মঙ্গলবার | ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে Logo বেগম খালেদা জিয়া’র আশু রোগমুক্তি কামনায় ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

নান্দাইলে কৃষকরা সূর্যমূখী ফুল চাষে উদ্বুদ্ধ

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৯:২৪:৫১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ মার্চ ২০১৮
  • ৮৩২ বার পড়া হয়েছে

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় এর আগে কোথাও সূর্যমূখী আবাদ হয়নি। এই প্রথমবারের মতো সূর্যমূখী ফুল চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে নান্দাইলের কৃষকগণ। অতি অল্প ব্যয়ে বাড়ির আশপাশে বা পরিত্যক্ত জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা যায়। সূর্যমূখীর তেলবীজ আবাদ নামে পরিচিত। সূর্যমূখীর বীজ থেকে স্বাস্থ্যসম্মত ভালো মানের তেল উৎপাদন করা যায়। শুধু তাই নয় এর বাগান বাড়ির সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করে। ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহসড়কের কলতাপাড়া নামক স্থানে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খাঁন তুহিনের একটি ‘রাইস ব্রান ওয়েল মিল’ রয়েছে। তিনি ধানের খুঁড়া থেকে তেল (রাইস ব্রান ওয়েল) উৎপাদনে ব্যাপক সফলতার পর এবার সূর্যমূখী ফুলের বীজ থেকে তেল তৈরীর জন্য উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের নিজ বাড়ীর সামনে এক একর পতিত জমিতে এই ফুল চাষ করেন। সূর্যমূখী ফুল চাষেও ব্যাপক সফলতা লাভ করেন। বর্তমানে তিনি সকল কৃষকদের এই চাষাবাদের আহŸান করেন এবং এই বীজ বাজারজাত করতে এমপি তুহিন নিজেই কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি বীজ ক্রয় করবেন বলে জানান। বাংলাদেশের কৃষকরা সাধারনত ধান ও পাট চাষে মৌসুম পার করলেও আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন বিভিন্ন শস্য/ফুল চাষাবাদে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। এবিষয়ে সংসদ সদস্য তুহিন বলেন, “আমি ধানের কুঁড়া থেকে তেল উৎপাদন করে বাজারজাত করছি। আমার একটি ‘কৃষাণী রাইস ব্রান অয়েল মিল’ রয়েছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন প্রস্তুত নিচ্ছি বিদেশে রপ্তানি করার জন্য। অন টেস্টে আমি এক একর জমিতে সূর্যমূখী আবাদ করেছি। সূর্যমুখী সাধারণত সব মাটিতেই জন্মে। তবে দোআঁশ মাটি সবচেয়ে বেশি উপযোগী।” স‚র্যমুখীর খৈল গরু ও মহিষের উৎকৃষ্টমানের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আমার রাইস ব্রান অয়েল কারখানা থেকে স‚র্যমুখী তেল উৎপাদন শুরু করব।” কৃষক হাসান আলী বলেন, ‘আমাদের এলাকায় সূর্যমুখী কেউ চাষ করত না স্থানীয় এমপি নিজের হাতে সূর্যমূখী ফুল চাষ করছেন। এই ফুলের বীজ দিয়ে তৈল তৈরী করবে। আবার এই বীজ এমপি নিজেই কিনবেন বলে নির্ভয়ে আমরাও এই ফুলের চাষ করবো।’ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা সংসদ সদস্যের বাড়ির পাশে এই সুন্দর স‚র্যমুখীর বাগান দেখে সবাই উদ্বুদ্ধ। উপজেলা কৃষি অফিসার নাসির উদ্দিন জানান, সূর্যমুখী সারা বছরই চাষ করা যায়। তবে অগ্রহায়ণ মাসে চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। এ বীজ ধানের চারা রোপনের মত সারিতে বুনতে হয়। এক সারি থেকে আরেক সারির দ‚রত্ব হবে ২৫ সেন্টিমিটার। মাত্র ৯০ থেকে ১১০ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যায়। প্রতি হেক্টরে উৎপাদন হয় তিন থেকে সাড়ে তিন টন। এই তেলবীজ চাষে জমির উর্বরতাও বাড়ে। স্থানীয় বাজারে এক মণ সূর্যমুখী শস্যদানা বিক্রি হয় ৮০০ টাকা। আর তৈল বিক্রি হয় প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকা। এক মণ শস্যদানা থেকে পাওয়া যায় ১৭ থেকে ১৮ কেজি। তিনি আরো বলেন, ‘স‚র্যম‚খীর বীজে শতকরা ৪০-৪৫ লিনোলিক এসিড রয়েছে। তা ছাড়া এ তেলে ক্ষতিকারক ইরোসিক এসিড নেই। হৃদেরাগীদের জন্য সূর্যমুখীর তেল খুবই উপকারী।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ

