নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র শিশু হৃদয় (০৯)কে পুড়িয়ে হত্যার মূল হোতা মায়ের প্রেমিক রাশেদুল ইসলাম মোমেনকে ঘটনার ৯ দিনের মাথায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ ও নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে। রোববার (২২ এপ্রিল) নান্দাইল উপজেলার মেরাকোনা গ্রামে তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে মোমেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোঃ ইউনুস আলী। পরে রাতেই নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ আসামি মোমেনকে নান্দাইল থেকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানায় নিয়ে যাবার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোঃ ইউনুস আলী এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার ওসি এম এ হক এর বরাত দিয়ে জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার ৯ দিনের মাথায় শিশু হৃদয়কে পুড়িয়ে হত্যার মূল হোতা মায়ের প্রেমিক রাশেদুল ইসলাম মোমেনকে তার আত্মীয়য়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার হন নিহত হৃদয়ের মা শেফালি। প্রসঙ্গত, সারাদেশে আলোচিত চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় নিহত শিশু হৃদয়ের মা শেফালি ও তার পরকীয়া প্রেমিক মোমেনের আপত্তিকর সম্পর্ক সন্তানরা দেখে ফেলায় এবং প্রেমিকদ্বয় সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গত ১৩ এপ্রিল শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় দুই সন্তান হৃদয় ও শিহাবকে কাঁথায় পেঁচিয়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় পাষন্ড মা শেফালী বেগম ও তার প্রেমিক মোমেন। এসময় ঘটনাস্থলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হৃদয় মারা যায় এবং আরেক সন্তান শিহাব (৭) অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ্য হলে শনিবার সকালে বাড়িতে আনা হয়। এদিকে নিহত হৃদয়ের দাদা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানায় শেফালী ও মোমেনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করার পর শেফালী গ্রেফতার হলেও তার পরকীয়া প্রেমিক মোমেন পালিয়ে থাকার ৯ দিন পরে রোববার নান্দাইলে গ্রেফতার হয়।