লামায় মায়ের ঘর পুড়ে দিল পুত্রবধুরা!

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৮:১৮:৩৭ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৬ এপ্রিল ২০১৮
  • ৭৪১ বার পড়া হয়েছে

মো. ফরিদ উদ্দিন, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি: বান্দরবানের লামায় পারিবারিক শত্রæতার জের ধরে সৎ মায়ের ঘর পুড়ে দিল পুত্রবধুরা। শুক্রবার (৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের মাষ্টারপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘরে কেউ না থাকায় কোন মালামাল সরাতে না পেরে এক কাপড়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে বিধবা ফাতেমা বেগম (৭৫)। ক্ষতিগ্রস্থ ফাতেমা বেগম মাষ্টার পাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রব ফকির এর ২য় স্ত্রী।
ফাতেমা বেগম জানায়, আমার দুই মেয়ে। তাদের বিবাহ দিয়ে দিয়েছি। ৫ বছরের নাতি জাহেদুল সুলতান কে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করি। সকালে তামাকের ক্ষেতে কাজ করতে যায়। সেখানে এলাকার লোকজন খবর দেয় আমার ঘরে আগুন লেগেছে। আমি দৌড়ে এসে দেখি ততক্ষণে সবকিছু পড়ে ছাই হয়ে গেছে। নাতি জাহেদুল সুলতান আমাকে জানায়, আমার স্বামীর অন্য স্ত্রীর সন্তান নজীর আহমদ ও জাফর আলম দুই জনের বউ বাড়ির পিছন দিক থেকে এসে ঘরে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি আমি স্থানীয় জন-প্রতিনিধি সহ লামা থানাকে অবহিত করি। লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক কামাল উদ্দিন সরজমিনে পরিদর্শন করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণে পরামর্শ দেন। নগদ টাকা, মূল্যবান কাগজপত্র সহ জায়গা জমির দলিলপত্র পুড়ে গেছে।
পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা শফিউল আলম বলেন, নজীর ও জাফরের বউ সকাল থেকে এলাকা নেই। তারা গা ঢাকা দিয়েছে। সৎ সন্তান ও তাদের পরিবারের সাথে ফাতেমার দীর্ঘদিন যাবৎ ভূমি বিরোধ ও থানা কোর্টে মামলা রয়েছে।
রুপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রæ মার্মা বলেন, খবর শুনে ওয়ার্ড মেম্বার শফিউল আলম কে ঘটনাস্থলে পাঠাই। আপাতত ২০ কেজি চাউল সহায়তা দেয়া হয়েছে। অসহায় ফাতেমার ঘর নির্মাণে পরিষদ হতে আরো সহায়তা করা হবে।
লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক কামাল উদ্দিন বলেন, থানায় অবহিত করলে অফিসার ইনচার্জ এর অনুমতি নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের পাওয়া যায়নি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামায় মায়ের ঘর পুড়ে দিল পুত্রবধুরা!

আপডেট সময় : ০৮:১৮:৩৭ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৬ এপ্রিল ২০১৮

মো. ফরিদ উদ্দিন, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি: বান্দরবানের লামায় পারিবারিক শত্রæতার জের ধরে সৎ মায়ের ঘর পুড়ে দিল পুত্রবধুরা। শুক্রবার (৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের মাষ্টারপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘরে কেউ না থাকায় কোন মালামাল সরাতে না পেরে এক কাপড়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে বিধবা ফাতেমা বেগম (৭৫)। ক্ষতিগ্রস্থ ফাতেমা বেগম মাষ্টার পাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রব ফকির এর ২য় স্ত্রী।
ফাতেমা বেগম জানায়, আমার দুই মেয়ে। তাদের বিবাহ দিয়ে দিয়েছি। ৫ বছরের নাতি জাহেদুল সুলতান কে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করি। সকালে তামাকের ক্ষেতে কাজ করতে যায়। সেখানে এলাকার লোকজন খবর দেয় আমার ঘরে আগুন লেগেছে। আমি দৌড়ে এসে দেখি ততক্ষণে সবকিছু পড়ে ছাই হয়ে গেছে। নাতি জাহেদুল সুলতান আমাকে জানায়, আমার স্বামীর অন্য স্ত্রীর সন্তান নজীর আহমদ ও জাফর আলম দুই জনের বউ বাড়ির পিছন দিক থেকে এসে ঘরে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি আমি স্থানীয় জন-প্রতিনিধি সহ লামা থানাকে অবহিত করি। লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক কামাল উদ্দিন সরজমিনে পরিদর্শন করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণে পরামর্শ দেন। নগদ টাকা, মূল্যবান কাগজপত্র সহ জায়গা জমির দলিলপত্র পুড়ে গেছে।
পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা শফিউল আলম বলেন, নজীর ও জাফরের বউ সকাল থেকে এলাকা নেই। তারা গা ঢাকা দিয়েছে। সৎ সন্তান ও তাদের পরিবারের সাথে ফাতেমার দীর্ঘদিন যাবৎ ভূমি বিরোধ ও থানা কোর্টে মামলা রয়েছে।
রুপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রæ মার্মা বলেন, খবর শুনে ওয়ার্ড মেম্বার শফিউল আলম কে ঘটনাস্থলে পাঠাই। আপাতত ২০ কেজি চাউল সহায়তা দেয়া হয়েছে। অসহায় ফাতেমার ঘর নির্মাণে পরিষদ হতে আরো সহায়তা করা হবে।
লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক কামাল উদ্দিন বলেন, থানায় অবহিত করলে অফিসার ইনচার্জ এর অনুমতি নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের পাওয়া যায়নি।