শিরোনাম :
Logo তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে কচুয়ায় কৃষকদের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী Logo ভারতের সঙ্গে আকাশ ও স্থল সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা পাকিস্তানের Logo পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর স্থগিত Logo অসুস্থ শ্রমিককে হুইল চেয়ার উপহার দিলো ইয়ুথ ফোরাম ও চর্যাপদ একাডেমি Logo পাকিস্তান জঙ্গিরাষ্ট্র, পাক সেনাপ্রধান লাদেনের মতোই সন্ত্রাসবাদী, বিস্ফোরক প্রাক্তন মার্কিন সেনাকর্তা Logo ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন বিষয়ক ক্যাম্পেইন’ – ল অ্যাওয়ারনেস এন্ড এনালাইটেন্ড সোসাইটি Logo শিক্ষার্থীদের ভাবনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ Logo জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী অ্যালামনাসদের রুয়া’র নির্বাচন বর্জন Logo মুখোমুখি অবস্থানে ভারত-পাকিস্তান, ভারতীয় নৌবাহিনীর মিসাইল ধ্বংসের পরীক্ষা Logo কাশ্মীরে হামলার পর তুমুল উত্তেজনার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণা পাকিস্তানের

নোবিপ্রবিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে সভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৭:০৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭১৯ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালী, আব্দুল বাসেদঃ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে সভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর ২০২৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ.এফ.এম আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ জাহাঙ্গীর সরকার, নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ্-আল-ফারুক, নোবিপ্রবি পরিকল্পনা উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের শাখা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল কাদের প্রমুখ। নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী মোঃ জানে আলম ও জান্নাতুল ফেরদাউস ইরার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোালনের মূখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতা জীবন বাজি রেখে রাজপথে লড়াই করেছে। এর মধ্যে অনেক তাজা প্রাণ ঝরে গেছে স্বৈরাচারের গুলির আঘাতে। শত মায়ের বুক খালি হয়েছে। হাজারো মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। এত এত ত্যাগের লক্ষ্য ছিল একটাই-সুন্দর একটি বাংলাদেশ। যেখানে আমরা মুক্তভাবে প্রাণখুলে নিজেদের অব্যক্ত কথাগুলো নির্ভয়ে প্রকাশ করতে পারবো। যে কথাগুলো হবে, ন্যায় ও সত্যের পক্ষে এবং শোষণ, বঞ্চনা, বৈষম্য, ঘুষ, মাদকসহ সকল অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা যে পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি সেখানে শ্রেণিবৈষম্যের কোনো ঠাঁই নেই।

এখানে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানসহ সকল ধর্মের মানুষ সম্প্রীতিমূলক পরিবেশে বাস করবে। ন্যায়ভিত্তিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ব্যক্তি পর্যায় থেকে রাষ্ট্র পর্যন্ত প্রত্যেকের নিজস্ব দায়িত্ব পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা গুণগত উচ্চশিক্ষা ও মানসম্মত কর্মপরিবেশের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। নোবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের তত্ত্বাবধানে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রাণ হারানো নোয়াখালী অঞ্চলের শহীদদের বাবা-মা ও আহত নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে নোবিপ্রবি বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত দেয়ালিকা প্রদর্শনী, আহত পরিবারকে সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শহীদদের পরিবারবর্গ, আহত শিক্ষার্থীবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, ইনস্টিটিউট পরিচালকবৃন্দ, বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, দপ্তর প্রধানবৃন্দসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং দপ্তরসমূহের কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ অংশ নেয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে কচুয়ায় কৃষকদের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

নোবিপ্রবিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে সভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা

আপডেট সময় : ০৮:৩৭:০৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

নোয়াখালী, আব্দুল বাসেদঃ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে সভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর ২০২৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ.এফ.এম আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ জাহাঙ্গীর সরকার, নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ্-আল-ফারুক, নোবিপ্রবি পরিকল্পনা উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের শাখা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল কাদের প্রমুখ। নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী মোঃ জানে আলম ও জান্নাতুল ফেরদাউস ইরার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোালনের মূখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতা জীবন বাজি রেখে রাজপথে লড়াই করেছে। এর মধ্যে অনেক তাজা প্রাণ ঝরে গেছে স্বৈরাচারের গুলির আঘাতে। শত মায়ের বুক খালি হয়েছে। হাজারো মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। এত এত ত্যাগের লক্ষ্য ছিল একটাই-সুন্দর একটি বাংলাদেশ। যেখানে আমরা মুক্তভাবে প্রাণখুলে নিজেদের অব্যক্ত কথাগুলো নির্ভয়ে প্রকাশ করতে পারবো। যে কথাগুলো হবে, ন্যায় ও সত্যের পক্ষে এবং শোষণ, বঞ্চনা, বৈষম্য, ঘুষ, মাদকসহ সকল অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা যে পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি সেখানে শ্রেণিবৈষম্যের কোনো ঠাঁই নেই।

এখানে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানসহ সকল ধর্মের মানুষ সম্প্রীতিমূলক পরিবেশে বাস করবে। ন্যায়ভিত্তিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ব্যক্তি পর্যায় থেকে রাষ্ট্র পর্যন্ত প্রত্যেকের নিজস্ব দায়িত্ব পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা গুণগত উচ্চশিক্ষা ও মানসম্মত কর্মপরিবেশের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। নোবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের তত্ত্বাবধানে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রাণ হারানো নোয়াখালী অঞ্চলের শহীদদের বাবা-মা ও আহত নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে নোবিপ্রবি বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত দেয়ালিকা প্রদর্শনী, আহত পরিবারকে সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শহীদদের পরিবারবর্গ, আহত শিক্ষার্থীবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, ইনস্টিটিউট পরিচালকবৃন্দ, বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, দপ্তর প্রধানবৃন্দসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং দপ্তরসমূহের কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ অংশ নেয়।