শিরোনাম :
Logo প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ Logo ঢাকায় হামলার প্রতিবাদে চাঁবিপ্রবিতে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে বিক্ষোভ Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ গঠনে ১১ সদস্যের কমিটি Logo দিনাজপুরের বীরগঞ্জ শহীদ মিনার চত্বরে ২৭ই আগস্ট বুধবার দুপুর ১২ টায় পশ্চিম ভোগডোমায় খেলার মাঠ রক্ষায় মানববন্ধন করেন স্থানীয় জনগণ Logo উল্লাপাড়ায় বিএনপি নেতার ওপর প্রতিপক্ষের হামলার অভিযোগ Logo ঢাকায় প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনে যোগ দিতে বাসের ব্যবস্থা করল যবিপ্রবি প্রশাসন Logo আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোষরদের শান্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা Logo সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৪ দিন পর রাজমিস্ত্রির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার Logo সাজিদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা ও মাসিক সাধারণ সভা

পঞ্চগড়ে বিএনপির বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৩৬ বার পড়া হয়েছে

পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ থেকে পালিয়েছে, সেই হাসিনা বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে। আমাদের সবাইকে রুখে দাড়াতে হবে।

রবিবার ২২/১২/২০২৪ পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া হাইস্কুল এন্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত বিশাল জনসভায় তিন এ কথা বলেন। দীর্ঘদিন পরে পঞ্চগড়ের মাটিতে অনুষ্ঠিত এ জনসভাকে ঘিরে সকাল থেকে জেলা সহ এর আশপাশের এলাকা থেকে যোগ দেওয়া নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষের উপস্থিতিতে ধীরে ধীরে জনসভাস্থল পরিনত হয় বিশাল জনসমুদ্রে।

২০১৮ সালের পর দীর্ঘ ৬ বছর পর পঞ্চগড়ের মাটিতে অনুষ্ঠিত হলো বিএনপির এতবড় জনসমাবেশ।

জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কেন্দ্রীয় কমিটির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ এর সভাপতিত্বে আয়োজিত জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইসরাক হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল্লাহ হাবিব দুলু, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম কাচ্চু, পঞ্চগড় পৌর বিএনপির আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসরাক হোসেন বলেন, খুনি হাসিনাকে ভারত সরকারকে ফেরত দিতে হবে। যাতে আমরা তার বিচার নিশ্চিত করতে পারি। যদি আমরা এর বিচার করতে না পারি, যদি ফ্যাসিবাদের পূণর্জন্ম ঘটে তবে তারা দেশকে আবার মৃত্যুপুরীতে পরিনত করবে। কোনভাবেই এই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পূনর্জন্ম এই বাংলাদেশের মাটিতে হতে দেওয়া হবেনা। এ দেশটা কারো বাবার সম্পত্তি না। আমরা ১৮ কোটি জনগন ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমাদের কেউ ভাঙতে পারবেনা। ভারতকে বলবো, বাংলাদেশের প্রতি কুদৃষ্টি দেবেন না। আমরা সংগঠিত রয়েছি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা রক্ষায় ১৮ কোটি জনগণ প্রস্তুত রযেছে সর্বদা। এসময় আগামী দিনের বাংলাদেশ বিনির্মানে দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমাদের প্রত্যেককে একজন সচেতন এবং দক্ষ রাজনৈতিকের পরিচয় দিয়ে নিজেদের কর্মকান্ডকে পরিচালিত করার আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল্লাহ হাবিব দুলু বলেন, আমাদের উপহাস করা হয়েছিলো, ওবায়দুল কাদের কোথায় পালিয়েছেন আমরা তা জানিনা। তিনি বলেছিলেন তিনি পালাবেন না, তিনি ফখরুল ইসলামের ঠাকুরগাঁওয়ের বাসায় জায়গা চেয়েছিলেন৷ আমি মনে করি, আমাদের সব দরজা জানালা খোলা রয়েছে। কিন্তু তাদের আসার সেই ক্ষমতা নেই। এসময় তিনি প্রশাসনের কাছে এরকম একজন দুধর্ষ গনতন্ত্র হত্যাকারী, লুটপাটকারী দলের সাধারন সম্পাদক কি করে পালিয়ে যায় তা জানতে চান। এদের পালানোর অভ্যাস আছে। স্বাধীনতার উষালগ্নে, বাংলার মানুষ যখন স্বাধীনতার জন্য উন্মুখ তখন তাদের নেতা আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিল। তিনি আরো বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন। এসময় তিনি সরকারকে বিলম্ব না করে অতিসত্বর নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষনার দাবী জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যারা লুট করে, চুরি করে, যারা আমাদের সম্পদ কেড়ে নিয়ে যায় তারা আমাদের নেতা হতে পারেনা। হাসিনা পালিয়ে গিয়ে ওপারে বসে ষড়যন্ত্র করছে, চক্রান্ত করছে, মিথ্যা প্রচারনা চালানোর চেষ্টা করছে। আমরা যারা হিন্দু মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান একসাথে বসবাস করি, আমাদের বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাড়াতে হবে। আমরা দীর্ঘ ১৫ টি বছর একটি সৈরশাসক ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, বারবার জেলে গেছি। যে নেত্রী বলতেন তিনি ভয় পাননা, তিনি মুজিবের বেটি, তিনি পালাননা, সেই মহিলা জীবন নিয়ে পালাতে দিশা পাননি। এসময় তিনি গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের কথা স্মরণ করে বলেন, শহীদরা তাদের বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে আমাদের দেশটাকে আবার গণতান্ত্রিকভাবে গড়ে তোলার, সকল মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়ে গেছে। তিনি এসময় ৭১ সালের কথা না ভুলতেও সবার প্রতি আহ্বান জানান।

