মঙ্গলবার | ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে Logo বেগম খালেদা জিয়া’র আশু রোগমুক্তি কামনায় ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ

নারায়নগঞ্জে পরকীয়ার জের সন্তানকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামী নান্দাইলে গ্রেফতার !

  • আপডেট সময় : ১২:৫২:৪১ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৮
  • ৭৫০ বার পড়া হয়েছে

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র শিশু হৃদয় (০৯)কে পুড়িয়ে হত্যার মূল হোতা মায়ের প্রেমিক রাশেদুল ইসলাম মোমেনকে ঘটনার ৯ দিনের মাথায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ ও নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে। রোববার (২২ এপ্রিল) নান্দাইল উপজেলার মেরাকোনা গ্রামে তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে মোমেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোঃ ইউনুস আলী। পরে রাতেই নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ আসামি মোমেনকে নান্দাইল থেকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানায় নিয়ে যাবার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোঃ ইউনুস আলী এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার ওসি এম এ হক এর বরাত দিয়ে জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার ৯ দিনের মাথায় শিশু হৃদয়কে পুড়িয়ে হত্যার মূল হোতা মায়ের প্রেমিক রাশেদুল ইসলাম মোমেনকে তার আত্মীয়য়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার হন নিহত হৃদয়ের মা শেফালি। প্রসঙ্গত, সারাদেশে আলোচিত চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় নিহত শিশু হৃদয়ের মা শেফালি ও তার পরকীয়া প্রেমিক মোমেনের আপত্তিকর সম্পর্ক সন্তানরা দেখে ফেলায় এবং প্রেমিকদ্বয় সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গত ১৩ এপ্রিল শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় দুই সন্তান হৃদয় ও শিহাবকে কাঁথায় পেঁচিয়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় পাষন্ড মা শেফালী বেগম ও তার প্রেমিক মোমেন। এসময় ঘটনাস্থলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হৃদয় মারা যায় এবং আরেক সন্তান শিহাব (৭) অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ্য হলে শনিবার সকালে বাড়িতে আনা হয়। এদিকে নিহত হৃদয়ের দাদা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানায় শেফালী ও মোমেনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করার পর শেফালী গ্রেফতার হলেও তার পরকীয়া প্রেমিক মোমেন পালিয়ে থাকার ৯ দিন পরে রোববার নান্দাইলে গ্রেফতার হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক

নারায়নগঞ্জে পরকীয়ার জের সন্তানকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামী নান্দাইলে গ্রেফতার !

আপডেট সময় : ১২:৫২:৪১ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৮

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র শিশু হৃদয় (০৯)কে পুড়িয়ে হত্যার মূল হোতা মায়ের প্রেমিক রাশেদুল ইসলাম মোমেনকে ঘটনার ৯ দিনের মাথায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ ও নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে। রোববার (২২ এপ্রিল) নান্দাইল উপজেলার মেরাকোনা গ্রামে তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে মোমেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোঃ ইউনুস আলী। পরে রাতেই নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ আসামি মোমেনকে নান্দাইল থেকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানায় নিয়ে যাবার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোঃ ইউনুস আলী এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার ওসি এম এ হক এর বরাত দিয়ে জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার ৯ দিনের মাথায় শিশু হৃদয়কে পুড়িয়ে হত্যার মূল হোতা মায়ের প্রেমিক রাশেদুল ইসলাম মোমেনকে তার আত্মীয়য়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার হন নিহত হৃদয়ের মা শেফালি। প্রসঙ্গত, সারাদেশে আলোচিত চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় নিহত শিশু হৃদয়ের মা শেফালি ও তার পরকীয়া প্রেমিক মোমেনের আপত্তিকর সম্পর্ক সন্তানরা দেখে ফেলায় এবং প্রেমিকদ্বয় সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গত ১৩ এপ্রিল শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় দুই সন্তান হৃদয় ও শিহাবকে কাঁথায় পেঁচিয়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় পাষন্ড মা শেফালী বেগম ও তার প্রেমিক মোমেন। এসময় ঘটনাস্থলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হৃদয় মারা যায় এবং আরেক সন্তান শিহাব (৭) অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ্য হলে শনিবার সকালে বাড়িতে আনা হয়। এদিকে নিহত হৃদয়ের দাদা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানায় শেফালী ও মোমেনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করার পর শেফালী গ্রেফতার হলেও তার পরকীয়া প্রেমিক মোমেন পালিয়ে থাকার ৯ দিন পরে রোববার নান্দাইলে গ্রেফতার হয়।