নান্দাইলে কৃষকরা সূর্যমূখী ফুল চাষে উদ্বুদ্ধ

আপডেট সময় : ০৯:২৪:৫১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ মার্চ ২০১৮

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় এর আগে কোথাও সূর্যমূখী আবাদ হয়নি। এই প্রথমবারের মতো সূর্যমূখী ফুল চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে নান্দাইলের কৃষকগণ। অতি অল্প ব্যয়ে বাড়ির আশপাশে বা পরিত্যক্ত জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা যায়। সূর্যমূখীর তেলবীজ আবাদ নামে পরিচিত। সূর্যমূখীর বীজ থেকে স্বাস্থ্যসম্মত ভালো মানের তেল উৎপাদন করা যায়। শুধু তাই নয় এর বাগান বাড়ির সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করে। ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহসড়কের কলতাপাড়া নামক স্থানে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খাঁন তুহিনের একটি ‘রাইস ব্রান ওয়েল মিল’ রয়েছে। তিনি ধানের খুঁড়া থেকে তেল (রাইস ব্রান ওয়েল) উৎপাদনে ব্যাপক সফলতার পর এবার সূর্যমূখী ফুলের বীজ থেকে তেল তৈরীর জন্য উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের নিজ বাড়ীর সামনে এক একর পতিত জমিতে এই ফুল চাষ করেন। সূর্যমূখী ফুল চাষেও ব্যাপক সফলতা লাভ করেন। বর্তমানে তিনি সকল কৃষকদের এই চাষাবাদের আহŸান করেন এবং এই বীজ বাজারজাত করতে এমপি তুহিন নিজেই কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি বীজ ক্রয় করবেন বলে জানান। বাংলাদেশের কৃষকরা সাধারনত ধান ও পাট চাষে মৌসুম পার করলেও আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন বিভিন্ন শস্য/ফুল চাষাবাদে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। এবিষয়ে সংসদ সদস্য তুহিন বলেন, “আমি ধানের কুঁড়া থেকে তেল উৎপাদন করে বাজারজাত করছি। আমার একটি ‘কৃষাণী রাইস ব্রান অয়েল মিল’ রয়েছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন প্রস্তুত নিচ্ছি বিদেশে রপ্তানি করার জন্য। অন টেস্টে আমি এক একর জমিতে সূর্যমূখী আবাদ করেছি। সূর্যমুখী সাধারণত সব মাটিতেই জন্মে। তবে দোআঁশ মাটি সবচেয়ে বেশি উপযোগী।” স‚র্যমুখীর খৈল গরু ও মহিষের উৎকৃষ্টমানের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আমার রাইস ব্রান অয়েল কারখানা থেকে স‚র্যমুখী তেল উৎপাদন শুরু করব।” কৃষক হাসান আলী বলেন, ‘আমাদের এলাকায় সূর্যমুখী কেউ চাষ করত না স্থানীয় এমপি নিজের হাতে সূর্যমূখী ফুল চাষ করছেন। এই ফুলের বীজ দিয়ে তৈল তৈরী করবে। আবার এই বীজ এমপি নিজেই কিনবেন বলে নির্ভয়ে আমরাও এই ফুলের চাষ করবো।’ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা সংসদ সদস্যের বাড়ির পাশে এই সুন্দর স‚র্যমুখীর বাগান দেখে সবাই উদ্বুদ্ধ। উপজেলা কৃষি অফিসার নাসির উদ্দিন জানান, সূর্যমুখী সারা বছরই চাষ করা যায়। তবে অগ্রহায়ণ মাসে চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। এ বীজ ধানের চারা রোপনের মত সারিতে বুনতে হয়। এক সারি থেকে আরেক সারির দ‚রত্ব হবে ২৫ সেন্টিমিটার। মাত্র ৯০ থেকে ১১০ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যায়। প্রতি হেক্টরে উৎপাদন হয় তিন থেকে সাড়ে তিন টন। এই তেলবীজ চাষে জমির উর্বরতাও বাড়ে। স্থানীয় বাজারে এক মণ সূর্যমুখী শস্যদানা বিক্রি হয় ৮০০ টাকা। আর তৈল বিক্রি হয় প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকা। এক মণ শস্যদানা থেকে পাওয়া যায় ১৭ থেকে ১৮ কেজি। তিনি আরো বলেন, ‘স‚র্যম‚খীর বীজে শতকরা ৪০-৪৫ লিনোলিক এসিড রয়েছে। তা ছাড়া এ তেলে ক্ষতিকারক ইরোসিক এসিড নেই। হৃদেরাগীদের জন্য সূর্যমুখীর তেল খুবই উপকারী।