মঙ্গলবার | ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে Logo বেগম খালেদা জিয়া’র আশু রোগমুক্তি কামনায় ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

লামায় দেশীয় বন্দুকসহ দু’সন্ত্রাসী আটক

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৮:৫০:১৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৯ মার্চ ২০১৮
  • ৭৬৪ বার পড়া হয়েছে

ফরিদ উদ্দন,লামা,বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবানের লামার গয়ালমারা এলাকার সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ বাহিনীর প্রধান ডেঙ্গা চাকমা তার সহযোগি সুব্রত চাকমাকে দু’টি এক নলা দেশীয় বন্দুক, নগদ ৬৮ হাজর টাকাসহ আটক করা হয়েছে। সোমবার আলীকদম জোনের সেনা অভিযানে এরা আটক হয় বলে জানাগেছে। ধৃত ডেঙ্গা চাকমা লামা ফাঁসিয়াখালী গয়ালমারা গ্রামের মেনচিং মুরুং কারবারী পাড়ার বাসিন্দা। অপর সহযোগি সুব্রত চাকমা আলীকদম উপজেলার রোয়াম্ভু গৈয়মঝিরি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানাযায়। সেনা সদস্যরা অভিযান করে তাদের কাছ থেকে এসব অস্ত্র নগদ টাকা ছাড়াও একটি কাঠের ডামি বন্দুকও উদ্ধার করেছে। ডামি বন্দুক দিয়ে মানুষকে ভয় প্রদর্শন করে জিম্মিদশায় রেখে টাকা আদায় করতো এসব সন্ত্রাসীরা। এদু’ সন্ত্রাসী আটকের পর গয়ালমারা গ্রামে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে বলে স্থানীয়রা দাবী করেছেন।
গ্রামবাসীরা জানান, এর আগে সেখানে একটি অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প স্থাপন করলে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি বন্ধ ছিল। স¤প্রতি সেনা ক্যম্পটি প্রত্যাহারের পর আবারো ওই এলাকায় সন্ত্রাসীদের পদচারণা শুরু হয়। এলাকাটি দূর্গম হেতু সেখানে পাথর, গাছ ও তামাক কেন্দ্রিক চাঁদা আদান প্রদানে সন্ত্রাসীদের আনাঘোনা বেড়ে চলছে। এর ফলে চরম নিরাপত্তা হীনতায় পতিত হন স্থানীয়রা। ১৯ মার্চ আলীকদম সেনা জোনের অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ দু’ সন্ত্রাসী আটকের পর স্থানীয়রা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন বলে ফাঁসিয়াখালী ইউপি সদস্য আপ্রæচিং মার্মা জানান।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, জেএসএস-এর স্বশস্ত্র কমান্ডার কাজল চাকমার নেতৃত্বাধিন ডেঙ্গা চাকমা দীর্ঘদিন ধরে লামার ফাঁসিয়াখালী বনপুর-গয়ালমারা এলাকায় সন্ত্রাস-চাঁদাবাজের রাজত্ব কায়েম করে আসছিল। তার কাছে এলাকার পাথর, কাঠ-বাঁশ, তামাক ব্যবসায়ি, কৃষক সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়ে। ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মজুমদার জানান, ডেঙ্গা চাকমা একটি হত্যা মামলার ফেরারী আসামী, এলাকার আতংক।
ডেঙ্গা চাকমার নেতৃত্বে এলাকা জুড়ে বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী বাহিনী নির্ঝাঞ্ঝাট অবস্থান ও কর্মতৎপরতা চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কয়েক মাস আগে একটি অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প থাকায় কিছুদিন মানুষ নিরাপত্তাবোধ করেছিল। স¤প্রতি ক্যাম্পটি প্রত্যাহার করার পর আবারো সন্ত্রাসীদের কর্মতৎপরতা শুরু হয়।
এ বিষয়য়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনসহ ওই এলাকায় স্থানীয়দের নিরাপত্তার জন্য একটি অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প স্থাপনের দাবী জানান গ্রামবাসীরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ

