শিরোনাম :

অর্থ পাচার তদন্ত করবে এনবিআরের সব সংস্থা

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৬:৪১:০৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৯ মার্চ ২০১৮
  • ৭৬৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: এখন থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অধীন সব সংস্থা অর্থ পাচার তদন্ত করতে পারবে। কাস্টমস, আয়কর, ভ্যাট ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) মধ্যে যে শাখা অর্থ পাচার সংক্রান্ত তথ্য উদ্ঘাটন করবে তারাই এর তদন্ত করবে। এর আগে এনবিআর এক আদেশ জারির মাধ্যমে শুধুমাত্র সিআইসিকে তদন্ত করার ক্ষমতা দিয়েছিল। এ নিয়ে তখন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরসহ বিভিন্ন মাঠপর্যায়ের কার্যালয় আপত্তি করেছিল।

এনবিআর সূত্র জানায়, আগে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে বিধান অনুযায়ী কাস্টমস, মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) এবং আয়কর বিভাগের কোনো করদাতা টাকা পাচার করলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ তদন্ত করতে পারত। কিন্তু ২০১৬ সালের ২ অক্টোবর এনবিআর এক আদেশ জারির মাধ্যমে শুধু সিআইসিকে অর্থ পাচার তদন্তের দায়িত্ব দেয়। এর যুক্তিতে বলা হয়েছিল, কর অঞ্চল, কাস্টম হাউসগুলোকে রাজস্ব আদায় ও ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সীমিত জনবলের কারণে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে তেমন ভূমিকা রাখতে পারে না।

নতুন আদেশে বলা হয়েছে, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ধারা ২(ঠ)(অ) এ বর্ণিত তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ কাস্টমস, ভ্যাট, আয়কর ও সিআইসির মধ্যে যে সংস্থার মাধ্যমে উদ্ঘাটিত হয়ে সেই দফতরই আইন অনুযায়ী তদন্ত ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়া অন্য দফতর থেকে উদ্ঘাটিত মামলা তদন্তের জন্য এনবিআরকে অনুরোধ জানানো হলে তা তদন্তের জন্য এনবিআর কাস্টমস, আয়কর, ভ্যাট ও সিআইসিকে দায়িত্ব দিতে পারবে।

এ বিষয়ে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, আগে আইনের ভুল ব্যাখ্যা করে সিআইসিকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। এখন সেটিকে স্পষ্ট করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জুমার নামাজের গুরুত্ব

অর্থ পাচার তদন্ত করবে এনবিআরের সব সংস্থা

আপডেট সময় : ০৬:৪১:০৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৯ মার্চ ২০১৮

নিউজ ডেস্ক: এখন থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অধীন সব সংস্থা অর্থ পাচার তদন্ত করতে পারবে। কাস্টমস, আয়কর, ভ্যাট ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) মধ্যে যে শাখা অর্থ পাচার সংক্রান্ত তথ্য উদ্ঘাটন করবে তারাই এর তদন্ত করবে। এর আগে এনবিআর এক আদেশ জারির মাধ্যমে শুধুমাত্র সিআইসিকে তদন্ত করার ক্ষমতা দিয়েছিল। এ নিয়ে তখন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরসহ বিভিন্ন মাঠপর্যায়ের কার্যালয় আপত্তি করেছিল।

এনবিআর সূত্র জানায়, আগে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে বিধান অনুযায়ী কাস্টমস, মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) এবং আয়কর বিভাগের কোনো করদাতা টাকা পাচার করলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ তদন্ত করতে পারত। কিন্তু ২০১৬ সালের ২ অক্টোবর এনবিআর এক আদেশ জারির মাধ্যমে শুধু সিআইসিকে অর্থ পাচার তদন্তের দায়িত্ব দেয়। এর যুক্তিতে বলা হয়েছিল, কর অঞ্চল, কাস্টম হাউসগুলোকে রাজস্ব আদায় ও ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সীমিত জনবলের কারণে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে তেমন ভূমিকা রাখতে পারে না।

নতুন আদেশে বলা হয়েছে, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ধারা ২(ঠ)(অ) এ বর্ণিত তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ কাস্টমস, ভ্যাট, আয়কর ও সিআইসির মধ্যে যে সংস্থার মাধ্যমে উদ্ঘাটিত হয়ে সেই দফতরই আইন অনুযায়ী তদন্ত ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়া অন্য দফতর থেকে উদ্ঘাটিত মামলা তদন্তের জন্য এনবিআরকে অনুরোধ জানানো হলে তা তদন্তের জন্য এনবিআর কাস্টমস, আয়কর, ভ্যাট ও সিআইসিকে দায়িত্ব দিতে পারবে।

এ বিষয়ে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, আগে আইনের ভুল ব্যাখ্যা করে সিআইসিকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। এখন সেটিকে স্পষ্ট করা হয়েছে।