নিউজ ডেস্ক:মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম রসুল বলেছেন, দুর্নীতি করলে মন্ত্রী, চেয়ারম্যান, মেয়র, ডিসি কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্নীতিবাজদের বিচার করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মেহেরপুর জেলা পরিষদ চত্বরে আগামী ৭ মার্চ সামসুজ্জোহা পার্কে সমাবেশ উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন বক্তব্য দেন।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ গোলাম রসুল কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘গত ০৫ ফেব্রুয়ারি মুজিববর্ষের মিটিং-এ যেসব প্রবীণ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন, সেসব ত্যাগী নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে যেয়ে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এক শ্রেণির ভন্ড, ধোকাবাজ ও নব্য আওয়ামী লীগাররা। তিনি ভন্ড নেতাদের হুশিয়ারি করে বলেন, ত্যাগী এসব নেতা-কর্মীরাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্যাতিত করা হলে, সে সকল ভন্ড ও নব্য নেতাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, ‘জেলা যুবলীগের আহবায়ক-এর অনুমোদন ছাড়া জেলা যুবলীগের ব্যানার কেউ ব্যবহার করতে পারে না। গত সোমবার মুজিবনগর ও মেহেরপুরের বহিষ্কৃত কিছু নেতা যুবলীগের ব্যানার নিয়ে মিছিল করেছে, আমি মনে করি তারা যুবলীগের কেউ নন। এরা মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ী। এই সকল নেতা-কর্মীদের তাদের কুকর্মের কারণে য্বুলীগ থেকে বহিষ্কৃ হয়েছেন। এই সকল বহিষ্কৃত নেতারা স্কুল-কলেজে বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে এখনো জড়িত আছে। তাদের সেই দুর্নীতি ঢাকার জন্য নানা লোকের আশ্রয় খুজে বেড়াচ্ছে। এমনকি তারা আওয়ামী লীগেও যোগ দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগামী ৭ মার্চ সামসুজ্জোহা পার্কে সমাবেশের মাধ্যমে দুর্নীতির জবাব দেওয়া হবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জশিউর রহমান বকুল প্রমুখ ।