বুধবার | ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল Logo জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে হবে— আন্তর্জাতিক সেমিনারে নোবিপ্রবি উপাচার্য Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে

নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষসহ ২ বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৪:৪৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭৫১ বার পড়া হয়েছে

৮ কোটি ৫৯ লক্ষ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকা জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুছ ছালাম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আফসানা ইসলাম কাকলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে নোয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৯ অক্টোবর) নোয়াখালী জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

দুদকের মামলায় দেখানো হয়, নোয়াখালী আব্দুল মালেক মেডিকেল কলেজের ২০১৫-১৬ অর্থ বছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছর পর্যন্ত টেন্ডার প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে বিল পরিশোধ পর্যন্ত প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে নোয়াখালীর সিলিং ডেকোরেশন কাজে ৮ আট কোটি ৫৯ লাখ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে সিলিং ডেকোরেশনের কাজের জন্য প্রতি বর্গফুট ধরা হয় ৬ হাজার ২০০ টাকা যার সরকারি গণপূর্ত বিভাগের দর অনুযায়ী প্রতি বর্গফুট ২১৪ দশমিক ৪৮ টাকা এতে সিলিং ডেকোরেশনের কাজে প্রতি বর্গফুটে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয় ৫ হাজার ৯৫০ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করে অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুছ ছালাম এবং ঠিকাদার আফসানা ইসলাম কাকলী পরস্পর যোগসাজশে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৮ কোটি ৫৯ লাখ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।। বৃহত্তর নোয়াখালী দুদকের পিপি এডভোকেট নুর হোসেন মাসুদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে নোয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক ফারুক আহমেদ সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অর্থ আত্মসাৎ অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। অধ্যক্ষ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর

নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষসহ ২ বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আপডেট সময় : ০৮:৫৪:৪৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

৮ কোটি ৫৯ লক্ষ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকা জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুছ ছালাম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আফসানা ইসলাম কাকলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে নোয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৯ অক্টোবর) নোয়াখালী জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

দুদকের মামলায় দেখানো হয়, নোয়াখালী আব্দুল মালেক মেডিকেল কলেজের ২০১৫-১৬ অর্থ বছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছর পর্যন্ত টেন্ডার প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে বিল পরিশোধ পর্যন্ত প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে নোয়াখালীর সিলিং ডেকোরেশন কাজে ৮ আট কোটি ৫৯ লাখ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে সিলিং ডেকোরেশনের কাজের জন্য প্রতি বর্গফুট ধরা হয় ৬ হাজার ২০০ টাকা যার সরকারি গণপূর্ত বিভাগের দর অনুযায়ী প্রতি বর্গফুট ২১৪ দশমিক ৪৮ টাকা এতে সিলিং ডেকোরেশনের কাজে প্রতি বর্গফুটে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয় ৫ হাজার ৯৫০ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করে অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুছ ছালাম এবং ঠিকাদার আফসানা ইসলাম কাকলী পরস্পর যোগসাজশে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৮ কোটি ৫৯ লাখ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।। বৃহত্তর নোয়াখালী দুদকের পিপি এডভোকেট নুর হোসেন মাসুদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে নোয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক ফারুক আহমেদ সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অর্থ আত্মসাৎ অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। অধ্যক্ষ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।