নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কুকুরের সঙ্গে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে অসুস্থ রোগীদের। কুকুরসহ কুকুর ছানাদের অবাধ বিচরণে হাসপাতালের চারিদিকে দুর্গন্ধ ছড়ানোসহ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। রোগীদের পক্ষ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দিলেও কোনো নজর নেয় কর্তৃপক্ষের। ফলে মেডিসনি ওয়ার্ড, জরুরি ওয়ার্ড, হাসপাতালের ভেতরের বিভিন্নস্থানসহ প্রধান ফটকের সামনেও অসংখ্য কুকুর অবাধে ঘোরাফেরা করে সব সময়।চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কুকুরের সঙ্গে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে অসুস্থ রোগীদের। কুকুরসহ কুকুর ছানাদের অবাধ বিচরণে হাসপাতালের চারিদিকে দুর্গন্ধ ছড়ানোসহ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। রোগীদের পক্ষ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দিলেও কোনো নজর নেয় কর্তৃপক্ষের। ফলে মেডিসনি ওয়ার্ড, জরুরি ওয়ার্ড, হাসপাতালের ভেতরের বিভিন্নস্থানসহ প্রধান ফটকের সামনেও অসংখ্য কুকুর অবাধে ঘোরাফেরা করে সব সময়। সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সদর হাসপাতালের বিভিন্নস্থানে কুকুর ছানাদের সঙ্গে দিব্বি ঘুমাচ্ছে বেশকটি মা কুকুর। তার একটু দূরেই হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ড। সেখানেও চোখে পড়ে মেঝেতে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের পাশে ঘুমাচ্ছে কয়েকটি কুকুর ছানা। রোগীর পরিবারের সদস্যরা কুকুর ছানাদের তাড়িয়ে দিলেও কয়েক মিনিট পরে আবারও কুকুর ছানাগুলো রোগীর আশপাশে ঘোরাঘুরি শুরু করে। এতে রোগীর পরিবারের সদস্যরা যেমন অতিষ্ঠ হয়, তেমনি রোগীর স্বাস্থ্যঝুঁকিও বেড়ে যায় অনেক। শহরের বড় বাজার এলাকার বাসিন্দা নাসির আহমেদ জানান, স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে আছেন তিনি। প্রতিদিনই হাসপাতালে রোগীর পাশে কুকুর ও কুকুরছানা ঘোরাঘুরি করতে দেখেন তিনি। তবে দিনের বেলা এই যন্ত্রনা কিছুটা কম হলেও রাতেই কুকুরের অতিষ্ঠে ঘুম হয় না অনেকের। মরিয়ম বেগম নামের চিকিৎসা নেওয়া একজন রোগী জানান, প্রতিদিন রাতে জরুরি বিভাগের পাশে কুকুর ছানাগুলো থাকে। মাঝরাতে বেশ কয়েকটি কুকুর ও কুকুরের ছানা ওয়ার্ডের বারান্দাতে রোগীদের পাশে চলে আসে। এতে তাঁর মতো অনেক রোগীকেই ভোগান্তির শিকার হতে হয়। হাসাপাতালের ভেতরে কুকুরের চলাফেরায় রোগীদের ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শামীম কবির এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন এ এস এম মারুফ হাসান জানান, রোগীদের সঙ্গে কুকুরের থাকাটা সত্যিই দুঃখজনক। এ বিষয়ে খুব শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।