শিরোনাম :
Logo তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে কচুয়ায় কৃষকদের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী Logo ভারতের সঙ্গে আকাশ ও স্থল সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা পাকিস্তানের Logo পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর স্থগিত Logo অসুস্থ শ্রমিককে হুইল চেয়ার উপহার দিলো ইয়ুথ ফোরাম ও চর্যাপদ একাডেমি Logo পাকিস্তান জঙ্গিরাষ্ট্র, পাক সেনাপ্রধান লাদেনের মতোই সন্ত্রাসবাদী, বিস্ফোরক প্রাক্তন মার্কিন সেনাকর্তা Logo ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন বিষয়ক ক্যাম্পেইন’ – ল অ্যাওয়ারনেস এন্ড এনালাইটেন্ড সোসাইটি Logo শিক্ষার্থীদের ভাবনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ Logo জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী অ্যালামনাসদের রুয়া’র নির্বাচন বর্জন Logo মুখোমুখি অবস্থানে ভারত-পাকিস্তান, ভারতীয় নৌবাহিনীর মিসাইল ধ্বংসের পরীক্ষা Logo কাশ্মীরে হামলার পর তুমুল উত্তেজনার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণা পাকিস্তানের

নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষসহ ২ বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৪:৪৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭১৯ বার পড়া হয়েছে

৮ কোটি ৫৯ লক্ষ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকা জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুছ ছালাম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আফসানা ইসলাম কাকলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে নোয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৯ অক্টোবর) নোয়াখালী জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

দুদকের মামলায় দেখানো হয়, নোয়াখালী আব্দুল মালেক মেডিকেল কলেজের ২০১৫-১৬ অর্থ বছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছর পর্যন্ত টেন্ডার প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে বিল পরিশোধ পর্যন্ত প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে নোয়াখালীর সিলিং ডেকোরেশন কাজে ৮ আট কোটি ৫৯ লাখ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে সিলিং ডেকোরেশনের কাজের জন্য প্রতি বর্গফুট ধরা হয় ৬ হাজার ২০০ টাকা যার সরকারি গণপূর্ত বিভাগের দর অনুযায়ী প্রতি বর্গফুট ২১৪ দশমিক ৪৮ টাকা এতে সিলিং ডেকোরেশনের কাজে প্রতি বর্গফুটে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয় ৫ হাজার ৯৫০ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করে অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুছ ছালাম এবং ঠিকাদার আফসানা ইসলাম কাকলী পরস্পর যোগসাজশে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৮ কোটি ৫৯ লাখ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।। বৃহত্তর নোয়াখালী দুদকের পিপি এডভোকেট নুর হোসেন মাসুদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে নোয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক ফারুক আহমেদ সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অর্থ আত্মসাৎ অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। অধ্যক্ষ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে কচুয়ায় কৃষকদের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষসহ ২ বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আপডেট সময় : ০৮:৫৪:৪৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

৮ কোটি ৫৯ লক্ষ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকা জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুছ ছালাম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আফসানা ইসলাম কাকলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে নোয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৯ অক্টোবর) নোয়াখালী জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

দুদকের মামলায় দেখানো হয়, নোয়াখালী আব্দুল মালেক মেডিকেল কলেজের ২০১৫-১৬ অর্থ বছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছর পর্যন্ত টেন্ডার প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে বিল পরিশোধ পর্যন্ত প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে নোয়াখালীর সিলিং ডেকোরেশন কাজে ৮ আট কোটি ৫৯ লাখ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে সিলিং ডেকোরেশনের কাজের জন্য প্রতি বর্গফুট ধরা হয় ৬ হাজার ২০০ টাকা যার সরকারি গণপূর্ত বিভাগের দর অনুযায়ী প্রতি বর্গফুট ২১৪ দশমিক ৪৮ টাকা এতে সিলিং ডেকোরেশনের কাজে প্রতি বর্গফুটে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয় ৫ হাজার ৯৫০ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করে অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুছ ছালাম এবং ঠিকাদার আফসানা ইসলাম কাকলী পরস্পর যোগসাজশে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৮ কোটি ৫৯ লাখ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।। বৃহত্তর নোয়াখালী দুদকের পিপি এডভোকেট নুর হোসেন মাসুদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে নোয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক ফারুক আহমেদ সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অর্থ আত্মসাৎ অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। অধ্যক্ষ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।