শিরোনাম :
Logo তারেক রহমানের নেতৃত্বে ইনসাফভিত্তিক মানবতাবাদী বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকারঃ মোশাররফ হোসেন মিয়াজী Logo পলাশবাড়ীতে বিএনপির বিশাল বিজয় র‌্যালি Logo জুলাই বিপ্লবের স্মৃতিতে ইবিতে সংগ্রহশালা উদ্বোধন Logo ৫ ই আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কয়রা থানা বিএনপি’র বিজয় মিছিল Logo জুলাই শহীদদের রক্ত শুধু অতীত নয়, পথচলার অঙ্গীকার : জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন Logo গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন নতুন বাংলাদেশে নব্য ফ্যাসিবাদের ঠাঁই হবে না : হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান Logo জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে কচুয়ায় জামায়াতের গণমিছিল ও সমাবেশ Logo লস্কর সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তরুণ ও মেধাবী অভিনেতা জাহাঙ্গীর রাজু Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর গণমিছিল Logo তালাকের ক্ষোভে জামাতার বিরুদ্ধে শাশুড়ির ধর্ষণ মামলা

নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষসহ ২ বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৪:৪৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭২৮ বার পড়া হয়েছে

৮ কোটি ৫৯ লক্ষ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকা জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুছ ছালাম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আফসানা ইসলাম কাকলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে নোয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৯ অক্টোবর) নোয়াখালী জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

দুদকের মামলায় দেখানো হয়, নোয়াখালী আব্দুল মালেক মেডিকেল কলেজের ২০১৫-১৬ অর্থ বছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছর পর্যন্ত টেন্ডার প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে বিল পরিশোধ পর্যন্ত প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে নোয়াখালীর সিলিং ডেকোরেশন কাজে ৮ আট কোটি ৫৯ লাখ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে সিলিং ডেকোরেশনের কাজের জন্য প্রতি বর্গফুট ধরা হয় ৬ হাজার ২০০ টাকা যার সরকারি গণপূর্ত বিভাগের দর অনুযায়ী প্রতি বর্গফুট ২১৪ দশমিক ৪৮ টাকা এতে সিলিং ডেকোরেশনের কাজে প্রতি বর্গফুটে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয় ৫ হাজার ৯৫০ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করে অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুছ ছালাম এবং ঠিকাদার আফসানা ইসলাম কাকলী পরস্পর যোগসাজশে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৮ কোটি ৫৯ লাখ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।। বৃহত্তর নোয়াখালী দুদকের পিপি এডভোকেট নুর হোসেন মাসুদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে নোয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক ফারুক আহমেদ সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অর্থ আত্মসাৎ অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। অধ্যক্ষ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমানের নেতৃত্বে ইনসাফভিত্তিক মানবতাবাদী বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকারঃ মোশাররফ হোসেন মিয়াজী

নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষসহ ২ বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আপডেট সময় : ০৮:৫৪:৪৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

৮ কোটি ৫৯ লক্ষ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকা জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুছ ছালাম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আফসানা ইসলাম কাকলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে নোয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৯ অক্টোবর) নোয়াখালী জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

দুদকের মামলায় দেখানো হয়, নোয়াখালী আব্দুল মালেক মেডিকেল কলেজের ২০১৫-১৬ অর্থ বছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছর পর্যন্ত টেন্ডার প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে বিল পরিশোধ পর্যন্ত প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে নোয়াখালীর সিলিং ডেকোরেশন কাজে ৮ আট কোটি ৫৯ লাখ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে সিলিং ডেকোরেশনের কাজের জন্য প্রতি বর্গফুট ধরা হয় ৬ হাজার ২০০ টাকা যার সরকারি গণপূর্ত বিভাগের দর অনুযায়ী প্রতি বর্গফুট ২১৪ দশমিক ৪৮ টাকা এতে সিলিং ডেকোরেশনের কাজে প্রতি বর্গফুটে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয় ৫ হাজার ৯৫০ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করে অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুছ ছালাম এবং ঠিকাদার আফসানা ইসলাম কাকলী পরস্পর যোগসাজশে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৮ কোটি ৫৯ লাখ ১৭ হাজার ৭৯২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।। বৃহত্তর নোয়াখালী দুদকের পিপি এডভোকেট নুর হোসেন মাসুদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে নোয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক ফারুক আহমেদ সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অর্থ আত্মসাৎ অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। অধ্যক্ষ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।