শুক্রবার | ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার Logo খুবিতে ইউনেস্কো ও ইউজিসির উদ্যোগে পিয়ার-টু-পিয়ার ওরিয়েন্টেশন Logo সাতক্ষীরা–কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা Logo প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা

পালাতে গিয়ে আসামির মৃত্যু, অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৯:৪০:৪৬ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৫৭ বার পড়া হয়েছে

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মোটরসাইকেল থেকে লাফিয়ে পুলিশের হাত থেকে পালাতে গিয়ে রফিকুল ইসলাম দুদু (৪৫) নামে এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের চণ্ডিপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা থানা পুলিশের তিন সদস্যকে একটি দোকানে আটকে রাখেন।

নিহত রফিকুল ইসলাম দুদু চণ্ডিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ মণ্ডলের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন জাসদের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানের ছোট ভাই।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে রফিকুল ইসলাম দুদুকে ধরতে আসে থানা পুলিশ। এ সময় পুলিশের মোটরসাইকেল থেকে পালাতে গিয়ে ব্রিজ থেকে পড়ে রফিকুল ইসলাম দুদুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশের একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। পরে এলাকাবাসী কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে আটক করে রাখেন। পরে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে।

নিহতের পরিবারের দাবি, পুলিশ দুদুকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এ সময় সে যেতে চাননি। এ জন্য পুলিশ তাকে মারধর করে মেরে ফেলেছে। এ হত্যার দায় পুলিশের।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, দুদুকে রাত ৭টা ৩৮মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। এ সময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পালাতে গিয়ে আসামির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় থানা পুলিশের তিনজন সদস্যকে স্থানীয় লোকজন আটকে রেখেছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানতে পারবো।’

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা গেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার

পালাতে গিয়ে আসামির মৃত্যু, অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৯:৪০:৪৬ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মোটরসাইকেল থেকে লাফিয়ে পুলিশের হাত থেকে পালাতে গিয়ে রফিকুল ইসলাম দুদু (৪৫) নামে এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের চণ্ডিপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা থানা পুলিশের তিন সদস্যকে একটি দোকানে আটকে রাখেন।

নিহত রফিকুল ইসলাম দুদু চণ্ডিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ মণ্ডলের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন জাসদের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানের ছোট ভাই।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে রফিকুল ইসলাম দুদুকে ধরতে আসে থানা পুলিশ। এ সময় পুলিশের মোটরসাইকেল থেকে পালাতে গিয়ে ব্রিজ থেকে পড়ে রফিকুল ইসলাম দুদুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশের একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। পরে এলাকাবাসী কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে আটক করে রাখেন। পরে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে।

নিহতের পরিবারের দাবি, পুলিশ দুদুকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এ সময় সে যেতে চাননি। এ জন্য পুলিশ তাকে মারধর করে মেরে ফেলেছে। এ হত্যার দায় পুলিশের।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, দুদুকে রাত ৭টা ৩৮মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। এ সময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পালাতে গিয়ে আসামির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় থানা পুলিশের তিনজন সদস্যকে স্থানীয় লোকজন আটকে রেখেছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানতে পারবো।’

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা গেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’