নিউজ ডেস্ক:
চুয়াডাঙ্গায় ৫ টাকার ইনজেকশন ৫০ টাকায় বিক্রি করার সংবাদ প্রকাশের পর আমিন ফার্মেসীতে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতটি পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ সাদিকুর রহমান।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ এক রোগীর স্বজনের কাছে ৫ টাকার ইজিয়াম ইনজেকশন ৫০ টাকায় বিক্রি করে হাসপাতাল মোড়ের আমিন ফার্মেসি। এ ঘটনায় আমিন ফার্মেসীর প্রতারণার বিষয়ে গতকাল সোমবার স্থানীয়সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকাতে সংবাদ প্রকাশ হলে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আমিন ফার্মেসীকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
প্রসঙ্গত, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ইলেকট্রিশিয়ান ফার্মপাড়ার শান্ত গত রোববার রাতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে সদর হাসপাতালের সামনে আমিন ফার্মেসীতে ওষুধ কিনতে যান রোগীর এক স্বজন। ওই সময় আমিন ফার্মেসী থেকে ইজিয়াম ইনজেকশ ৫০ টাকায় কেনেন তারা। পরে খোঁজ নিয়ে রোগীর স্বজনরা জানতে পারেন ৫ টাকার ইনজেকশন তাদের কাছে ৫০টাকা নেওয়া হয়েছে। প্রতারিত হওয়ার বিষয়ে বুঝতে পেরে রোগীর স্বজনরা আমিন ফার্মেসিতে ইনজেকশনের দাম বেশি নেওয়ার কারণ জানতে গেলে ফার্মেসী মালিক ডা. জেড.এম রওশন আমিন রতন বলেন, ইজিয়াম ইনজেকশন বাজারে সরবরাহ নেই। বাইরে থেকে বেশি দামে কিনতে হয়েছে তাদের। একপর্যায়ে ক্রেতাসহ উপস্থিত লোকজনের কাছে কর্মচারীরা বেশি দামে ইনজেকশন বিক্রি করে ভুল করেছে স্বীকার করে ক্রেতার অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিতে চান ফার্মেসী কর্তৃপক্ষ। তবে প্রতারিত রোগীর স্বজনরা টাকা ফেরত না নিয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান। একইসাথে জেলার প্রশাসনের কাছে এ সকল প্রতারক ওষুধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলেন।