শিরোনাম :
Logo খুবিতে ‘লার্ন টু লিড’ সেমিনার অনুষ্ঠিত  Logo অসুস্থ স্ত্রীর জন্য দোয়া চাইলেন সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শেখ শরিফুজ্জামান সজিব Logo ঝিনাইদহে দীর্ঘ ২৩ বছর পর পৈত্রিক জমি ফিরে পেলেন সাবেক প্রকৌশলী Logo বর্ণাঢ্য আয়োজনে চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo অছাত্র ও ছাত্রলীগের দোসর দিয়ে কমিটি গঠনের প্রতিবাদে শহিদ স্মৃতি কলেজে ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo বিচারহীনতার প্রতিবাদে ইবিতে প্রতীকী লাশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মিছিল Logo নাব্যতা হারিয়ে ঝালকাঠির খরশ্রোতা বাসন্ডা নদী খালে পরিনত হচ্ছে, খননের দাবী এলাকাবাসীর Logo এফডিসির গেইটে রান্না করে গোয়ার সিনেমার প্রচার,নজির গড়লেন নায়ক রাসেল মিয়া Logo কবি জীবনানন্দ দাশ স্মরণে প্যাপিরাস পাঠাগারের সাহিত্য আড্ডা Logo বুটেক্সে অনুষ্ঠিত হলো জেনরা ফ্যাশন ওডিসি ২০২৫

নিউমোনিয়ায় ২০৩০ সাল নাগাদ প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ শিশু মারা যাবে, বিশেষজ্ঞদের হুঁশিয়ারি

  • আপডেট সময় : ১১:২৪:৪৮ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১২ নভেম্বর ২০১৮
  • ৭৮২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ শিশু মারা যাবে। বিশ্বব্যাপী নিউমোনিয়ার ওপর সচেতনতা বৃদ্ধিতে বৈশ্বিক দিবস উপলক্ষে সোমবার বিশেষজ্ঞরা রোগটির ব্যাপারে সতর্ক করেন। খবর এএফপি’র।
উন্নত দেশগুলোতে মারাত্মক ধরনের ফুসফুস সংক্রমণ মূলত বয়স্কদের আক্রান্ত করে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশগুলোতে লাখ লাখ শিশু প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। অথচ সহজেই এই রোগটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
২০১৬ সালে বিশ্বে ৮ লাখ ৮০ হাজার শিশু মারা যায়। এদের অধিকাংশই দুই বছরের কম বয়সী।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় ও সেভ দ্য চিলড্রেন যৌথভাবে একটি নতুন গবেষণার ভিত্তিতে আশঙ্কা করেছে যে, এই প্রবনতা অব্যাহত থাকলে আগামী দশকের শেষ নাগাদ ১০ কোটি ৮ লাখের বেশি পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে।
এর মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশে সবচেয়ে বেশি শিশু মৃত্যু হবে। বিশেষ করে নাইজেরিয়া ও ভারতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১৭ লাখ শিশু, পাকিস্তানে ৭ লাখ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে ৬ লাখ ৩৫ হাজার শিশু মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যদিও কিছু ভাল খবরও আছে।
বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান প্রতিষেধক কার্যক্রম জোরদার করে, কমদামি অ্যান্টিবায়োটিকস ও শিশুদের জন্য সুষম পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতের মাধ্যমে মোট ৪১ লাখ শিশুর জীবন রক্ষা করা সম্ভব।
ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়া নিউমোনিয়া শুরুতে সনাক্ত করা গেলে তা নিরাময়যোগ্য।
কিন্তু বিশ্বব্যাপী এটি প্রায়ই দুর্বল ও অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের আক্রান্ত করে। প্রতি বছর ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়া ও হামের আক্রান্ত হয়ে মোট যত শিশু মারা যায়, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চেয়েও বেশি শিশুর মৃত্যু ঘটে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে ‘লার্ন টু লিড’ সেমিনার অনুষ্ঠিত 

নিউমোনিয়ায় ২০৩০ সাল নাগাদ প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ শিশু মারা যাবে, বিশেষজ্ঞদের হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় : ১১:২৪:৪৮ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১২ নভেম্বর ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ শিশু মারা যাবে। বিশ্বব্যাপী নিউমোনিয়ার ওপর সচেতনতা বৃদ্ধিতে বৈশ্বিক দিবস উপলক্ষে সোমবার বিশেষজ্ঞরা রোগটির ব্যাপারে সতর্ক করেন। খবর এএফপি’র।
উন্নত দেশগুলোতে মারাত্মক ধরনের ফুসফুস সংক্রমণ মূলত বয়স্কদের আক্রান্ত করে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশগুলোতে লাখ লাখ শিশু প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। অথচ সহজেই এই রোগটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
২০১৬ সালে বিশ্বে ৮ লাখ ৮০ হাজার শিশু মারা যায়। এদের অধিকাংশই দুই বছরের কম বয়সী।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় ও সেভ দ্য চিলড্রেন যৌথভাবে একটি নতুন গবেষণার ভিত্তিতে আশঙ্কা করেছে যে, এই প্রবনতা অব্যাহত থাকলে আগামী দশকের শেষ নাগাদ ১০ কোটি ৮ লাখের বেশি পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে।
এর মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশে সবচেয়ে বেশি শিশু মৃত্যু হবে। বিশেষ করে নাইজেরিয়া ও ভারতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১৭ লাখ শিশু, পাকিস্তানে ৭ লাখ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে ৬ লাখ ৩৫ হাজার শিশু মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যদিও কিছু ভাল খবরও আছে।
বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান প্রতিষেধক কার্যক্রম জোরদার করে, কমদামি অ্যান্টিবায়োটিকস ও শিশুদের জন্য সুষম পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতের মাধ্যমে মোট ৪১ লাখ শিশুর জীবন রক্ষা করা সম্ভব।
ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়া নিউমোনিয়া শুরুতে সনাক্ত করা গেলে তা নিরাময়যোগ্য।
কিন্তু বিশ্বব্যাপী এটি প্রায়ই দুর্বল ও অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের আক্রান্ত করে। প্রতি বছর ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়া ও হামের আক্রান্ত হয়ে মোট যত শিশু মারা যায়, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চেয়েও বেশি শিশুর মৃত্যু ঘটে।