্তা ও চিরিরবন্দর উপজেলা সমিতির সাবেক সভাপতি আল-আমিন আহমেদ বলেন, চিরিরবন্দর উপজেলা থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় চান্সপ্রাপ্ত সবাইকে পুরস্কৃত করার লক্ষ্যে চিরিরবন্দর উপেজলা সমিতি “সূচনা বৃত্তি” প্রদান করবে। উচ্চ শিক্ষার সূচনায় এই বৃত্তি, তাই নাম দেওয়া হয়েছে সূচনা বৃত্তি। এক্ষেত্রে আমরা যদি একটু চিন্তা করি যে এদের মধ্যে অনেকেই দরিদ্র বা স্বনির্ভর। তাদের অনেক কষ্ট করে পড়াশুনা চালিয়ে চান্স পেতে হয়। এরপর প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে শুরু হয় একটানা পড়তে থাকা ও টিকে থাকার লড়াই। এই বৃত্তি চালু হলে তাদের লড়াইয়ের সূচনাটা সহজ হবে এবং এলাকার স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় আগ্রহ বাড়বে। অনলাইনে আবেদন করা, কিছু শর্ত ও এই বৃত্তির জন্য সংগ্রহ করা ফান্ডের পরিমানের ভিত্তিতে আমাদের এই পুরস্কার প্রদান করা হবে।

এ সময় উপজেলা সমিতির বর্তমান সভাপতি হৃষি রায় বলেন, চিরিরবন্দর উপজেলা সমিতির পক্ষ থেকে দিনাজপুর জেলার নবীন শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা এবং দরিদ্র্যতা ও সার্বিক অসুবিধা বিবেচনা সাপেক্ষে আমাদের এই ‘সূচনা বৃত্তি’ সাময়িক উপকারের প্রচেষ্টা।ক্যাম্পাসের শুরুর দিকে আবাসিকতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিকূলতার কথা মাথায় রেখে এককালীন বৃত্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। আশা করি আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা তাদের শিক্ষা জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ।

বৃত্তি পেয়ে ফলিত বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মসজিদুল ইসলাম বলেন,আসলে এরকম বৃত্তি পেয়ে আমি আনেক আনন্দিত। এটা আমাদের পড়ালেখায় একটু হলেও সাহায্য করবে৷ অনেক ধন্যবাদ চিরিরবন্দর উপজেলা সমিতিকে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম,চিরিরবন্দর উপজেলা সমিতির সাবেক ও বর্তমান কমিটির সদস্যরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

১ম বারের মতো চিরিরবন্দর উপজেলা সমিতির “সূচনা বৃত্তি” প্রদান

আপডেট সময় : ১২:৪৪:১৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

জুবাইর হোসেন (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়)

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলা সমিতি তিন শিক্ষার্থীকে প্রথম বারের মতো সূচনা বৃত্তি প্রদান করে।

২৪ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের(রাবি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনে উপজেলা সমিতির পক্ষ থেকে রাবি উপাচার্য প্রফেসর ড সালেহ হাসান নকীব এ বৃত্তি প্রদান করেন।

এরারে এ বৃত্তি পেয়েছে, আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আদিবা ইবনাত বর্ষা, ফলিত গনিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মজিদুল ইসলাম এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী জুবাইর হোসেন। বৃত্তি প্রাপ্ত সকলেই ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এ বৃত্তির মূল উদ্দেশ্য এখানে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের থাকা সহ বিভিন্ন সমস্যায় পাশে দাড়ানো।

সূচনা বৃত্তির প্রধান উদ্যোক্তা ও চিরিরবন্দর উপজেলা সমিতির সাবেক সভাপতি আল-আমিন আহমেদ বলেন, চিরিরবন্দর উপজেলা থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় চান্সপ্রাপ্ত সবাইকে পুরস্কৃত করার লক্ষ্যে চিরিরবন্দর উপেজলা সমিতি “সূচনা বৃত্তি” প্রদান করবে। উচ্চ শিক্ষার সূচনায় এই বৃত্তি, তাই নাম দেওয়া হয়েছে সূচনা বৃত্তি। এক্ষেত্রে আমরা যদি একটু চিন্তা করি যে এদের মধ্যে অনেকেই দরিদ্র বা স্বনির্ভর। তাদের অনেক কষ্ট করে পড়াশুনা চালিয়ে চান্স পেতে হয়। এরপর প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে শুরু হয় একটানা পড়তে থাকা ও টিকে থাকার লড়াই। এই বৃত্তি চালু হলে তাদের লড়াইয়ের সূচনাটা সহজ হবে এবং এলাকার স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় আগ্রহ বাড়বে। অনলাইনে আবেদন করা, কিছু শর্ত ও এই বৃত্তির জন্য সংগ্রহ করা ফান্ডের পরিমানের ভিত্তিতে আমাদের এই পুরস্কার প্রদান করা হবে।

এ সময় উপজেলা সমিতির বর্তমান সভাপতি হৃষি রায় বলেন, চিরিরবন্দর উপজেলা সমিতির পক্ষ থেকে দিনাজপুর জেলার নবীন শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা এবং দরিদ্র্যতা ও সার্বিক অসুবিধা বিবেচনা সাপেক্ষে আমাদের এই ‘সূচনা বৃত্তি’ সাময়িক উপকারের প্রচেষ্টা।ক্যাম্পাসের শুরুর দিকে আবাসিকতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিকূলতার কথা মাথায় রেখে এককালীন বৃত্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। আশা করি আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা তাদের শিক্ষা জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ।

বৃত্তি পেয়ে ফলিত বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মসজিদুল ইসলাম বলেন,আসলে এরকম বৃত্তি পেয়ে আমি আনেক আনন্দিত। এটা আমাদের পড়ালেখায় একটু হলেও সাহায্য করবে৷ অনেক ধন্যবাদ চিরিরবন্দর উপজেলা সমিতিকে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম,চিরিরবন্দর উপজেলা সমিতির সাবেক ও বর্তমান কমিটির সদস্যরা।