দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বিএনপি নেতার ইট ভাটায় দূর্ধষ ডাকাতি, ২ লক্ষ ২৮ হাজার টাকার মালামাল লুট, থানায় ডাকাতির অভিযোগ।
৩০ অক্টোবর বুধবার সকালে বীরগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা বিশিষ্ঠ ঠিকাদার ও ইটভাটা ব্যবসায়ী, দিনাজপুর জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম (রিজু) জানায়, উপজেলার ১০নং মোহনপুর ইউনিয়নের জোতরঘু গ্রামে তার প্রতিষ্ঠিত আরএস ব্রিক্স নামে একটি ইট ভাটায় ২৭ অক্টোবর রবিবার রাতে দূর্ধষ ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। ২০/২৫ জন ডাকাতের দল রাত ১২টার দিকে ভাটায় আক্রমন চালিয়ে নাইটগার্ডসহ ৫ জন কে আহত করে হাত পা ও মুখ বেধে রেখে ইটভাটার ৩টি ট্রান্সফর্মার, ১টি আইপিএস ও বিদ্যুতের ৬ কয়েল তার সহ কিছু মালামাল ডাকাতি করিয়া লুট করে নিয়া যায়। যাহার অনুমানিক মূল্য ২ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা। উক্ত ঘটনায় থানায় ১টি ডাকাতির অভিযোগ দায়ের করি। আপর দিকে পাশর্^বতী বরেন্দ্র বহুমুখীর পরিচালিত পানির ডিপ মেসিন হতে আরো ৩টি সহ মোট ৬টি ট্রান্সফর্মার চুরি করে নিয়ে যায়।
সরজমিনে গেলে পূর্ব জোতরঘু গ্রামের মৃত পেশার উদ্দিনের পুত্র ইটভাটার নাইটগার্ড মোঃ মকলেছুর রহমান জানায়, আমি আমার ছেলে হাবিবুর রহমান রাতে ইটভাটায় থাকি। প্রতিদিনের ন্যায় ঐ রাতে আমার ছেলেকে ভাটায় রেখে আমি বাসায় খেতে যাই। রাত ১২টার দিকে ভাত খেয়ে ভাটায় আসলে দেখি ৬/৭ জন লোক আমার পিছনে এসে আমাকে ধরে ফেলে মারধর শুরু করে আহত করে রুমে নিয়ে গেলে দেখি আমার ছেলে হাবিবুর রহমান, পাশর্^বর্তী পুকুরের মাছ চাষী সাইফুল ইসলাম ও বদির উদ্দিন এবং পথযাত্রী রাজু নামক একজন সহ ৪ জনকে হাত, পা, চোখ ও মুখ বেধে মাটিতে ফেলে রাখে পরে তাদের সাথে আমার অবস্থাও সেরকম করে ফেলে রাখে। রুমে নিয়ে যাওয়ার সময় বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২০/২৫ জন কে দেখতে পাই।
পুকুরের মাছ চাষী সাইফুল ইসলাম জানায়, আমি ও বদির উদ্দিন ভাটার পাশে সরকারী পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করি। রাতে ২ জনে মাছ পাহারা দেই। ৮/১০ জন ডাকাত মারাত্বক অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া পুকুরপাড়ের রুম হতে ধরে নিয়ে আসে ইটভাটায়। সেখানে আমাদের সকলকে মারধর করে মারাত্বক আতংক ও ভিতি তৈরি করে।
ইটভাটার ম্যানাজার ওবায়দুর রহমান জানায়, ভোরে আমি ভাটায় এসে তাদের বাধা অবস্থায় দেখে খুলেদিয়ে ভাটা মালিক রিজু ভাই সহ প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্তদেরকে ও এলাকাবাসীকে মোবাইলে, সাক্ষাতে জানাই। নাইটগার্ড মকলেছুর রহমানকে এলাকার হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করি।
বরেন্দ্র বহুমুখীর প্রকৌশলী আবু সাদাত সায়েম বলেন, আমাদের ৩টি ট্রান্সফর্মার চুরি ঘটনাটি শুনে আমরা পরিদর্শন করে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি।
বীরগঞ্জ পল্লী বিদুৎ ডিজিএম ফেদ্দৌস আলম জানায়, ৬টি ট্রান্সফর্মার চুরি ঘটনায় আমরা উদ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি ও আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করছি।
বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল গফুর জানায়, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশের টহল টিম মাঠে কাজ করছে।