মঙ্গলবার | ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে Logo বেগম খালেদা জিয়া’র আশু রোগমুক্তি কামনায় ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

পদ্মা সেতুর দুই পাশে বাবা-মেয়ের ম্যুরালে ব্যয় ১১৭ কোটি টাকা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৮:৪৮ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৫৮ বার পড়া হয়েছে

পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়েছে। এই দুই ম্যুরালের জন্য স্থাপনা নির্মাণে ১১৭ কোটি টাকা ব্যয় করেছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। এ কাজে এত টাকা ব্যয় একেবারেই অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন ম্যুরাল নির্মাতা ও স্থপতিরা।

২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে তড়িঘড়ি করে দুই প্রান্তে ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়। ম্যুরাল সেতুটির প্রকল্প প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ম্যুরাল ও সংশ্লিষ্ট স্থাপনার নাম দেওয়া হয়েছিল ইনোগ্রেশন বা উদ্বোধনী কমপ্লেক্স।

দুই ম্যুরাল নির্মাণে ১১৭ কোটি টাকা ব্যয় কতটা যৌক্তিক এমন প্রশ্নে খ্যাতিমান শিল্পী ও ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান এবং ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টের সহসভাপতি (জাতীয় বিষয়াদি) ও স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নাকীর গণমাধ্যমকে জানান, এই ব্যয়ের পরিমাণ অস্বাভাবিক।

হামিদুজ্জামান খান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের দুটি ম্যুরাল তিনি দেখেছেন। তাঁর মতে, এ ধরনের কাজ কমিটি গঠন করে তাদের মাধ্যমে হলে ভালো।

মোহাম্মদ আলী নাকী বলেন, একটি ভবনের নির্মাণশৈলী বা একটি শিল্পকর্ম ভালো হলে এবং সারা বিশ্বে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়লে মূল্য অনেক বেশি হতে পারে। কিন্তু শিল্পকর্মটি তৈরি করার ব্যয় নির্দিষ্ট দরেই হওয়ার কথা। তিনি বলেন, ম্যুরাল বা শিল্পকর্ম তৈরিতে প্রতি বর্গফুটের একটা বাজারদর আছে। সেটা ঠিকাদার বা নির্মাণকারী ভেদে কিছুটা কমবেশি হতে পারে। এতটা অস্বাভাবিক হওয়ার সুযোগ নেই।

জানা যায়, পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ম্যুরাল নির্মাণের জন্য কোনো দরপত্র ডাকা হয়নি। অন্যতম ঠিকাদার ছিল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে বালিশ-কাণ্ডে বিতর্কিত মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।

শুধু ম্যুরাল নির্মাণ নয়, অস্বাভাবিক ব্যয় করা হয়েছে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও। সেখানে ব্যয় করা হয়েছে ৮৯ কোটি টাকা। এ ক্ষেত্রেও উন্মুক্ত দরপত্র নয়, ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে নিজেদের পছন্দমতো। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করা হলে ম্যুরাল দুটি নির্মাণে ৫০ কোটি টাকাও লাগত না বলে জানা যায়। ম্যুরালে ব্যবহার করা নির্মাণসামগ্রীর দু-তিন গুণ দাম ধরে ঠিকাদার বিল তুলে নিয়েছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ

পদ্মা সেতুর দুই পাশে বাবা-মেয়ের ম্যুরালে ব্যয় ১১৭ কোটি টাকা

আপডেট সময় : ০৫:৩৮:৪৮ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়েছে। এই দুই ম্যুরালের জন্য স্থাপনা নির্মাণে ১১৭ কোটি টাকা ব্যয় করেছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। এ কাজে এত টাকা ব্যয় একেবারেই অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন ম্যুরাল নির্মাতা ও স্থপতিরা।

২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে তড়িঘড়ি করে দুই প্রান্তে ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়। ম্যুরাল সেতুটির প্রকল্প প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ম্যুরাল ও সংশ্লিষ্ট স্থাপনার নাম দেওয়া হয়েছিল ইনোগ্রেশন বা উদ্বোধনী কমপ্লেক্স।

দুই ম্যুরাল নির্মাণে ১১৭ কোটি টাকা ব্যয় কতটা যৌক্তিক এমন প্রশ্নে খ্যাতিমান শিল্পী ও ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান এবং ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টের সহসভাপতি (জাতীয় বিষয়াদি) ও স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নাকীর গণমাধ্যমকে জানান, এই ব্যয়ের পরিমাণ অস্বাভাবিক।

হামিদুজ্জামান খান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের দুটি ম্যুরাল তিনি দেখেছেন। তাঁর মতে, এ ধরনের কাজ কমিটি গঠন করে তাদের মাধ্যমে হলে ভালো।

মোহাম্মদ আলী নাকী বলেন, একটি ভবনের নির্মাণশৈলী বা একটি শিল্পকর্ম ভালো হলে এবং সারা বিশ্বে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়লে মূল্য অনেক বেশি হতে পারে। কিন্তু শিল্পকর্মটি তৈরি করার ব্যয় নির্দিষ্ট দরেই হওয়ার কথা। তিনি বলেন, ম্যুরাল বা শিল্পকর্ম তৈরিতে প্রতি বর্গফুটের একটা বাজারদর আছে। সেটা ঠিকাদার বা নির্মাণকারী ভেদে কিছুটা কমবেশি হতে পারে। এতটা অস্বাভাবিক হওয়ার সুযোগ নেই।

জানা যায়, পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ম্যুরাল নির্মাণের জন্য কোনো দরপত্র ডাকা হয়নি। অন্যতম ঠিকাদার ছিল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে বালিশ-কাণ্ডে বিতর্কিত মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।

শুধু ম্যুরাল নির্মাণ নয়, অস্বাভাবিক ব্যয় করা হয়েছে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও। সেখানে ব্যয় করা হয়েছে ৮৯ কোটি টাকা। এ ক্ষেত্রেও উন্মুক্ত দরপত্র নয়, ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে নিজেদের পছন্দমতো। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করা হলে ম্যুরাল দুটি নির্মাণে ৫০ কোটি টাকাও লাগত না বলে জানা যায়। ম্যুরালে ব্যবহার করা নির্মাণসামগ্রীর দু-তিন গুণ দাম ধরে ঠিকাদার বিল তুলে নিয়েছেন।