শিরোনাম :
Logo আশিকাটি ইউনিয়নে বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায় কর্মসূচীর উদ্বোধন Logo মেধাভিত্তিক নিয়োগ হলে নিয়োগপ্রাপ্ত সকলেই দেশের সম্পদ হবে : আসিফ মাহমুদ Logo অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে হাঙরের আক্রমণে নিহত ১ Logo দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি২০ সিরিজে ডাকেটকে বিশ্রাম দিয়েছে ইংল্যান্ড Logo সাইবার নিরাপত্তা আইন এখন অনেক সক্রিয় : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব Logo পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ Logo সাতক্ষীরায় ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত Logo ইবিতে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে র‍্যালি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo সুন্দরগঞ্জে স্কুলছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার Logo চাঁদপুর টেলিভিশনের সাংবাদিকদের সাথে জেলা বিএনপির সভাপতির মতবিনিময়

মর্তুজাপুরে নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে খামারে ডাকাতি

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:২১:৩৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৭৪ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বদরগঞ্জ মর্তুজাপুরে একটি খামার থেকে চারটি গরু ও চারটি ছাগল ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে আলতাব হোসেনের এমইপি ব্রিকস ইটভাটায় গরুর খামারে হানা দেয় সঙ্গবদ্ধ ডাকাত দল। এসময় দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয় খামারের নৈশপ্রহরী মাকসেদ আলীকে। ডাকাতি হওয়া চারটি ও ছাগলের মূল্য আনুমানিক ৭ লাখ টাকা বলে দাবি করেন খামার মালিক আলতাব হোসেন। এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে গতকাল বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন।

ভুক্তভোগী খামারি আলতাব হোসেন জানান, প্রতিদিনের মতো বুধবার রাত ১০টার দিকে তার ইটভাটার মধ্যের খামারের গরু ও ছাগল দেখতে যান। খামারে নৈশপ্রহরী বৃদ্ধ মোকসেদ আলী খামারে কর্মরত ছিলেন। রাত ৩টার দিকে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে তিনি ডাকাতির বিষয়ে জানতে পেরে খামারে ছুটে যান। আলতাব হোসেন বলেন, ‘নৈশপ্রহরী জানায় রাত ১টার দিকে ৪-৫ জন অস্ত্রধারী ব্যক্তি তাকে জিম্মি করে চোখ-মুখ, হাত-পা বেঁধে পাশের একটি বাগানে নিয়ে ফেলে রাখে। পরে তারা খামার থেকে চারটি গরু ও চারটি ছাগল নিয়ে যায়। এর মধ্যে দুটি গাভী ও দুটি ষাঁড় ছিল, যার আনুমানিক মূল্য সাড়ে ৫ লাখ টাকা। এছাড়া চারটি ছাগলের মধ্যে একটি ছাগল ডাকাতরা নিয়ে যেতে না পেরে ভাটার অদূরে জবাই করে ফেলে রেখে যায়।’

নৈশপ্রহরী মোকসেদ আলী জানান, তিনি দীর্ঘ ছয় মাস ধরে সেখানে কাজ করছেন। মঙ্গলবার ঘটনার রাতে তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ১টার দিকে অস্ত্রধারী ৪-৫ জন তাকে ভয় দেখিয়ে হাত-পা বেঁধে পাশের বাগানে নিয়ে ফেলে রাখে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি সেখানে ১০-১৫ জন ডাকাত ছিল, যারা গরু ও ছাগল নিয়ে গেছে। পরে ডাকাতরা আমার হাতের বাঁধন খুলে দিয়ে চলে যায়। আমি বয়স্ক মানুষ, খুব ভয় পেয়েছিলাম এবং কাউকে চিনতে পারিনি।’

এদিকে, ইটভাটায় কর্মরত মহিলা শ্রমিক ছবিরন (৬৫), তার মেয়ে বিলকিস (৪৫) এবং নাতনী রোকসনা (২৪) জানান, তাদেরকেও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে ডাকাত দল। ডাকাতির ঘটনার পর চুয়াডাঙ্গা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান লালনের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেকেন্দার আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় সন্দেহভাজন একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেকেন্দার আলী বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তিনি আরও বলেন, আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে পারব।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আশিকাটি ইউনিয়নে বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায় কর্মসূচীর উদ্বোধন

মর্তুজাপুরে নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে খামারে ডাকাতি

আপডেট সময় : ১২:২১:৩৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বদরগঞ্জ মর্তুজাপুরে একটি খামার থেকে চারটি গরু ও চারটি ছাগল ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে আলতাব হোসেনের এমইপি ব্রিকস ইটভাটায় গরুর খামারে হানা দেয় সঙ্গবদ্ধ ডাকাত দল। এসময় দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয় খামারের নৈশপ্রহরী মাকসেদ আলীকে। ডাকাতি হওয়া চারটি ও ছাগলের মূল্য আনুমানিক ৭ লাখ টাকা বলে দাবি করেন খামার মালিক আলতাব হোসেন। এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে গতকাল বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন।

ভুক্তভোগী খামারি আলতাব হোসেন জানান, প্রতিদিনের মতো বুধবার রাত ১০টার দিকে তার ইটভাটার মধ্যের খামারের গরু ও ছাগল দেখতে যান। খামারে নৈশপ্রহরী বৃদ্ধ মোকসেদ আলী খামারে কর্মরত ছিলেন। রাত ৩টার দিকে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে তিনি ডাকাতির বিষয়ে জানতে পেরে খামারে ছুটে যান। আলতাব হোসেন বলেন, ‘নৈশপ্রহরী জানায় রাত ১টার দিকে ৪-৫ জন অস্ত্রধারী ব্যক্তি তাকে জিম্মি করে চোখ-মুখ, হাত-পা বেঁধে পাশের একটি বাগানে নিয়ে ফেলে রাখে। পরে তারা খামার থেকে চারটি গরু ও চারটি ছাগল নিয়ে যায়। এর মধ্যে দুটি গাভী ও দুটি ষাঁড় ছিল, যার আনুমানিক মূল্য সাড়ে ৫ লাখ টাকা। এছাড়া চারটি ছাগলের মধ্যে একটি ছাগল ডাকাতরা নিয়ে যেতে না পেরে ভাটার অদূরে জবাই করে ফেলে রেখে যায়।’

নৈশপ্রহরী মোকসেদ আলী জানান, তিনি দীর্ঘ ছয় মাস ধরে সেখানে কাজ করছেন। মঙ্গলবার ঘটনার রাতে তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ১টার দিকে অস্ত্রধারী ৪-৫ জন তাকে ভয় দেখিয়ে হাত-পা বেঁধে পাশের বাগানে নিয়ে ফেলে রাখে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি সেখানে ১০-১৫ জন ডাকাত ছিল, যারা গরু ও ছাগল নিয়ে গেছে। পরে ডাকাতরা আমার হাতের বাঁধন খুলে দিয়ে চলে যায়। আমি বয়স্ক মানুষ, খুব ভয় পেয়েছিলাম এবং কাউকে চিনতে পারিনি।’

এদিকে, ইটভাটায় কর্মরত মহিলা শ্রমিক ছবিরন (৬৫), তার মেয়ে বিলকিস (৪৫) এবং নাতনী রোকসনা (২৪) জানান, তাদেরকেও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে ডাকাত দল। ডাকাতির ঘটনার পর চুয়াডাঙ্গা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান লালনের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেকেন্দার আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় সন্দেহভাজন একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেকেন্দার আলী বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তিনি আরও বলেন, আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে পারব।