বুধবার | ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল Logo জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে হবে— আন্তর্জাতিক সেমিনারে নোবিপ্রবি উপাচার্য Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে

ঝিনাইদহে কৃষকের মনের স্বপ্ন দোল খাচ্ছে আমের মুকুলে

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৯:১৮:০২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১১ মার্চ ২০১৮
  • ৮২১ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ জেলা জুড়ে ৬টি উপজেলায় আম গাছ গুলোতে থোকায় থোকায় আমের মুকুল দোল খাচ্ছে। পথচারি অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে দেখছে। শীতের শেষে আম গাছের কচি ডোগা ভেদ করে সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে হলদেটে মুকুল গুচ্ছ যেন উঁকি দিয়ে হাসছে। আম বাগান গুলোর শুনশান নিরবতা ভেঙে একটানা মৌমাছি যেন গুনগুন গান শোনাচ্ছে।নাকে আসছে সুন্দর একটি সুগন্ধি মধুর গন্ধ। আর আম বাগান গুলোও যেন সেজেছে অপরুপে। কয়েক দিনের মধ্যেই আমের মুকুল গুলো পরিনত হবে পরিপূর্ন দানায়। আমের মুকুলে কৃষকের মনের স্বপ্ন দোল খাচ্ছে। সেই সোনালি স্বপ্ন বুকে ধারন করেই ঝিনাইদহ জেলা জুড়ে ৬টি উপজেলার আম বাগান মালিকেরা আমের মুকুলের পরিচর্যা করে চলেছে। আমবাগান মালিকরা কেউ বসে নেই। সরেজমিনে জেলার ৬টি উপজেলায় গিয়ে দেখা গেছে বিভিন্ন স্থানে চাষিরা আমের বাগান করে বানিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করছেন। আম চাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছর কৃষকরা নতুন ভাবে আমের বাগান করছেন। কালীগঞ্জে আমরুপালি, লেংড়া, হাড়িভাঙা, মল্লিকা, থাই, গোপালভোগ, বারি-১০, বেনারশি, সিতাভোগ, এ ছাড়া দেশি প্রজাতির আম চাষ করেছেন চাষিরা। তবে এরমধ্যে সিংহভাগই আমরুপালি জাতের। জেলার কালীগঞ্জ কৃষি অফিস জানায়, এবার উপজেলায় ১’শ ৮০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। প্রতিটি বাগান মালিক বানিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করেছে। কালীগঞ্জ কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এবার আমের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করেছে ১’হাজার ৪’শ ৪৩ মেট্টিক টন আম পাওয়া যাবে। এবছর আমের গাছ গুলোতে প্রচুর পরিমানে মুকুল এসেছে। এখন পর্যন্ত কোন প্রকার রোগ বালাই দেখা দেয়নি, আবহাওয়াও ভাল। যদি কোন প্রকার প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটে তাহলে প্রচুর পরিমানে আমের ফলন আসবে।ফলে লাভের আশা করাযাবে।আম গাছ গুলোর যতœ শুরু হয় বাগানের আম শেষ হবার সাথে সাথেই। বাগানে গাছের পুরাতন বোটা ভেঙে ফেলা। বাগান চাষ দেয়া। বাগানের জমিতে পাতা পরিষ্কার করা। মুকুল আসার আগে এবং পরে বাগানে ভালভাবে স্প্রে করা। তিনি আরো জানান, প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলেএবছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশা করছেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহের কৃষি স¤প্রসারন অধিদপ্তরের পরিচালক জিএম আবদুর রউফ জানান, আম লাভ জনক ফসল। এবার আম বাগানে যে পরিমানে মুকুল এসেছে, যদি প্রাকৃতিক দূর্যোগে না পড়ে তাহলে আমের বাম্পার ফলন পাবেন কৃষকরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর

ঝিনাইদহে কৃষকের মনের স্বপ্ন দোল খাচ্ছে আমের মুকুলে

আপডেট সময় : ০৯:১৮:০২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১১ মার্চ ২০১৮

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ জেলা জুড়ে ৬টি উপজেলায় আম গাছ গুলোতে থোকায় থোকায় আমের মুকুল দোল খাচ্ছে। পথচারি অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে দেখছে। শীতের শেষে আম গাছের কচি ডোগা ভেদ করে সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে হলদেটে মুকুল গুচ্ছ যেন উঁকি দিয়ে হাসছে। আম বাগান গুলোর শুনশান নিরবতা ভেঙে একটানা মৌমাছি যেন গুনগুন গান শোনাচ্ছে।নাকে আসছে সুন্দর একটি সুগন্ধি মধুর গন্ধ। আর আম বাগান গুলোও যেন সেজেছে অপরুপে। কয়েক দিনের মধ্যেই আমের মুকুল গুলো পরিনত হবে পরিপূর্ন দানায়। আমের মুকুলে কৃষকের মনের স্বপ্ন দোল খাচ্ছে। সেই সোনালি স্বপ্ন বুকে ধারন করেই ঝিনাইদহ জেলা জুড়ে ৬টি উপজেলার আম বাগান মালিকেরা আমের মুকুলের পরিচর্যা করে চলেছে। আমবাগান মালিকরা কেউ বসে নেই। সরেজমিনে জেলার ৬টি উপজেলায় গিয়ে দেখা গেছে বিভিন্ন স্থানে চাষিরা আমের বাগান করে বানিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করছেন। আম চাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছর কৃষকরা নতুন ভাবে আমের বাগান করছেন। কালীগঞ্জে আমরুপালি, লেংড়া, হাড়িভাঙা, মল্লিকা, থাই, গোপালভোগ, বারি-১০, বেনারশি, সিতাভোগ, এ ছাড়া দেশি প্রজাতির আম চাষ করেছেন চাষিরা। তবে এরমধ্যে সিংহভাগই আমরুপালি জাতের। জেলার কালীগঞ্জ কৃষি অফিস জানায়, এবার উপজেলায় ১’শ ৮০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। প্রতিটি বাগান মালিক বানিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করেছে। কালীগঞ্জ কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এবার আমের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করেছে ১’হাজার ৪’শ ৪৩ মেট্টিক টন আম পাওয়া যাবে। এবছর আমের গাছ গুলোতে প্রচুর পরিমানে মুকুল এসেছে। এখন পর্যন্ত কোন প্রকার রোগ বালাই দেখা দেয়নি, আবহাওয়াও ভাল। যদি কোন প্রকার প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটে তাহলে প্রচুর পরিমানে আমের ফলন আসবে।ফলে লাভের আশা করাযাবে।আম গাছ গুলোর যতœ শুরু হয় বাগানের আম শেষ হবার সাথে সাথেই। বাগানে গাছের পুরাতন বোটা ভেঙে ফেলা। বাগান চাষ দেয়া। বাগানের জমিতে পাতা পরিষ্কার করা। মুকুল আসার আগে এবং পরে বাগানে ভালভাবে স্প্রে করা। তিনি আরো জানান, প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলেএবছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশা করছেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহের কৃষি স¤প্রসারন অধিদপ্তরের পরিচালক জিএম আবদুর রউফ জানান, আম লাভ জনক ফসল। এবার আম বাগানে যে পরিমানে মুকুল এসেছে, যদি প্রাকৃতিক দূর্যোগে না পড়ে তাহলে আমের বাম্পার ফলন পাবেন কৃষকরা।