ভারত থেকে ১৮০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ল্যান্ডপোর্টের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, আমাদের চারদেশীয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ। বন্দরটি দিয়ে পাথর আমদানির পাশাপাশি এখন পেঁয়াজ ও আতপ চাল আমদানি করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর ভারত থেকে বন্দরটিতে ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে মেসার্স বিসমিল্লাহ বাণিজ্যালয় নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। এর আগে এ প্রতিষ্ঠানটি ৭ ডিসেম্বর ৩০ টন, ৩ ডিসেম্বর ৩০ টন, ২৭ নভেম্বর ৩০ টন, ২০ নভেম্বর ৩০ টন ও ১৮ নভেম্বর ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বর্তমানে বন্দরটি দিয়ে আমদানি পণ্যগুলোর মধ্যে প্রায় ৯৮ শতাংশই পাথর। এ ছাড়া মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক দানা, রেললাইনের স্লিপার, খৈল, আদা ও চিটাগুড় আমদানি করা হয়। এসব পণ্যের পাশাপাশি বর্তমানে পেঁয়াজ ও আতপ চাল আমদানিতে প্রসার বাড়তে শুরু করেছে ব্যবসা-বাণিজ্যে।
অপরদিকে বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, জুস ও ব্যাটারিসহ নানা ধরনের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপোড়নের মধ্যেও ভারত থেকে চাল ও পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। স্বাভাবিক রয়েছে স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। বিষয়টি ইতিবাচক দেখছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
বন্দরের কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, বন্দরটিতে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল থাকায় আয় হচ্ছে রাজস্ব। গেল অর্থবছরে (২০২৩-২৪) বন্দরটি দিয়ে ৭৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। আর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আয় হয়েছে ২০ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের আহ্বায়ক রেজাউল করিম শাহিন বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ। বন্দরটি দিয়ে পাথরের পাশাপাশি চাল ও পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। এ পোর্ট দিয়ে যাতে আরও কিছু আমদানি করা যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলছি ও উদ্বুদ্ধ করছি।