লামায় দেশীয় বন্দুকসহ দু’সন্ত্রাসী আটক

আপডেট সময় : ০৮:৫০:১৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৯ মার্চ ২০১৮

ফরিদ উদ্দন,লামা,বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবানের লামার গয়ালমারা এলাকার সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ বাহিনীর প্রধান ডেঙ্গা চাকমা তার সহযোগি সুব্রত চাকমাকে দু’টি এক নলা দেশীয় বন্দুক, নগদ ৬৮ হাজর টাকাসহ আটক করা হয়েছে। সোমবার আলীকদম জোনের সেনা অভিযানে এরা আটক হয় বলে জানাগেছে। ধৃত ডেঙ্গা চাকমা লামা ফাঁসিয়াখালী গয়ালমারা গ্রামের মেনচিং মুরুং কারবারী পাড়ার বাসিন্দা। অপর সহযোগি সুব্রত চাকমা আলীকদম উপজেলার রোয়াম্ভু গৈয়মঝিরি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানাযায়। সেনা সদস্যরা অভিযান করে তাদের কাছ থেকে এসব অস্ত্র নগদ টাকা ছাড়াও একটি কাঠের ডামি বন্দুকও উদ্ধার করেছে। ডামি বন্দুক দিয়ে মানুষকে ভয় প্রদর্শন করে জিম্মিদশায় রেখে টাকা আদায় করতো এসব সন্ত্রাসীরা। এদু’ সন্ত্রাসী আটকের পর গয়ালমারা গ্রামে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে বলে স্থানীয়রা দাবী করেছেন।
গ্রামবাসীরা জানান, এর আগে সেখানে একটি অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প স্থাপন করলে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি বন্ধ ছিল। স¤প্রতি সেনা ক্যম্পটি প্রত্যাহারের পর আবারো ওই এলাকায় সন্ত্রাসীদের পদচারণা শুরু হয়। এলাকাটি দূর্গম হেতু সেখানে পাথর, গাছ ও তামাক কেন্দ্রিক চাঁদা আদান প্রদানে সন্ত্রাসীদের আনাঘোনা বেড়ে চলছে। এর ফলে চরম নিরাপত্তা হীনতায় পতিত হন স্থানীয়রা। ১৯ মার্চ আলীকদম সেনা জোনের অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ দু’ সন্ত্রাসী আটকের পর স্থানীয়রা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন বলে ফাঁসিয়াখালী ইউপি সদস্য আপ্রæচিং মার্মা জানান।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, জেএসএস-এর স্বশস্ত্র কমান্ডার কাজল চাকমার নেতৃত্বাধিন ডেঙ্গা চাকমা দীর্ঘদিন ধরে লামার ফাঁসিয়াখালী বনপুর-গয়ালমারা এলাকায় সন্ত্রাস-চাঁদাবাজের রাজত্ব কায়েম করে আসছিল। তার কাছে এলাকার পাথর, কাঠ-বাঁশ, তামাক ব্যবসায়ি, কৃষক সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়ে। ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মজুমদার জানান, ডেঙ্গা চাকমা একটি হত্যা মামলার ফেরারী আসামী, এলাকার আতংক।
ডেঙ্গা চাকমার নেতৃত্বে এলাকা জুড়ে বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী বাহিনী নির্ঝাঞ্ঝাট অবস্থান ও কর্মতৎপরতা চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কয়েক মাস আগে একটি অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প থাকায় কিছুদিন মানুষ নিরাপত্তাবোধ করেছিল। স¤প্রতি ক্যাম্পটি প্রত্যাহার করার পর আবারো সন্ত্রাসীদের কর্মতৎপরতা শুরু হয়।
এ বিষয়য়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনসহ ওই এলাকায় স্থানীয়দের নিরাপত্তার জন্য একটি অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প স্থাপনের দাবী জানান গ্রামবাসীরা।