শনিবার | ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পলাশবাড়ীতে ছাত্রলীগ কর্মীর চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে জামায়াত নেতা আহত Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারী আটক Logo নোবিপ্রবিতে শিবিরের ‘রান ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ভোমরায় বিশাল মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে কাতার Logo জীবননগর প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন সভাপতি মানিক, সম্পাদক রিপন Logo শিবির নেতার বিরুদ্ধে নোবিপ্রবি ছাত্রদলের অভিযোগ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া Logo নোবিপ্রবির মেগা প্রকল্প সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চায় ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী Logo খুবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৯৭ পরিক্ষার্থী 

চুনারুঘাটে ব্যবসায়ী নেতা হত্যা রুবেলের ৩ দিনের রিমান্ড বহাল

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৭:৪৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৫ এপ্রিল ২০১৮
  • ৭৬৩ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা: হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটে ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত উপজেলা সভাপতি আবুল হোসেন আকল মিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম রুবেলের ৩ দিনের রিমান্ড বহাল রেখেছেন আদালত। বুধবার (৪ এপ্রিল ) দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচার মোঃ আমজাদ হোসেন দীর্ঘ শুনানী শেষে নিন্ম আদালতের দেয়া রিমান্ড বহাল রাখেন। এর আগে ২ এপ্রিল হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে তাকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করে পুলিশ। আদালত রুবেলের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে রুবেলের আইনজীবি উচ্চ আদালতে রিমান্ডের বিরুদ্ধে রিভিশন করবেন মর্মে আবেদন করলে গতকাল বুধবার পর্যন্ত রিমান্ড স্থগিত করেন বিচারক। প্রসঙ্গত চুনারুঘাটে ব্যবসায়ী ও সুন্নী নেতা আবুল হোসেন আকল মিয়া হত্যাকান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ক্ষমতার দ্বন্দ্ব আর জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণেই খুন হতে হয়েছে ওই ব্যবসায়ী নেতাকে। ইতিমধ্যে এ হত্যাকান্ডে অনেক রাঘব বোয়ালের সম্পৃক্ততা মিলেছে বলে দাবী গোয়েন্দা পুলিশের। কিলিং মিশনের অন্যতম একজন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রুবেল। তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে যাদের সম্পৃক্ততা মিলবে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা। গত রবিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, কিলিং মিশনে ছিল অন্তত ৫ জন। তারাই মূল কিলার। সাইফুল ইসলাম রুবেলের ভাড়া নেয়া অফিসে বসেই এক মাস আগে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। কারা অর্থ দেবে, কিলিংয়ে অংশ নেবে, কিলার ভাড়া করবে সব সিদ্ধান্তই এখানে হয়। ইতিমধ্যে ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীদের একজন জসিম উদ্দিন চৌধুরী শামীম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তার স্বীকারোক্তির সূত্র ধরে তদন্তও অনেক এগিয়ে গেছে। বেরিয়ে এসেছে মামলার ক্লু ও মোটিভ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ছাত্রলীগ কর্মীর চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে জামায়াত নেতা আহত

চুনারুঘাটে ব্যবসায়ী নেতা হত্যা রুবেলের ৩ দিনের রিমান্ড বহাল

আপডেট সময় : ০৬:৪৭:৪৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৫ এপ্রিল ২০১৮

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা: হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটে ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত উপজেলা সভাপতি আবুল হোসেন আকল মিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম রুবেলের ৩ দিনের রিমান্ড বহাল রেখেছেন আদালত। বুধবার (৪ এপ্রিল ) দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচার মোঃ আমজাদ হোসেন দীর্ঘ শুনানী শেষে নিন্ম আদালতের দেয়া রিমান্ড বহাল রাখেন। এর আগে ২ এপ্রিল হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে তাকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করে পুলিশ। আদালত রুবেলের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে রুবেলের আইনজীবি উচ্চ আদালতে রিমান্ডের বিরুদ্ধে রিভিশন করবেন মর্মে আবেদন করলে গতকাল বুধবার পর্যন্ত রিমান্ড স্থগিত করেন বিচারক। প্রসঙ্গত চুনারুঘাটে ব্যবসায়ী ও সুন্নী নেতা আবুল হোসেন আকল মিয়া হত্যাকান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ক্ষমতার দ্বন্দ্ব আর জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণেই খুন হতে হয়েছে ওই ব্যবসায়ী নেতাকে। ইতিমধ্যে এ হত্যাকান্ডে অনেক রাঘব বোয়ালের সম্পৃক্ততা মিলেছে বলে দাবী গোয়েন্দা পুলিশের। কিলিং মিশনের অন্যতম একজন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রুবেল। তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে যাদের সম্পৃক্ততা মিলবে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা। গত রবিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, কিলিং মিশনে ছিল অন্তত ৫ জন। তারাই মূল কিলার। সাইফুল ইসলাম রুবেলের ভাড়া নেয়া অফিসে বসেই এক মাস আগে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। কারা অর্থ দেবে, কিলিংয়ে অংশ নেবে, কিলার ভাড়া করবে সব সিদ্ধান্তই এখানে হয়। ইতিমধ্যে ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীদের একজন জসিম উদ্দিন চৌধুরী শামীম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তার স্বীকারোক্তির সূত্র ধরে তদন্তও অনেক এগিয়ে গেছে। বেরিয়ে এসেছে মামলার ক্লু ও মোটিভ।