মঙ্গলবার | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে খুবির ন্যাশনালিস্ট টিচার্স এসোসিয়েশন (এনটিএ) এর বিবৃতি Logo মহান বিজয় দিবসে চাঁদপুর ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের মিলাদ ও দোয়া Logo বিজয় দিবসে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করলেন ধানের শীষের এমপি প্রার্থী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক Logo চাঁদপুরে গণফোরামের বিজয় দিবসের আলোচনা সভা এ বিজয় কোনো একক দলের নয়, এটি জাতির ঐতিহাসিক অর্জন-এডভোকেট সেলিম আকবর Logo মহান বিজয় দিবসে চাঁদপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবময় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় শহীদদের স্মরণ করল সর্বস্তরের মানুষ Logo কয়রায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত Logo সাতক্ষীরা–খুলনা মহাসড়কে ত্রিমুখী সংঘর্ষে মাহেন্দ্রা উল্টে মা–ছেলে নিহত, আহত ৮ Logo খুবিতে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে মহান বিজয় দিবস উদযাপণ Logo মহান বিজয় দিবসে ইবির জুলাই ৩৬ হলের শ্রদ্ধাঞ্জলি

নিউমোনিয়ায় ২০৩০ সাল নাগাদ প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ শিশু মারা যাবে, বিশেষজ্ঞদের হুঁশিয়ারি

  • আপডেট সময় : ১১:২৪:৪৮ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১২ নভেম্বর ২০১৮
  • ৭৯৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ শিশু মারা যাবে। বিশ্বব্যাপী নিউমোনিয়ার ওপর সচেতনতা বৃদ্ধিতে বৈশ্বিক দিবস উপলক্ষে সোমবার বিশেষজ্ঞরা রোগটির ব্যাপারে সতর্ক করেন। খবর এএফপি’র।
উন্নত দেশগুলোতে মারাত্মক ধরনের ফুসফুস সংক্রমণ মূলত বয়স্কদের আক্রান্ত করে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশগুলোতে লাখ লাখ শিশু প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। অথচ সহজেই এই রোগটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
২০১৬ সালে বিশ্বে ৮ লাখ ৮০ হাজার শিশু মারা যায়। এদের অধিকাংশই দুই বছরের কম বয়সী।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় ও সেভ দ্য চিলড্রেন যৌথভাবে একটি নতুন গবেষণার ভিত্তিতে আশঙ্কা করেছে যে, এই প্রবনতা অব্যাহত থাকলে আগামী দশকের শেষ নাগাদ ১০ কোটি ৮ লাখের বেশি পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে।
এর মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশে সবচেয়ে বেশি শিশু মৃত্যু হবে। বিশেষ করে নাইজেরিয়া ও ভারতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১৭ লাখ শিশু, পাকিস্তানে ৭ লাখ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে ৬ লাখ ৩৫ হাজার শিশু মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যদিও কিছু ভাল খবরও আছে।
বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান প্রতিষেধক কার্যক্রম জোরদার করে, কমদামি অ্যান্টিবায়োটিকস ও শিশুদের জন্য সুষম পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতের মাধ্যমে মোট ৪১ লাখ শিশুর জীবন রক্ষা করা সম্ভব।
ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়া নিউমোনিয়া শুরুতে সনাক্ত করা গেলে তা নিরাময়যোগ্য।
কিন্তু বিশ্বব্যাপী এটি প্রায়ই দুর্বল ও অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের আক্রান্ত করে। প্রতি বছর ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়া ও হামের আক্রান্ত হয়ে মোট যত শিশু মারা যায়, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চেয়েও বেশি শিশুর মৃত্যু ঘটে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে খুবির ন্যাশনালিস্ট টিচার্স এসোসিয়েশন (এনটিএ) এর বিবৃতি

নিউমোনিয়ায় ২০৩০ সাল নাগাদ প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ শিশু মারা যাবে, বিশেষজ্ঞদের হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় : ১১:২৪:৪৮ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১২ নভেম্বর ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ শিশু মারা যাবে। বিশ্বব্যাপী নিউমোনিয়ার ওপর সচেতনতা বৃদ্ধিতে বৈশ্বিক দিবস উপলক্ষে সোমবার বিশেষজ্ঞরা রোগটির ব্যাপারে সতর্ক করেন। খবর এএফপি’র।
উন্নত দেশগুলোতে মারাত্মক ধরনের ফুসফুস সংক্রমণ মূলত বয়স্কদের আক্রান্ত করে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশগুলোতে লাখ লাখ শিশু প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। অথচ সহজেই এই রোগটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
২০১৬ সালে বিশ্বে ৮ লাখ ৮০ হাজার শিশু মারা যায়। এদের অধিকাংশই দুই বছরের কম বয়সী।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় ও সেভ দ্য চিলড্রেন যৌথভাবে একটি নতুন গবেষণার ভিত্তিতে আশঙ্কা করেছে যে, এই প্রবনতা অব্যাহত থাকলে আগামী দশকের শেষ নাগাদ ১০ কোটি ৮ লাখের বেশি পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে।
এর মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশে সবচেয়ে বেশি শিশু মৃত্যু হবে। বিশেষ করে নাইজেরিয়া ও ভারতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১৭ লাখ শিশু, পাকিস্তানে ৭ লাখ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে ৬ লাখ ৩৫ হাজার শিশু মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যদিও কিছু ভাল খবরও আছে।
বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান প্রতিষেধক কার্যক্রম জোরদার করে, কমদামি অ্যান্টিবায়োটিকস ও শিশুদের জন্য সুষম পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতের মাধ্যমে মোট ৪১ লাখ শিশুর জীবন রক্ষা করা সম্ভব।
ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়া নিউমোনিয়া শুরুতে সনাক্ত করা গেলে তা নিরাময়যোগ্য।
কিন্তু বিশ্বব্যাপী এটি প্রায়ই দুর্বল ও অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের আক্রান্ত করে। প্রতি বছর ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়া ও হামের আক্রান্ত হয়ে মোট যত শিশু মারা যায়, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চেয়েও বেশি শিশুর মৃত্যু ঘটে।