ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে সরকারী মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজে(এম ইউ) প্রভাষক নিয়োগে দূনীতি অনুসন্ধানে মাঠে এবার নেমেছে দূনিতী দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় চার শিক্ষক কে তলব করেছেন দুদক। রবিবার দুপুরে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার এহিত্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারী এম ইউ ডিগ্রী কলেজের সকল বিভাগের অধ্যাপক, প্রভাষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, সাটিফিকেট, নিয়োগ, বেতন কাঠামোসহ গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র তদন্ত করেন এবং অভিযুক্তদের সাক্ষাত গ্রহন করেন যশোর দুদক উপপরিচালক সৌরভ দাস। ২০১০ সালে নিয়োগ পরীক্ষা দূণীতি , অর্থলেনদেন মাধ্যমে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক সেলিনা ইসলাম, সাধারন ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক সুপর্ণা বিশ্বাস, ভুগোল বিভাগের প্রভাষক সাইফুন নাহার কে নিয়োগ দেওয়া হয়। তৎকালীন অধ্যক্ষ মাহবুবার রহমান এঘটনায় দায়ে ২০১৪ সালের ১লা নভেম্বর তিন প্রভাষক নিয়োগ, পরীক্ষায় অনিয়ম, অর্থ আত্মসাত সহ একাধিক দূণীতি দায়ে অধ্যক্ষ মাহবুবার রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে নিয়োগ বানিজ্য, অর্থ আতœসাতসহ বিভিন্ন অনিয়ম করে। পরে কলেজ পরিচালনা পরিষদ অধ্যাক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করে। কলেজ পরিচালনার জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দায়িত্ব দেওয়া হয় আঃ মজিদ মন্ডল কে। বর্তমানে তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। অপর দিকে কারিগরি বিভাগে জাল সনদ দিয়ে চাকুরী অভিযোগে প্রভাষক রকিবুল ইসলাম মিল্টন সহ তিন প্রভাষককে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে ১ সপ্তাহের মধ্যে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন যশোর দুদক কার্য্যালয়ের উপপরিচালক। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ শহরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করছেন একটি মহল। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আঃ মজিদ মন্ডল সত্যতা স্বিকার করে বলেন, অভিযোগের পরিপেক্ষিতে তদন্ত করছে আমরা অতি দ্রুত দুদক কার্য্যালয়ে হাজির হব। যশোর দুদক কার্য্যালয়ের উপ-পরিচালক সৌরভ দাস বলেন, অভিযুক্তদের নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে তদন্ত চলছে অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ ব্যাপারে যশোর দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক সৌরভ দাস মুঠোফোনে বলেন, তদন্ত চলছে অভিযোগ প্রমাণ হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।