চট্টগ্রামে কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:২০:২০ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪
  • ৭৪১ বার পড়া হয়েছে

নীলকন্ঠ ডেক্সঃ

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ১৪ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও সহায়তা করার অপরাধে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য আবদুল আলিমসহ ৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। ২৭ জুন সাতকানিয়া থানায় মামলা রেকর্ড করা হলেও বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) জানাজানি হয়।

আবদুল আলিম ছাড়া এই মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, একই ইউনিয়নের ফতেহ আলী মুহুরীপাড়ার মাইনুদ্দিন হাসান (২২), মফিজুর রহমান (৪৮), মো. জিহাদ (২২) ও ফারুক (৩০)।

মামলার বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল হাই মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ১৩ জুন চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. জাকির হোসেনের আদালতে মামলার আবেদন করা হয়।

আদালত শুনানি শেষে মামলাটি সাতকানিয়া থানায় রেকর্ড করার নির্দেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাতকানিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুর রব বলেন, ১৪ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও সহায়তা করার অপরাধে পাঁচজনের নামে মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। কিশোরীর ডিএনএ টেস্টের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

মামলা এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামি আবদুল আলিম এলাকার কিশোর গ্যাং এর লিডার। আবদুল আলিমের নেতৃত্বে এলাকায় আসামি মাইনুদ্দিন হাসান, মফিজুর রহমান, জিহাদ ও ফারুক এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। মাইনুদ্দিন হাসান আসা যাওয়ার পথে ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এ ঘটনায় স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভুক্তভোগীর অভিভাবকরা অবগত করেন। ১২ জানুয়ারি কিশোরীর কোনো সন্ধান না পাওয়ায় সাতকানিয়া থানায় মামলা নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

গত ১১ জানুয়ারি কিশোরীকে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। গত ৫ জুন মাইনুদ্দিন হাসানের বাড়িতে কিশোরী গেলে মা ও বাবাকে দেখে কেঁদে বলে যে, আমাকে বাঁচাও। কিশোরী মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় মামলা করতে দেরি হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা

আপডেট সময় : ০৭:২০:২০ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪

নীলকন্ঠ ডেক্সঃ

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ১৪ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও সহায়তা করার অপরাধে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য আবদুল আলিমসহ ৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। ২৭ জুন সাতকানিয়া থানায় মামলা রেকর্ড করা হলেও বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) জানাজানি হয়।

আবদুল আলিম ছাড়া এই মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, একই ইউনিয়নের ফতেহ আলী মুহুরীপাড়ার মাইনুদ্দিন হাসান (২২), মফিজুর রহমান (৪৮), মো. জিহাদ (২২) ও ফারুক (৩০)।

মামলার বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল হাই মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ১৩ জুন চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. জাকির হোসেনের আদালতে মামলার আবেদন করা হয়।

আদালত শুনানি শেষে মামলাটি সাতকানিয়া থানায় রেকর্ড করার নির্দেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাতকানিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুর রব বলেন, ১৪ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও সহায়তা করার অপরাধে পাঁচজনের নামে মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। কিশোরীর ডিএনএ টেস্টের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

মামলা এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামি আবদুল আলিম এলাকার কিশোর গ্যাং এর লিডার। আবদুল আলিমের নেতৃত্বে এলাকায় আসামি মাইনুদ্দিন হাসান, মফিজুর রহমান, জিহাদ ও ফারুক এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। মাইনুদ্দিন হাসান আসা যাওয়ার পথে ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এ ঘটনায় স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভুক্তভোগীর অভিভাবকরা অবগত করেন। ১২ জানুয়ারি কিশোরীর কোনো সন্ধান না পাওয়ায় সাতকানিয়া থানায় মামলা নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

গত ১১ জানুয়ারি কিশোরীকে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। গত ৫ জুন মাইনুদ্দিন হাসানের বাড়িতে কিশোরী গেলে মা ও বাবাকে দেখে কেঁদে বলে যে, আমাকে বাঁচাও। কিশোরী মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় মামলা করতে দেরি হয়েছে।