জনসভা থেকে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে যুক্তিযুক্ত সময়ের মধ্যে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবী জানান বক্তারা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

পঞ্চগড়ে বিএনপির বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ থেকে পালিয়েছে, সেই হাসিনা বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে। আমাদের সবাইকে রুখে দাড়াতে হবে।

রবিবার ২২/১২/২০২৪ পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া হাইস্কুল এন্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত বিশাল জনসভায় তিন এ কথা বলেন। দীর্ঘদিন পরে পঞ্চগড়ের মাটিতে অনুষ্ঠিত এ জনসভাকে ঘিরে সকাল থেকে জেলা সহ এর আশপাশের এলাকা থেকে যোগ দেওয়া নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষের উপস্থিতিতে ধীরে ধীরে জনসভাস্থল পরিনত হয় বিশাল জনসমুদ্রে।

২০১৮ সালের পর দীর্ঘ ৬ বছর পর পঞ্চগড়ের মাটিতে অনুষ্ঠিত হলো বিএনপির এতবড় জনসমাবেশ।

জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কেন্দ্রীয় কমিটির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ এর সভাপতিত্বে আয়োজিত জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইসরাক হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল্লাহ হাবিব দুলু, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম কাচ্চু, পঞ্চগড় পৌর বিএনপির আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসরাক হোসেন বলেন, খুনি হাসিনাকে ভারত সরকারকে ফেরত দিতে হবে। যাতে আমরা তার বিচার নিশ্চিত করতে পারি। যদি আমরা এর বিচার করতে না পারি, যদি ফ্যাসিবাদের পূণর্জন্ম ঘটে তবে তারা দেশকে আবার মৃত্যুপুরীতে পরিনত করবে। কোনভাবেই এই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পূনর্জন্ম এই বাংলাদেশের মাটিতে হতে দেওয়া হবেনা। এ দেশটা কারো বাবার সম্পত্তি না। আমরা ১৮ কোটি জনগন ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমাদের কেউ ভাঙতে পারবেনা। ভারতকে বলবো, বাংলাদেশের প্রতি কুদৃষ্টি দেবেন না। আমরা সংগঠিত রয়েছি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা রক্ষায় ১৮ কোটি জনগণ প্রস্তুত রযেছে সর্বদা। এসময় আগামী দিনের বাংলাদেশ বিনির্মানে দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমাদের প্রত্যেককে একজন সচেতন এবং দক্ষ রাজনৈতিকের পরিচয় দিয়ে নিজেদের কর্মকান্ডকে পরিচালিত করার আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল্লাহ হাবিব দুলু বলেন, আমাদের উপহাস করা হয়েছিলো, ওবায়দুল কাদের কোথায় পালিয়েছেন আমরা তা জানিনা। তিনি বলেছিলেন তিনি পালাবেন না, তিনি ফখরুল ইসলামের ঠাকুরগাঁওয়ের বাসায় জায়গা চেয়েছিলেন৷ আমি মনে করি, আমাদের সব দরজা জানালা খোলা রয়েছে। কিন্তু তাদের আসার সেই ক্ষমতা নেই। এসময় তিনি প্রশাসনের কাছে এরকম একজন দুধর্ষ গনতন্ত্র হত্যাকারী, লুটপাটকারী দলের সাধারন সম্পাদক কি করে পালিয়ে যায় তা জানতে চান। এদের পালানোর অভ্যাস আছে। স্বাধীনতার উষালগ্নে, বাংলার মানুষ যখন স্বাধীনতার জন্য উন্মুখ তখন তাদের নেতা আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিল। তিনি আরো বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন। এসময় তিনি সরকারকে বিলম্ব না করে অতিসত্বর নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষনার দাবী জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যারা লুট করে, চুরি করে, যারা আমাদের সম্পদ কেড়ে নিয়ে যায় তারা আমাদের নেতা হতে পারেনা। হাসিনা পালিয়ে গিয়ে ওপারে বসে ষড়যন্ত্র করছে, চক্রান্ত করছে, মিথ্যা প্রচারনা চালানোর চেষ্টা করছে। আমরা যারা হিন্দু মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান একসাথে বসবাস করি, আমাদের বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাড়াতে হবে। আমরা দীর্ঘ ১৫ টি বছর একটি সৈরশাসক ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, বারবার জেলে গেছি। যে নেত্রী বলতেন তিনি ভয় পাননা, তিনি মুজিবের বেটি, তিনি পালাননা, সেই মহিলা জীবন নিয়ে পালাতে দিশা পাননি। এসময় তিনি গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের কথা স্মরণ করে বলেন, শহীদরা তাদের বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে আমাদের দেশটাকে আবার গণতান্ত্রিকভাবে গড়ে তোলার, সকল মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়ে গেছে। তিনি এসময় ৭১ সালের কথা না ভুলতেও সবার প্রতি আহ্বান জানান।

জনসভা থেকে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে যুক্তিযুক্ত সময়ের মধ্যে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবী জানান বক্তারা।