নিউজ ডেস্ক:
একটি ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ব্রডশিট এলএলসি নামের একটি কোম্পানি পাকিস্তান ও ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর কাছে ৩৩ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ পায়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেই অর্থ ফেরত দিতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান। এই মর্মে ব্রিটেনের সংস্থাটির পাকিস্তান কাউন্সেল ‘অ্যালেন অ্যান্ড ওভারি’কে একটি চিঠি দেয়।
কিন্তু জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে এ প্রসঙ্গে ইংলিশ সংস্থাকে কোনো প্রশ্নেরই উত্তর দেয়নি তারা। এরপর পাকিস্তান ও ন্যাব এর বিরুদ্ধে মামলা করে জয়ী হয় সংস্থাটি। পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত। তখনকার মতো কোম্পানি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি ঠিকই। তবে এবার ইংল্যান্ড সফরে এসেছেন বাবর আজম, আজহার আলীরা। করোনা আবহেই পাকিস্তান ড্রেসিংরুমে ‘স্ট্রাইক’ চালাতে পারে সংস্থাটি। অন্তত এমনটাই খবর।
রীতিমতো হুমকির সুরেই কোম্পানি জানিয়েছে, পাকিস্তান দল এখন ব্রিটেনে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বকেয়া না মেটানোয় দলের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে। শুধু তাই নয়, লন্ডনে পাকিস্তান দূতাবাস বিল্ডিং এবং হাইকমিশনারের বাড়িও বাজেয়াপ্ত করার কথা ভাবা হচ্ছে। নিউইয়র্কে রুসভেল্ট হোটেলটিও রয়েছে কোম্পানির নিশানায়।
২০০০ সালে নওয়াজ শরীফের পরিবার-সহ পাকিস্তানের বেশ কিছু সরকারি কর্মকর্তার দুর্নীতির তদন্ত করতে ভাড়া করা হয়েছিল ব্রডশিট এলএলসিকে। সেই সময়ে কাজের বিনিময়ে অর্থ পায়নি কোম্পানি। ২০ বছর পর সেই ঘটনার জন্য এবার চাপের মুখে বাবর আজমরা।