শিরোনাম :
Logo জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo শ্রীরাধার প্রেম ও প্রার্থনায় মুখর ইবির টিএসএসসি প্রাঙ্গণ Logo চবি শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ Logo রাকসু নিয়ে উত্তেজনা ; বক্তব্য দেওয়ার সময় শিবির সভাপতির বুকে বোতল নিক্ষেপ Logo মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পানির ফিল্টার দিলেন স্বেচ্ছাসেবী নারী উদ্যোক্তা সংগঠন বিজয়ী Logo চাঁদপুরে মাদক নির্মূলে সাহসিকতার সাথে কাজ করছে সহকারী পরিচালক মুহাঃ মিজানুর রহমান Logo পশ্চিম ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিকে সংবর্ধনা – ঐক্যবদ্ধভাবে মিলনকে এমপি করার অঙ্গীকার Logo ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি Logo খুবিতে প্রথম আলো বন্ধুসভা ও খুবিসাস আয়োজিত কর্মশালা Logo কচুয়ার পূর্ব বিতারা জামালিয়া নূরানী হাফেজিয়া মাদরাসায় ছাত্রদের সবক প্রদান ও দোয়া মাহফিল

ছাত্রীকে ফ্যানে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকি দিলেন ইবি শিক্ষক

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:১৬:৩০ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হাফিজুর ইসলামের বিরুেদ্ধে ছাত্রীকে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরও নানা হয়রানিমূলক আচরণের অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

হাফিজুর ইসলামের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে প্রধান ফটকে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুপুর দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. খাইরুল ইসলাম এসে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেন এবং ফটক খুলে দেয়ার অনুরোধ জানান। তবে শিক্ষার্থীরা ফটক না খুলে বিক্ষোভ চালিয়ে যায়। পরে উপাচার্যের সাথে বৈঠকের আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে।

এ নিয়ে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী লামিয়া হোসাইন বলেন, হাফিজ স্যার আমাদের দৈনন্দিন ড্রেস, চলাফেরা, এমনকি শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কী করছে, তা নিয়ে ক্লাসে অপমান করতেন। আমাকে ফ্যানে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকি দিয়েছেন। তার অপসারণ চাই।

বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অনন্যা রহমান অভিযোগ করেন, হাফিজ স্যার শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালি দিতেন। আমাকে নিয়মিত ড্রেস নিয়ে কথা বলতেন এবং আমাকে হয়রানির জন্য ১০০ পৃষ্ঠার অ্যাসাইনমেন্ট করিয়ে জমা নেননি।

এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত মো. হাফিজুর রহমানকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শুনেছি। আমি খুবই দ্রুত একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করবো।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা

ছাত্রীকে ফ্যানে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকি দিলেন ইবি শিক্ষক

আপডেট সময় : ০৭:১৬:৩০ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হাফিজুর ইসলামের বিরুেদ্ধে ছাত্রীকে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরও নানা হয়রানিমূলক আচরণের অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

হাফিজুর ইসলামের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে প্রধান ফটকে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুপুর দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. খাইরুল ইসলাম এসে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেন এবং ফটক খুলে দেয়ার অনুরোধ জানান। তবে শিক্ষার্থীরা ফটক না খুলে বিক্ষোভ চালিয়ে যায়। পরে উপাচার্যের সাথে বৈঠকের আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে।

এ নিয়ে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী লামিয়া হোসাইন বলেন, হাফিজ স্যার আমাদের দৈনন্দিন ড্রেস, চলাফেরা, এমনকি শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কী করছে, তা নিয়ে ক্লাসে অপমান করতেন। আমাকে ফ্যানে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকি দিয়েছেন। তার অপসারণ চাই।

বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অনন্যা রহমান অভিযোগ করেন, হাফিজ স্যার শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালি দিতেন। আমাকে নিয়মিত ড্রেস নিয়ে কথা বলতেন এবং আমাকে হয়রানির জন্য ১০০ পৃষ্ঠার অ্যাসাইনমেন্ট করিয়ে জমা নেননি।

এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত মো. হাফিজুর রহমানকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শুনেছি। আমি খুবই দ্রুত একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করবো।