শিরোনাম :
Logo আন্তর্জাতিক সেমিনারে যাচ্ছেন ইবি ভিসি Logo সিরাজগঞ্জে জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রী কলেজে নবীন বরণ ও ওরিয়েন্টেশন ক্লাস অনুষ্ঠিত Logo শহীদ রুমি স্মৃতি পাঠাগারের সাময়িকী  ” মুক্তবাক” এর মোড়ক উন্মোচন Logo খুলনার কয়রায় প্রায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, মাথা এবং হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ১ জন হরিণ শিকারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড Logo জসিম সভাপতি, ফখরুল সম্পাদক দীর্ঘ ছয় বছর পর চাঁদপুর জেলা সমিতি ইউকের নির্বাচন সম্পন্ন Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা

মেহেরপুর গাংনীতে প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবিতে ইউপি চেয়ারম্যান ও অভিভাবকের সংবাদ সম্মেলন !

  • আপডেট সময় : ১০:০১:৫১ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৮ মার্চ ২০১৮
  • ৭৪৪ বার পড়া হয়েছে

মাসুদ রানা, মেহেরপুর প্রতিনিধি:  মেহেরপুরেরর গাংনী উপজেলার নওপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের যৌন নিপিড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বকুলের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা ও ছাত্রীদের অভিভাবকেরা । গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজারে জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্থ্য ছাত্রীদের পিতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক কোচিং করানোর নামে দির্ঘদিন ধরে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যৌন নিপিড়ন চালিয়ে আসছেন। সম্প্রতি কয়েকজন ছাত্রী বিদ্যালয় যাওয়া বন্ধ করে দিলে বিষয়টি তাঁর নজরে আসে। তিনি বলেন, বিষয়টি জানার পর ওই সকল ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির কথা উঠে আসে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর পরও সুষ্ঠ তদন্তের অভাবে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক এখনো বহাল তবিয়তে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করছেন। ফলে নিগ্রহিত ছাত্রীরা লজ্জায় অপমানে স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। একজন ছাত্রী পাশের গ্রামের একটি কিন্ডার গার্টেনে ভর্তি হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আব্দুস সাত্তার ও তার লোকজন প্রধান শিক্ষককে পাহারা দিয়ে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসছেন। ফলে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও গত ২৬ মার্চ স্বধীনতা দিবসের দিনের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জেছের আলী ও গাংনী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফারুক উদ্দিন বিদ্যালয়ে গিয়ে মনগড়া তদন্ত করেছেন। এসময় কোন অভিভাবককে ডাকা হয়নি কোন ছাত্রীর সাথে কথা বলা হয়নি। এমন অবস্থায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠ ও নিরাপদ পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে তার জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে এক শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, কিছুদিন ধরে মেয়ে স্কুলে যাচ্ছেনা। কেন যাচ্ছে না জানতে চাইলে তথন মেয়ে বলে প্রধান শিক্ষক তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে হাত দেয়। এমন ভন্ড শিক্ষকের বিচার চাই এবং তাকে সরানো না হলে হয়ত অনেকের মেয়েই স্কুলে যেতে চাইবে না।

অপর এক শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, মেয়ে যখন ওই স্কুলে আর যেতে চাইলো না তখন বাধ্য হয়েই পাশের গ্রামের একটি কেজি স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছি।এর আগে জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পরেও এক সপ্তাহ অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আন্তর্জাতিক সেমিনারে যাচ্ছেন ইবি ভিসি

মেহেরপুর গাংনীতে প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবিতে ইউপি চেয়ারম্যান ও অভিভাবকের সংবাদ সম্মেলন !

আপডেট সময় : ১০:০১:৫১ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৮ মার্চ ২০১৮

মাসুদ রানা, মেহেরপুর প্রতিনিধি:  মেহেরপুরেরর গাংনী উপজেলার নওপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের যৌন নিপিড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বকুলের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা ও ছাত্রীদের অভিভাবকেরা । গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজারে জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্থ্য ছাত্রীদের পিতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক কোচিং করানোর নামে দির্ঘদিন ধরে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যৌন নিপিড়ন চালিয়ে আসছেন। সম্প্রতি কয়েকজন ছাত্রী বিদ্যালয় যাওয়া বন্ধ করে দিলে বিষয়টি তাঁর নজরে আসে। তিনি বলেন, বিষয়টি জানার পর ওই সকল ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির কথা উঠে আসে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর পরও সুষ্ঠ তদন্তের অভাবে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক এখনো বহাল তবিয়তে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করছেন। ফলে নিগ্রহিত ছাত্রীরা লজ্জায় অপমানে স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। একজন ছাত্রী পাশের গ্রামের একটি কিন্ডার গার্টেনে ভর্তি হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আব্দুস সাত্তার ও তার লোকজন প্রধান শিক্ষককে পাহারা দিয়ে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসছেন। ফলে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও গত ২৬ মার্চ স্বধীনতা দিবসের দিনের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জেছের আলী ও গাংনী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফারুক উদ্দিন বিদ্যালয়ে গিয়ে মনগড়া তদন্ত করেছেন। এসময় কোন অভিভাবককে ডাকা হয়নি কোন ছাত্রীর সাথে কথা বলা হয়নি। এমন অবস্থায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠ ও নিরাপদ পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে তার জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে এক শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, কিছুদিন ধরে মেয়ে স্কুলে যাচ্ছেনা। কেন যাচ্ছে না জানতে চাইলে তথন মেয়ে বলে প্রধান শিক্ষক তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে হাত দেয়। এমন ভন্ড শিক্ষকের বিচার চাই এবং তাকে সরানো না হলে হয়ত অনেকের মেয়েই স্কুলে যেতে চাইবে না।

অপর এক শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, মেয়ে যখন ওই স্কুলে আর যেতে চাইলো না তখন বাধ্য হয়েই পাশের গ্রামের একটি কেজি স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছি।এর আগে জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পরেও এক সপ্তাহ অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।